মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবনের গল্পটা একটা ম্যাজিক বিহীন কল্পকাহিনীর মতো। অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ছেলেরই প্রথম প্রেম (ক্রাশ বলা ভালো) হয় ক্লাসের সুন্দরী টিচার অথবা পাশের বেঞ্চে বসা ঝুটি বাধা মেয়েটা। এই প্রেমগুলা আসে যেমন দ্রুত, হারায়ও তেমনি।
মধ্যবিত্ত প্রেমে ১০১টা সমস্যা। প্রিয় মানুষটা কে নিয়ে দামি রেস্টুরেন্ট বসা যায় না তাই পার্কের বেঞ্জ, সোয়ারেজ পাইপ অথবা লেকের ধারই সই। বিফ স্টেক, চিজ বার্গার, ক্রিম এ্যান্ড ফাজ থাকে না এই মধ্যবিত্ত ভালোবাসাগুলাতে, থাকে বাদাম, ঝালমুড়ি। খাবার কম দামের হলেও প্রেমের দাম কমে না। সেই প্রেম খাদ থাকে না, ভালোবাসায় গভীরতা থাকে। দিন যায়, ভালোবাসা বাড়ে, টান বাড়ে যৌবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলা দুইজন স্বপ্ন দেখতে দেখতেই কাটিয়ে দেয় দুইজন।
এরপর পাস করে ছেলেটা চাকরিতে ঢোকে। ছোট চাকরি!! তাতে কি কতো ছেলে যে পাশ করে বেকার হয়ে ঘুরসে..!!এই চিন্তাভাবনাগুলা বেশিদিন আরাম দিতে পারে না ছেলেটাকে। চাকরি পাওয়ার সাথে সাথে অবধারিতভাবে কিছু দায়িত্বও পেয়ে যায় মধ্যবিত্ত ছেলেটা; এর মধ্যে আছে মনের মানুষের চাপ।
সিনেমাতে যেমন ভিলেন থাকে, বাস্তবেও থাকে। মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবনের গল্পের একমাত্র ভিলেন হলো মেয়েটার "মা-বাবা"। উচ্চশিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত পাত্র, বিয়েটা এইবার মনে হচ্ছে হয়েই যাবে। তুমি ম্যানেজ করো, আমার অসহায় লাগতেসে.....!! কিন্তু একটি বার মেয়েটি ভাবে এতে ছেলেটার কত অসহায় লাগে।
ছেলেটা হয়তো আসলে তার দাম্ভীর বাবা-মাকে আর 'ম্যানেজ' করতে পারে না, মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায় আরেক জায়গায়। এদিকে ছেলেটার মা-বাবা অসুস্থ হন,দায়িত্ব কমে না উল্টা বাড়ে। মাস গেলে বেতন আর হিসাব করে পুরা মাস খরচ করা; এই বৃত্তে মধ্যবিত্ত ছেলের জীবন বন্দী হয়ে যায়। ছেলেটা এখন আর স্বপ্ন দেখে না কারণ সে বাস্তবতা বুঝে গেছে।