somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তগদ্য: মধ্যরাতের পিয়ালী বৃষ্টিতে

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






পেছনে ঝুপঝাপ বৃষ্টি!
আমাদের অতৃপ্ত কথাবলা, বিচ্ছিন্ন পথচলা আর অদৃশ্য আস্ফালনে একে-অপরকে দোষারোপ করা। তারপর এভাবেই ভুল গুলো শেষ হয়ে এলে, থেমে গেলে বৃষ্টির কোলাহল ফের আমাদের ভালোলাগার আকাশে চলে আলোর খেলা। আমরা সাজাতে বসি আমাদের প্রতিদিনকার জীবন। আমরা কখনো রোদ কখনো ঝুপঝাপ বৃষ্টি!



বৃষ্টির ভাঁজে ভাঁজে খুঁজি আনন্দ
বৃষ্টির ভাঁজে ভাঁজে খুঁজি আনন্দ কিন্তু কেউ কেউ বৃষ্টির ভাজে ভাজে ব্যাথার পরশ পেয়ে বেড়ায়, আমাদের জলকেলি অসভ্যের দেয়াল মাড়ালেও আমরা ঠিক নিজেকে পূণ্যবান ভেবে চলি। নিন্ম আয়ের মানুষ গুলো কখনো যদি জড়িয়ে ধরে বৃষ্টিতে একে অপরের কাধ ভেবে নেই এ’কি অসভ্যতা, ঢঙ দেখো! ন্যকামিতে উস্তাদ! কখনো বা ক্ষেপে গিয়ে বলি’ ঘরে যে কাজ পড়ে আছে কে করবে ওসব? কখনো সখনো বুঝেও থেমে যাই, যেতে হয়!




পিয়ালী নুপুর বৃষ্টির মধ্যরাত
বাহিরে কি মসৃন ত্বক তার, কি উচ্ছাস মাখা হাসি! যেন সুখের জন্যই এদের জন্ম।
একদিন এভাবে গা ভাসাবো আমি যেখানে শুধু বরফ আনন্দ থাকবে। উচুঁ দালান না হোক একচালা টিনের ঘর তো হবে? না হোক সানাই রাত আমার হবে পিয়ালী নুপুর বৃষ্টিমুখর রাত। যে রাতে চোখের কাজলে রাখবো ধরে তোমাদের রাতবিদায়ী কষ্ট।





ছেলেটির নাম মেঘ মেয়েটির নাম বৃষ্টি
চোখ যেন তার মার্বেল পাথর, কোথাও কমতি নেই কাজলের, সারাক্ষণ মিশে থাকে মানুষের মাঝে। কথা কয় কখনো যেন দীর্ঘশ্বাস না পড়ে সব আনন্দ বুক পেতে নিযে মুখে থাকে উসখুস অপেক্ষা! কখনো আঁধার ছুড়ে ধরনীর বুকে থমকে দেয় নাগরিক পথচলা, কখনো ভেসে বেড়ায় সাদা ভেলায়। বুকে তার গঙ্গাকুমারী বৃষ্টি!
পায়ের পাতায় স্বর্ণ আলোর গড়া পায়েল আর মুখে আনন্দের ছায়া, চোখ দু’টি যেন ফোয়ারা। যেথা যায় সে, সেথায় মোহিত করা তন্ময় হরা ঝনঝন শব্দ। সে, এক সমুধুর শব্দ, যে শব্দের কোন তুলনায় তুলনা করা দ্বায়। তার বাস আকাশের গায় মেঘের বুকে।





সুসং নগর, উইলকিংসন রোড
৬ জুলাই-২০১৩ খ্রিঃ

৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×