আমার বাড়ি পদ্মা পাড়ের পাকশীতে, বাড়ি থেকে পদ্মা এক কিলোমিটার দুরত্বে, তাই পদ্মার স্থানীয় জেলেদের সাথে সখ্যতা আমার খুব ভাল, প্রায়ই জেলেদের সাথে তাদের নৌকায় মাছ ধরা দেখতে যাই। এখন ইলিশ ধরার মৌসুম এবার গেলাম ইলিশ ধরা দেখতে, এবার যে জেলেদের সাথে গিয়েছি তারা জাত জেলে নয়, শখের জেলে, সবাই বিভিন্ন পেশাজিবী, ইলিশ ধরার মৌসুমে সহ অন্যান্ন মৌসুমে মাছ ধরে শখের বশে। নদীপাড়ের সবারই কমবেশি মাছ ধরার অভ্যাস বা শখ থাকে, এদের শখ ভয়ংকর পর্যায়ে পড়ে। প্রায় ৫০,০০০ টাকা খরচ করে ইলিশ ধরার জাল ও নৌকা কিনেছে, এদের মধ্যে আমার ছোট ভাইও আছে।ধরা পড়া মাছ নিজেদের খাওয়ার জন্য রেখে যা থাকে বিক্রি করে দেয়। একদিন ছোট ভাইকে বললাম তোদের মাছ ধরা দেখতে যাব, বলল ঠিক আছে, গত ০৯-০৯-২০১২ তারিখে গেলাম ওদের সাথে, সাথে নিলাম ক্যামেরা, তুললাম ছবি লিখলাম ছবি ব্লগ।
পদ্মা নদীর পাকশী পয়েন্টের হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ২ কিলোমিটার উজানে পল্টন ঘাট, এখান থেকেই যাত্রা শুরু।
পল্টন ঘাটের বটতলা।
পল্টুন, যার নামে ঘাটের নামকরন পল্টন ঘাট।এটা দিয়ে নদী থেকে নর্থ বেঙগল পেপার মিলে পানি সরবরাহ করা হত, যা এখন বন্ধ।
পল্টুন ও সামনে ইলিশ ধরার নৌকা।
ছেকনা জালে ইলিশ ধরার দৃশ্য, ছাকনির মত দেখতে বলে এর নাম ছেকনা জালে।
ইলিশ ধরার নৌকা।এই নৌকাতেই আমি যাব।
নৌকার উপর ইলিশ ধরার জাল।
রাতের বেলা জালের সংকেত দেয়ার বাতি।
নৌকার Anchor জেলেরা যাকে বলে গ্র্যাপি।
অন্য জেলে অলস দুপুরে একটু জিরিয়ে নিচ্ছে।
এবার শখের জেলেদের পরিচিতি।
আলাউদ্দীন চাচা, সরকারী চাকুরে, ইলিশ ধরার নৌকার সরদার জেলেদের ভাষায় হলদার।
আরিফ, ছাত্র।
শামসুল ভাই, পেশায় রাজমিস্ত্রি।
মন্জু, ছাত্র, আমার ছোট ভাই।
সইদুল, পেশায় রাজমিস্ত্রি।
মাসুম চাচা, মুদি দোকানি।
আফসার চাচা, সরকারী চাকুরে।
রিপন ভাই, মুদি দোকানি।
যাত্রা শুরুর আগে চলছে জাল পরিস্কার ও মেরামত।
ইন্জিনে তেল দেয়া হচ্ছে।
আকাশে মেঘ জমেছে, ভাবলাম যাত্রা বন্ধ হয়েই কি যায়, না কিছুক্ষন পরেই রোদ উঠল।
চলবে.........................................................................।