
নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান সূচনা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৪৪৮ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। দুদকের অভিযোগ সূচনা ফাউন্ডেশন দানের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়। পরে নানা কায়দায় ওই অর্থ আত্নসাৎ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ৯৩০ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমান পাওয়া গেছে সংস্থাটি বিরুদ্ধে। ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডে অবস্থিত সুধাসদনসহ সূচনা ফাউন্ডেশন বেশ কয়েকটি ঠিকানা ব্যবহার করলেও কোনোটিতেই এর অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি যায়নি। তবে দৃশ্যমান অস্তিত্ব না পেলেও সাত মাসের ব্যবধানে পুতুলের এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ লুটপাট, কর ফাঁকিসহ বিস্তর দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম যে মামলাটির রায় হয়েছিল সেটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। অভিযোগ ছিলো এতিমদের জন্য সহায়তা হিসেবে আসা ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিক্তি করে বলা হয়েছিল। সেই সময় মূল নথি দেখতে চাইলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছিল যে, মূল নথি প্রধানমন্ত্রীর (খালোদা জিয়ার) দপ্তরে পাওয়া যায়নি এবং সেজন্য তাদের ছায়া নথি তৈরি করতে হয়েছে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ ভুয়া নথি তৈরী করে মামলা সাজানো হয়েছিল শুধু মাত্র খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই করা হয়েছিল। প্রথমে আওয়ামী বিচারক সাজা দিয়েছিল ৫ বছর পরে খালেদা জিয়া আপিল আবেদন করলে হাইকোর্টের আওয়ামী বিচারক রেগে গিয়ে সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দশ বছর কারাদণ্ডের রায় দেয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৬টা মামলা ছিল আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছিল ১৫টি মামলা। হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তার সব মামলা তিনি স্কোয়াশ করলেন সেই সংগে তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলা ছিল সেগুলো নির্বাহী আদেশে স্কোয়াশ করা হলো। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার ৬টা মামলার যায়গায় আরো নতুন করে মামলা সংযুক্ত হলো।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা এখন কয়েকগুন হয়েছে অন্য দিকে হাসিনা তনয়ার লুট করা ৪৪৮ কোটি টাকার কোন হদীস নেই। এখন ভারতীয় দালাল দেশদ্রোহী ডাকাত লীগ কী বলবে?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



