somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহামান্য রাষ্ট্রপতি, ওসি হেলাল উদ্দিনকে সাধারণ ক্ষমা দিয়ে তার পদোন্নতি নিশ্চিত করা হোক!!!!

২৯ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের অন্যতম সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদ, মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে জিজ্ঞাসা করে লিখেছেন, আইভি রহমানের হত্যাকারীদের আপনি কি কখনও ক্ষমা করবেন।
এসব কথা নিশ্চয় আপনার মনের মধ্যে ছিল। কিন্তু তার পরেও আমরা ক্ষমা করতে দেখেছি, এডভোকেট প্রমাণিত ফাসিঁর আসামীদের। নাটোরে গামা হত্যার ঘটনায় ১৪ জন ফাঁসির আসামীকে বেকসুর খালাস করতে দেখেছি। তাই এররকম উদাহরণ সামনে রেখে আজ দেশে প্রায় ১৫কোটি মানুষের দাবি উঠেছে আদালত যেহেতু না বুঝে রায় দেয়। যা পরবর্তীতে ক্ষমাযোগ্য।
তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল কাদেরকে ডাকাত সাজিয়ে নির্যাতনের ঘটনার প্রধান আসামী ওসি হেলাল উদ্দিনকে সাধারণ ক্ষমা দিয়ে তার পদোন্নতি নিশ্চিত করুন মহামান্য রাষ্ট্রপতি!!!!

আপনি হয়ত জানতে চাইবেন, পদোন্নতির জন্য ওসি হেলালের যোগ্যতা কি???

তা ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের নিজের মুখেই বলেছেন।

দেখুন সমকাল থেকে পেস্ট করা খবর....
গাড়ি থেকে নেমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরকে আদালতের এজলাসে পেঁৗছতে হলো হুইল চেয়ারে করে। পুলিশের নির্যাতনে তার একটি পা জখম হয়েছে। প্লাস্টার ব্যান্ডেজ থাকায় হাঁটতে পারছিলেন না তিনি। হুইল চেয়ারে বসেই কাদের আদালতের সামনে তার ওপর পুলিশের নির্যাতনের বিবরণ প্রদান করেন। রাতে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে কী ভাবে ধরল, কী ভাবে নির্যাতন করল সবই বলেন অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে। 'খিলগাঁও থানার ওসি তাকে ডাকাতের স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে'_ কাদেরের এ কথা শুনে আদালতে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান। বিস্ময়ে সবাই দেখলেন_ কাদেরের পিঠে চাপাতির কোপ। আঁতকে ওঠেন তারা। গত ১৫ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আবদুল কাদেরকে সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরীহ এ ছেলেকে ডাকাত বানানোর চেষ্টা চলছে_ এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গতকাল স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রুল জারির আগে কাদের জবানবন্দিতে বলেন, ওই রাতে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এফএইচ হলে নিজ কক্ষে (২০২) ফিরছিলেন। গুলশানের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার থেকে ছোট বোনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল সেদিন। ওই অনুষ্ঠান থেকে তার মা ও ছোট দুই বোনকে নিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চিকিৎসক ফুফাতো ভাইয়ের বাসায় আসেন। সেখানে গল্প করে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ১টার দিকে রিকশা না পেয়ে হেঁটেই যাচ্ছিলেন হলে। দুদক কার্যালয়ের
সামনে গেলে পুলিশ তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। পরিচয়পত্র দেখালেও তারা তাকে মারতে থাকেন। এ অবস্থায় গাড়ির মধ্যেই বলতে থাকেন, তুই ছিনতাইকারী। এই বলে তাকে ফের লাথি ও কিলঘুষি মারতে থাকেন। তিনি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্র বললেও পুলিশ তা মানতে চায়নি। তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দিয়ে ছাত্ররা এখন ছিনতাই-ডাকাতি সবই করছে। এ কথা বলে আরও বেশি করে নির্যাতন চালায়। খিলগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তখন তিনি নিশ্চিত হন ওরা সত্যি পুলিশ। পুলিশ এমন কেন? প্রশ্ন করে চাপা কান্নায় নিশ্চুপ থাকেন কিছুক্ষণ। ফের বলেন, 'রাতেই খিলগাঁও থানায় নেওয়ার পর ওসি আমাকে বেধড়ক মারেন। বলতে থাকেন, তুই ডাকাতির জন্য এসেছিলি। ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলি। আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দিতে হবে।' এ পর্যন্ত বলে আবার একটু সময় থেমে থাকেন কাদের। চেক লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা কাদের গামছা দিয়ে চোখ মুছেন। তারপর বলেন, 'আমি ডাকাতির স্বীকারোক্তি দিতে অস্বীকার করলে ওসি আমাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।' সেই দৃশ্য মনে করে কেঁদে ফেলেন তিনি। কাঁপছিল তার পুরো দেহ।
এ সময় আদালত কক্ষে পিনপতন নীরবতা ছিল। আদালতে দাঁড়ানো খিলগাঁও থানার ওসি হেলাল উদ্দিনকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, কী খবর ওসি সাহেব? এসব কী শুনছি? জবাবে ওসি বলেন, এসব কথা সত্য নয়। এরপর আদালতের নির্দেশে কাদের গেঞ্জি খোলেন। তার পুরো শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে উপস্থিত আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অন্যরা হতচকিত হন। বিস্ময় প্রকাশ করেন আদালত। কারা আঘাত করেছে_ আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, গণপিটুনিতে কাদের আহত হয়েছেন। পরে কাদেরের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ চৌধুরী আদালতকে বলেন, এভাবে বহু কাদেরকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। একটি নিরীহ ও মেধাবী ছেলে শুধু শুধু অন্যায় অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। তিনি আদালতকে বলেন, আমাদের সুস্থ কাদেরকে ফিরিয়ে দিন।

আবার আদালত ওসিকে তিরস্কার করে মনে হয় ভুল করেছেন,

এটিও সমকাল থেকে পেস্ট করা......

আদালতের কিছু মন্তব্য...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদের গতকাল জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত মন্তব্য করেন, 'আমরা সেই পুলিশ চাই না, যারা দায়িত্ব পালন না করে অপরাধ করে।' 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চাপাতি নিয়ে ডাকাতি করতে যাবে, এটা অবিশ্বাস্য' বলে মন্তব্য করেন আদালত এবং কাদেরকে অমানুষিক নির্যাতনের দায়ে পুলিশকে তিরস্কারও করেন। খিলগাঁও থানার ওসি হেলাল উদ্দিন অসত্য বক্তব্য দিলে আদালত তাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'আপনি মিথ্যা কথা বলবেন
না। মিথ্যা কথা বললে ইউনিফর্ম খুলে আমরা সরাসরি আপনাকে নাজিমউদ্দিন রোডে পাঠিয়ে দেব।'
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কেঁৗসুলি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের দেওয়া বক্তব্যের পর একপর্যায়ে আদালত বলেন, 'পুলিশ ছাড়া রাষ্ট্র চলতে পারে না। আমার বাসায়ও পুলিশের নিরাপত্তা রয়েছে। তাই পুলিশ অপরাধ করে পার পেয়ে যাবে, সেটা তো হতে পারে না। আমরা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য যা করা দরকার তা-ই করব। তারা অন্যায় করে পার পাবে, সেটা হবে না।' আদালত বলেন, পুলিশ অনেক ভালো কাজ করে থাকে। ভালো কাজের জন্য যেমন তারা সাধুবাদ পেতে পারে, তেমনি নিকৃষ্ট কাজের জন্য ঘৃণিত হতে পারে। এক বালতি দুধের মধ্যে এক ফোঁটা চোনা ফেললে যেমন নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি কিছু পুলিশ যখন নিরপরাধ মানুষকে নির্যাতন করে, তখন তাদের পুরো বাহিনীর অর্জন ম্লান হয়ে যায়। কোনো ব্যক্তি বন্দি থাকলে সে অসহায় থাকে। সে সময় তাকে নির্যাতন করা মানবাধিকার লঙ্ঘন।


আমরা প্রায় ১৫ কোটি মানুষ এহেন যোগ্য একজন ওসি হেলাল উদ্দিনকে সাধারণ ক্ষমা দিয়ে তার পদোন্নতি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানায়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি!!!
১৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×