
১৪০৪ সাল থেকে ১৬২২ সাল পর্যন্ত ১৬ জন মুসলিম রাজা আরাকান শাসন করেন। ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত আরাকান স্বাধীন রাজ্য ছিল। ১৭৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বার্মার রাজা ভোধাপোয়া আরাকান আক্রমণ করে আরাকানকে বার্মার একটি প্রদেশে পরিণত করেন।১৮২৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি বার্মা দখল করে। ১৯৪২ সালে আরাকান জাপানিদের অধীনে চলে যায়। ১৯৪৫ সালে আবার ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বার্মা। তখন থেকে আরাকানবাসীদের বহিরাগত আখ্যা দিয়ে শুরু করে চরম হত্যাযজ্ঞ।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে আরাকান মিয়ানামার থেকে আলাদা হতে চেয়েছিল। কেননা ঐতিহাসিকভাবে আরাকান মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অংশ ছিল না। পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) সঙ্গে একীভূত হতেও মত দেয় আরাকান নেতৃত্ব। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে ১৯৪৬ সালে ‘আরাকান মুসলিম লীগ’ গঠন করে তারা কিন্তু সঠিক নেতৃত্বের অভাবে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। এই হলো রোহিঙ্গাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
এতক্ষণ ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া হলো এবার আসা যাক আসল কথায়।
মিয়ানমারের রাখাইনকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব উঠেছে মার্কিন কংগ্রেসে। সম্প্রতি কংগ্রেসে পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বাজেট বিষয়ক শুনানিতে এ প্রস্তাব ওঠে। কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় উপকমিটির চেয়ারম্যান ব্রাড শেরম্যান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে দেশটি থেকে আলাদা করে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করার সম্ভাবনার কথা বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্র দফতরের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে বাংলাদেশের অংশ হতে প্রস্তাব দিল আরাকান আর্মি কিন্তু এই কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী আরাকান আর্মি কেন বাংলাদেশের অংশ হতে চায়? তাদের আসল উদ্দেশ্য কী? রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতে আরাকান আর্মি ও বার্মিজ সেনার যুগপৎ ভাবে কাজ করেছে।
যদি সম্মানের সহিত যথাযতভাবে বার্মা রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেয় তাহলে বাংলাদেশের প্রধান কাজ হবে রোহিঙ্গাদের মধ্যথেকে ২ লাখ যুবককে যথাযথ প্রশিক্ষন দিয়ে বার্মায় ঢুকিয়ে দেওয়া। সেই সংগে আরসার সংগে তাদের সংযোগ ঘটিয়ে রাখাইনকে স্বাধীন অথবা বাংলাদেশের সংগে সংযুক্ত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবী।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



