পেছনে ঝুপঝাপ বৃষ্টি!
আমাদের অতৃপ্ত কথাবলা, বিচ্ছিন্ন পথচলা আর অদৃশ্য আস্ফালনে একে-অপরকে দোষারোপ করা। তারপর এভাবেই ভুল গুলো শেষ হয়ে এলে, থেমে গেলে বৃষ্টির কোলাহল ফের আমাদের ভালোলাগার আকাশে চলে আলোর খেলা। আমরা সাজাতে বসি আমাদের প্রতিদিনকার জীবন। আমরা কখনো রোদ কখনো ঝুপঝাপ বৃষ্টি!
বৃষ্টির ভাঁজে ভাঁজে খুঁজি আনন্দ
বৃষ্টির ভাঁজে ভাঁজে খুঁজি আনন্দ কিন্তু কেউ কেউ বৃষ্টির ভাজে ভাজে ব্যাথার পরশ পেয়ে বেড়ায়, আমাদের জলকেলি অসভ্যের দেয়াল মাড়ালেও আমরা ঠিক নিজেকে পূণ্যবান ভেবে চলি। নিন্ম আয়ের মানুষ গুলো কখনো যদি জড়িয়ে ধরে বৃষ্টিতে একে অপরের কাধ ভেবে নেই এ’কি অসভ্যতা, ঢঙ দেখো! ন্যকামিতে উস্তাদ! কখনো বা ক্ষেপে গিয়ে বলি’ ঘরে যে কাজ পড়ে আছে কে করবে ওসব? কখনো সখনো বুঝেও থেমে যাই, যেতে হয়!
পিয়ালী নুপুর বৃষ্টির মধ্যরাত
বাহিরে কি মসৃন ত্বক তার, কি উচ্ছাস মাখা হাসি! যেন সুখের জন্যই এদের জন্ম।
একদিন এভাবে গা ভাসাবো আমি যেখানে শুধু বরফ আনন্দ থাকবে। উচুঁ দালান না হোক একচালা টিনের ঘর তো হবে? না হোক সানাই রাত আমার হবে পিয়ালী নুপুর বৃষ্টিমুখর রাত। যে রাতে চোখের কাজলে রাখবো ধরে তোমাদের রাতবিদায়ী কষ্ট।
ছেলেটির নাম মেঘ মেয়েটির নাম বৃষ্টি
চোখ যেন তার মার্বেল পাথর, কোথাও কমতি নেই কাজলের, সারাক্ষণ মিশে থাকে মানুষের মাঝে। কথা কয় কখনো যেন দীর্ঘশ্বাস না পড়ে সব আনন্দ বুক পেতে নিযে মুখে থাকে উসখুস অপেক্ষা! কখনো আঁধার ছুড়ে ধরনীর বুকে থমকে দেয় নাগরিক পথচলা, কখনো ভেসে বেড়ায় সাদা ভেলায়। বুকে তার গঙ্গাকুমারী বৃষ্টি!
পায়ের পাতায় স্বর্ণ আলোর গড়া পায়েল আর মুখে আনন্দের ছায়া, চোখ দু’টি যেন ফোয়ারা। যেথা যায় সে, সেথায় মোহিত করা তন্ময় হরা ঝনঝন শব্দ। সে, এক সমুধুর শব্দ, যে শব্দের কোন তুলনায় তুলনা করা দ্বায়। তার বাস আকাশের গায় মেঘের বুকে।
সুসং নগর, উইলকিংসন রোড
৬ জুলাই-২০১৩ খ্রিঃ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


