এই নগরী নিয়ে কিছু প্যাচাল
সুসং দূর্গাপুর প্রকৃতির এক লীলাভূমি।
কবি রফিক আজাদ সুসং দূর্গাপুর কে বলেছিলেন বাংলার ভূ-স্বর্গ।
গারো পাহাড়ের পাদদেশে; মেঘালয়ের তীর ঘেষে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য নিয়ে আপনার আগমনের অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে এই গারো-বাঙ্গালিদের জনপদটি।
নূন্যতম খরচে আপনি দুইদিনের ভ্রমনেই উপভোগ করতে পারবেন এই নগরীটিকে । সারা বাংলায় এই নগরে আপনি যে স্বাধীনতা বা মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলে ঘুড়তে পারবেন; আশাকরি এই বাংলার অন্য কোথাও সেটা সম্ভব নয়।
গারো-আদিবাসীদের অতিথি পরায়নতা সবারই জানা আছে বৈকি আমার সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই আসুন না সোমেশ্বরীর জলে হয়ে যাক একটা দিনের জলকেলি; আর সেই সাথে কাঠ রোদ্দুরে পাহাড় আর জনপদ ঘুড়ে বেড়ানো।
কিভাবে যাবেন-
ঢাকা মহাখালী থেকে সরাসরি বাস আছে সুসং দূর্গাপুর যাবার
সকাল -৯টা থেকে
কখন যাবেন-
সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে এই নগরে ভ্রমণ করাটাই উপযোগী।
তবে কেউ কেউ ফেব্রুয়ারী-এপ্রিল মাসেও ঘুড়তে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন-
যদি দল বেধে কুড়িজন আসেন তাহলেও কোন সমস্যা হবেনা থাকতে পারবেন। তাছাড়া যেসব হোটলের নাম দিলাম সেসব হোটেলে সিট না পেলেও আপনি এলাকা পরিদর্শন কালে আরো হোটেল পাবেন।
বিরিশিরি ওয়াই.এম.সি.এ
বিরিশিরি ওয়াই . ডব্লিও.সি.এ
হোটেল গুলশান
কোথায় খাবেন-
আপনি রিকসাওলাকা বললেই ওরাই আপনাকে হোটেলে নিয়ে যাবে।
বিরিশিরি ওয়াই.এম.সি.এ
বিরিশিরি ওয়াই . ডব্লিও.সি.এ
হোটেল নিরালা (মুক্তার পাড়া)
হোটেল পুষ্প (নাজিরপুর রোড)
কোথায় ঘুড়বেন-
বিরিশিরি ( আদিবাসীদের জীবন যাপন দেখতে পারবেন)
রানীখং ( পাহাড় আর পাহাড়)
ভবানীপুর ( প্রকৃতির সাথে বন্ধু হয়ে যাবেন )
বিজয়পুর ( পাহাড়ীটিলা,নীল লেক, চিনা মাটি)
তাছাড়া মেঘালয়ের পাহাড় দেখতে পারবেন । আরো অনেক কিছু রয়েছে। সময় নিয়ে একবার সুসং নগরটাই প্রদক্ষিণ করুন দেখতে পাবেন পুরোনো আমলের রাজাদের বাড়ি।
আর বিশাল সব কূয়ো।
আর যারা উতিহাস জানতে চান তারা একটু কষ্ট করে বিরিশিরি থেকে সুসঙ্গ রাজবংশের ইতিহাস বইটি কিনতে পারেন।
যারা লেখাটুকু পড়লেন এবার একটু চোখবুলান নিচের ছবিগুলোর উপর
********************************************








বিরিশিরি ওয়াই .এম. সি.এ


ডাকবাংলো ----এখানেও থাকতে পারবেন।









পোষ্ট আফিস
-------------------------------------------------------------------------------

এই সেই নীল লেক


চিনামাটির পাহাড়

গারো পল্লী



গীর্জার সদর

গীর্জার ভেতরে

এভাবেই আপনাকে স্বাগত জানাতে পড়ে আছে ফুল গুলো।

নাম না জানা পাতাবাহার

গীর্জার সমুখে


গীর্জার সদর

পাহাড়ের গায়ে ক্যাম্প

দূরে মেঘালয়

মেঘালয় এর পাহাড়

স্মৃতি সৌধ হাজংমাতা

মুর্তি মা মেরির

এই ছবিটা সবার জন্য
*******************************************
পোষ্ট দিতে গিয়ে তিনবার কারেন্ট গেছে ৩বার।
তাই যদি কোথাও ভূল হয়ে গিয়ে থাকো তো দূ:খিত
*******************************************
একটা কথা
বর্ষাকালে রাস্তার অবস্থা খারাপ তাই একটু সাবধান

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




