বিবর্তন তত্ত্বকে বিজ্ঞানের নামে “প্রতিষ্ঠিত সত্য” হিসেবে চালিয়ে দিয়ে ডারউইনবাদীদের কল্পকাহিনী প্রচারকে উন্মোচন করার সহজ ও কার্যকর একটি পন্থা হচ্ছে সাধারণ লোকজন ও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা শেখানো। তাহলে দেখা যাবে বড় বড় ডারউইনবাদীরাও সাধারণ লোকজন ও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। যেমন এক প্রজাতি থেকে "এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন" এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রজাতি বিবর্তিত হওয়ার প্রমাণ কোথায়? নির্দিষ্ট একটি জায়গায় আষ্ঠেপিষ্ঠে চেপে ধরতে হবে। কেউ কেউ হয়ত দুটি প্রজাতির মধ্যে কিছু সাদৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুটি প্রজাতির মধ্যে কিছু সাদৃশ্য থাকা মানেই প্রমাণ হয় না যে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে বিবর্তিত হয়েছে। কেউ কেউ আবার জীবাশ্ম কিংবা ডিএনএ’র উদাহরণ নিয়ে এসে গোলক ধাঁধার মধ্যে ফেলে দিতে পারেন। এক্ষেত্রেও একই ধরণের প্রশ্ন করতে হবে। এভাবে যৌক্তিক প্রশ্ন করা শুরু করলেই দেখবেন যে তারা বিজ্ঞানের নামে বিবর্তনবাদের কল্পকাহিনী প্রচার করার মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।
নিচের ভিডিওতে সরীসৃপ প্রজাতির একটি প্রাণীর শিকার ধরার পদ্ধতিটা খুব ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন। দেখবেন যে বিশাল লম্বা জিহ্বাকে দ্রুতগতিতে ছুঁড়ে দিয়ে শিকার ধরছে। বেশ দর্শনীয়। তারা সরাসরি মুখ দিয়ে শিকার ধরে না। তো এই যে বিশাল লম্বা জিহ্বাকে ছুঁড়ে দিয়ে শিকার ধরছে – এই পদ্ধতি কীভাবে এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হওয়া সম্ভব? এরকম একটি পদ্ধতি কি আদৌ ধাপে ধাপে বিবর্তিত হতে পারে? লম্বা জিহ্বা আর শিকার ধরার পদ্ধতি যদি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে বিবর্তিত হতে থাকে তাহলে সেই ধাপগুলোতে প্রাণীটার অবস্থা কেমন হবে? ভেবে দেখুন।
প্রজাপতিকে যারা হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখেছেন তারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে প্রজাপতির ডানা অত্যন্ত সূক্ষ্ম, মসৃণ, ও কারুকার্যখচিত এবং ডানাতে এক ধরণের পাউডারও থাকে যে পাউডার প্রজাপতির ডানাকে পিচ্ছিল করে রাখে। শুধু তা-ই নয়, প্রজাপতির সম্মুখদিকে সুঁচের মতো অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও লম্বা শুঁড়ও লক্ষণীয়। প্রজাপতির মতো অতি সূক্ষ্ম, মসৃণ, ও কারুকার্যখচিত ডানাযুক্ত প্রজাতি কোথা থেকে ও কীভাবে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হবে? এই ধরণের বিবর্তন কী করে সম্ভব? নিজেরাই দেখুন:
উপসংহার: সরীসৃপ প্রজাতির লম্বা জিহ্বা আর শিকার ধরার পদ্ধতি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে অন্য কোনো প্রাণী থেকে বিবর্তিত হতে পারে না। এই ধরণের বিবর্তনের পক্ষে কোনো প্রমাণও নাই। ফলে এই প্রাণীকে একদম প্রথম থেকেই সব কিছু সহ পূর্ণাঙ্গভাবে থাকতে হবে, যেটি বিবর্তন তত্ত্বের বিপরীত। প্রজাপতির ক্ষেত্রেও অনুরূপ যুক্তি প্রযোজ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪