somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাগল-ছাগল বৌ

১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।
বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।
মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”
আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।
মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।
মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।
বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।
ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।
মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।
কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”
মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।
মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!

মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।

বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।
বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।
মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”
আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।
মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।
মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।
বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।
ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।
মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।
কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”
মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।
মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!

মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।

বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।
বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।
মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”
আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।
মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।
মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।
বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।
ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।
মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।
কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”
মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।
মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!

মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।

বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।
বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।
মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”
আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।
মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।
মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।
বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।
ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।
মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।
কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”
মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।
মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!

মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।

বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।
বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।
মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”
আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।
মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।
মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।
বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।
ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।
মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।
কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”
মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।
মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!

মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।

বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।
বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।
মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”
আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।
মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।
মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।
বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।
ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।
মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।
কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”
মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।
মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!

মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।

বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।
বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।
মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”
আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।
মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।
মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।
বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।
ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।
মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।
কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”
মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।
মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!

মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।

বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।
বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।
মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”
আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।
মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।
মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।
বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।
ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।
মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।
কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”
মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।
মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!

মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।

বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শুভ সকাল

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৭



চকচকে মানুষের আড়ালে ক্রমশ বাড়ছে দগদগে মানুষ-
পোড়া মানুষ- মৃত মানুষ!
বাজছে যুদ্ধের দামামা জলেস্থলেঅন্তরীক্ষে-
মানুষ মানুষকে শিকার করছে বন্য হিংস্রতায়।
মৃত্যুপূর্ব ছটফটানি-
আকুতি মুগ্ধতা বাড়াচ্ছে স্বগোত্রীয়দের!
আহা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরাইল ইতিমধ্যেই আত্নসমর্পন করেছে!

লিখেছেন দেশ প্রেমিক বাঙালী, ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯


অনেকেই হয়তো আমার কথায় বিস্ময় প্রকাশ করবেন যে, কীভাবে কখন ইসরাইল আত্নসমর্পন করলো? হ্যাঁ অলরেডী ইসরাইল আত্নসমর্পন করেছে! কীভাবে আসুন সেটাই এখন আলোচনা করি।

ইসরাইলের আয়রন ডোম হলো স্বল্প দূরত্বের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসপ্রথার নিগড় ভেঙে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে দ্বিগুণ উৎপাদন

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২০

দাসপ্রথার নিগড় ভেঙে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে দ্বিগুণ উৎপাদন

এআই এর সহায়তায় তৈরি ইমেজ।

প্রায় ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনার অপশাসনের সময়টা ছিল এক অলিখিত আধিপত্যবাদের ছায়া। সাধারণ নাগরিকদের এক কাপ চা পান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২১

সদ্য প্রকাশিত (year 2026) কিউএস র্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 584 তম স্থান অর্জন করে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করেছে। । দ্বীতিয় স্থানে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খামেনিকে হত্যা করা হলে ইরানে গৃহযুদ্ধ লেগে যাবে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭


খামেনেইকে হত্যা করা ইজরায়েলের অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য : স্পষ্ট করলেন নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির মৃত্যু দেশটির জন্য কেবলমাত্র একটি নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রশ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×