খুল্লনার শার্পার প্রেমে
হাজার বছর ধরে চলছে সাবকনসাস
অকণ্টক অকপট এই নিজেকে সাবসট্যানশিয়েট-
করা হয়ে উঠেনি।
মহাপ্রলয় আসন্ন, অচিরেই
পীতসার অরণ্যের পুংস্কোকিল হয়ে মহাকাশ খেয়ে নেব
হয়তো তখন দূর হবে জগদঙ্কুল সকল রেংকরাস।
কোমরের নিচে শুয়ে ছিল ঘুমন্ত শঙ্খচূড়!
যে কিনা সুরঙ্গের আহবানে কখনো সাড়া দেয়নি;
মুখ ভরতি বিষ নিয়ে কাটিয়েছে ত্রিশ বসন্ত
কিন্তু একদিন ঘুম ভেঙে দেখে ঋতুবতী শহরে-
সুঘ্রাণ নেই, শুধুই জলজ স্রোত।
যে তোমার ভাবনারে অতোটুকুও পরোয়া করে না
তার জন্য তুমি রেখে দিতে পারো অগ্নিশ্বাস!
বনসঙ্কুল পথে তারে ঠেলে দিয়ে হয়ে যেতে পারো তুমি বাঘ
কিংবা তারে রমনী ভেবে তুমি হয়ে যেতে পারো হ্যাংলাটে।
যে শুধু চুল বাঁধবে বলে—
দুপুর-রাতে যে তোমাকে পাঠায় চুলের ক্লিপ কিনে আনতে
তার জন্য আনতে পারো মেঘডম্বুর কোন সাপ।
বিষের বদলে তারে দিতে পারো এসিড
যেন ভেতর থেকে সব পুড়ে যায়।
যে তোমাকে বিশ্বাস করবে বলে—পেতে দেয় তার হাত
তাকে তুমি উপহার দাও মন্দাকিনী রাত।
শীতের রাতে তারে নামাতে পারো পুকুরে
ভালোবাসার ভুত যেন উবে যায় এভাবেই।
রাষ্ট্রের লীলাবতি যে চোখ তোমাকে দেয় মিথ্যে আশ্বাস
তার চোখ উপড়ে ফেলার সাহসটা নিতে পারো
ধনবানের ধনে সৃষ্টি করতে পারো আগ্নেয়গিরি
দিতে পারো তার হাতে মৃত মানুষের মাথার খুলি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৭