somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনলাইনে "মা" শব্দটিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে সকল মায়ের সন্তানরা এগিয়ে আসুন...

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এইবার শুরু করছি নতুন যুদ্ধ। যুদ্ধটি তাদের সাথে যারা "মা" শব্দটিকে বিষিয়ে তুলেছে অনলাইন, যারা মা'কে নিয়ে লিখছে সব আজে বাজে গল্প, কথা, ছবি। এবার লড়তে হবে তাদের সাথে। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমারা রক্ষা করেছিলাম বাংলা মা কে। এখন কি আমরা অন্তত ৩ হাজার লেখাও কি মায়ের সম্মানের জন্য লিখতে পারবো না??

গুগলে মা লিখে সার্চ করলে যা আসে তা প্রকাশ করার যোগ্য নয়। এতে সার্চ ইঞ্জিনের কোন দোষ নেই। দোষ হচ্ছে তাদের যারা বাংলায় মাকে নিয়ে বাজে গল্প লেখে। আর দোষ হচ্ছে আমাদের। কারণ বাংলায় আমার মা'কে নিয়ে খুব কম লেখি। আসলে খারাপ লেখার সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং মুষ্ঠিময় কিছু জারজ সন্তানদের কুরুচিপূর্ণ মানুসিকতার জন্য এই অতি মধুর শব্দটি আজ অনলাইনে লজ্জার শব্দে পরিণত হয়েছে। আজ যদি আপনার মায়ের সামনে আপনি গুগলে সার্চ দিতেন "মা" লিখে তাহলে হয়তো আপনি আপনার এই মুখ মাকে আর কোনদিনও দেখাতে পারতেন না। মানুষ এত নিচে কিভাবে নামে?

এর থেকে কি কোন পরিত্রাণের উপায় নেই? হ্যাঁ আছে। আর তা হলো মা শব্দটির উপর বেশি বেশি বাংলা লেখা। আমাদের মা বিষয়ক অনলাইনে লেখার ভান্ডার যত বেশি হবে ততো খারাপ লেখাগুলো পিছনে চলে যাবে। এর সাথে সাথে যদি সেই সকল লেখা গুলোকে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করা যায় তাহলে তা আরো বেশি কার্যকর হবে। তাছাড়া ও আমারা খারাপ লেখাগুলোকে গণ হারে রিপোর্ট করতে পারি যাতে করে সার্চ ইঞ্জিন গুলো সেই লেখাকে সার্চ থেকে মুছে ফেলে। এভাবে খুব দ্রুতই আমরা আমাদের মায়ের সম্মান আমারা রক্ষা করতে পারি।
আসছে ১০ই মে আন্তর্জাতিক মা দিবস। আর তার আগেই যদি আমারা আমাদের নিজ দায়িত্ব থেকে, নিজের বিবেক থেকে মা'কে নিয়ে যদি ১টা করে লেখাও অনলাইনে পাবলিশ করি তাহলে দেখবেন মা শব্দটি ওই সকল জানোয়াদের হাত থেকে রক্ষা পাবে। মায়ের সম্মান বাঁচাতে কি আমারা সন্তান হয়ে এইটুকু কাজ করতে পারি না? যে মা নাহলে আমাদের জন্ম হতো না, যে মা ১০ মাস পেটে না রাখলে আমারা এই আলো বাতাসের মুখ দেখতাম না, সেই মাকে নিয়ে যদি কেউ কুরুচিপূর্ণ অশালীন কথা লিখে তাহলে সন্তান হিসাবে কি আপনি হাত তালি দিতে পারবেন?? সহ্য করতে পারবেন মায়ের শরীর নিয়ে খারাপ কথা শুনতে, সহ্য করতে পারবেন মায়ের উপর ওই জানোয়ারদের লোলুপ দৃষ্টি পড়তে দেখলে?? যদি আপনি একজন মায়ের গর্ভে জন্ম নেন অবশ্যই আপনার রক্তে আগুন খেলে যাবে। আপনার মনে হবে এই জানোয়ারের বাচ্চা গুলোকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলতে।

কিন্তু আমরা তা করতে বলছি না। শুধুমাত্র আপনার হাতের কীবোর্ড মাউস অস্ত্র হিসাবে তুলে নিন। লিখে ফেলুন আপনার মাকে নিয়ে যেকোন ধরনের লেখা, ভালোবাসার গল্প অথবা মায়ের সৃতিচরণ আর সেই লেখা ছড়িয়ে দিন সামগ্র অনলাইনে। লিখতে পারেন ব্লগে, লিখতে পারেন আপনার ফেসবুকের ওয়ালে অথবা ওয়েবসাইট এ।
আপনাদের সেই কাজ গুলোকে আরো সহজ করে দেয়ার জন্য আমারা রয়েছি আপনার পাশে। মা'কে নিয়ে যেকোন লেখা জমা দিন আমাদের ওয়েবসাইট এ। এরপরের সব কাজ আমাদের। আমারাই সেটাকে ছড়িয়ে দিবো অনলাইনে। আমাদের এসইও টিম কাজ করবে আপনাদের লেখা গুলোকে সার্চ ইঞ্জিনে উপরের দিকে নিয়ে আসার জন্য। আমারা আপ্রাণ কাজ করে যাবো যাত অনলাইনে সকল নোংরা লেখা দূর করা যায় আর আপনাদের ভালোবাসার লেখাগুলো যাতে সার্চ ইঞ্জিনে সবার সামনে উঠে আসে। কথা দিচ্ছি আপনাদের সহযোগিতে পেলে এ যুদ্ধে আমাদের জয় হবেই হবে।

সেই সাথে সবাইকে উবুদ্ধ করার জন্য আমরা একটি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাও করেছি। "মায়ের গল্প" নামক এই প্রতিযোগিতায় আমারা বাছাই করে সেরা ১০টি গল্পকে পুরুস্কার প্রদান করবো এবং সেরা ৫০টি লেখা নিয়ে আগামী বইমেলায় প্রকাশ করা হবে "আমার মায়ের গল্প" শীর্ষক গল্পের বই সেই সাথে লেখকদের পরিচিতিও।
আমাদের এই কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন

ওয়েবসাইটঃ http://maa.com.bd
ইভেন্টঃ https://www.facebook.com/events/343253865864126/
আসুন সবাই মিলে "মা" শব্দটিকে রক্ষা করি, মা শব্দের মধুরতা অনলাইনে ফিরিয়ে আনি।
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×