somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডাক্তারদের ডাক্তারী পড়া শেষে, আরেকটা কোর্স করা উচিত.... হাউ টু ডিল/ বিহ্যাব ইউথ প্যাশেন্টস

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একজন রোগীর দৃষ্টিকোন থেকে দেখা, রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলতেছি। আমার মনে হয়, ডাক্তারী পড়ার পরে, ২ বছরের আরেকটা কোর্স পড়া উচিৎ, "হাউ টু ডিল ইউথ প্যাশেন্টস"। ইথিকস বিষয়েও পড়ানো উচিত। মানুষের জীবন যতটা তাদের উপর নির্ভর করে অন্য কোন পেশার মানুষের উপর নির্ভর করে না।ডিরেক্টলি মানুষের জীবন নিয়ে তাদের পেশা।ড: এর ব্যবহারেই তো রোগীর অর্ধেক রোগ ভাল হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু... হচ্ছেটা কি?

অনেক মানুষ কোন অসুখ হলেই ঢাকায় আসেন, একটু ভাল চিকিৎসার জন্য।এসে কোন সরকারী হাসপাতালের ড: এর চেম্বারে দেখান, যাতে হাসপাতালে তার সুপারিশে একটা সিট পাওয়া যায়।আর ড: ইচ্ছামতন এই টেষ্ট সেই টেষ্ট করিয়ে রোগীকে মুটামুটি বিশাল পরিমান টাকা খসান। এই টেষ্টগুলা অনেকে মফস্বল থেকে করে এলেও ড: তা একসেপ্ট করেন না। ইভেন রক্তের গ্রুপও।

আর যারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত / মধ্যবিত্ত ঢাকায় থাকে, কিংবা অন্য জায়গা থেকে আসেন তারাও চেম্বারেই রোগী দেখান। কয়েক সপ্তাহ আগে সিরিয়াল দিয়ে। আবার সেই একি কাহিনী, এই টেষ্ট সেই টেষ্ট ... এমনও দেখা গেছে, ইবনে সিনা থেকে কোন টেষ্ট করালে হবে না, করাতে হবে পপুলার থেকে কিংবা ড: যেখানে বলবেন সেখানে। টেষ্ট করে দেখা যায় ৯০% টেষ্ট ড: না দিলেও পারতেন। আর একটু এদিক সেদিক হলেই তার পছন্দের ক্লিনিকে ভর্তি অত:পর পয়সার শ্রাদ্ধ।

চিত্র:
১।
আমি একদিন পিজির আউটডোরে নাক, কান গলার ড: দেখাইছি, একজন সহকারী অধ্যাপক। উনি আমাকে একটু দেখে বলেন, আপনার নাকে অপারেশন করতে হবে। ব্লক আছে ঠিক করতে হবে।এই নিন আমার ক্লিনিকের ঠিকানা, আজকে বা কাল বিকালেই চলে আসেন!! এটা ২০০৩ এর কথা, কই আজ পর্যন্ত আমার তো অপারেশন করতে হল না।আমার তো কোন সমস্যা নাই।

২।
আমার মা, দাতের পেইন নিয়া, দাতের ড: এর কাছে গেছেন, ড: উনাকে বলে রুট ক্যানেল করতে হবে।আম্মু বলে, এতে কি হবে ড: বুঝায় ব্যাথা থাকবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।রুট ক্যানেল বলতে যেটা আমি বুঝি, দাতের শিকর কেটে দেয়া হবে,হয়ত ফিলিংও করা হবে। দাতটা একটা নকল দাতের মত থাকবে সারাজীবন। আম্মুকে রুট ক্যানেল করাই নাই, ৫বছর ধরে উনার দাত ঠিকই ভাল আছে।

৩।ছোট ভাইয়ের কিডনিতে সমস্যা হয়েছিল।সাধারনত যে কোন রোগের শুরুতেই আমরা মেডিসিনের ড: এর কাছে যাওয়ার কথা ভাবি, কারন আমরা তো সিম্পটম দেখে বুঝি না কোন স্পেশালিষ্টের কাছে যাব! ১মে যে ড: দেখান হয় সে ২,৩সপ্তাহে রোগই ধরতে পারেন না আবার অন্য ড: এর কাছে রেফারও করেন না। উল্টা পাল্টা কিছু টেষ্ট দিয়ে আর নিয়মিত তার ভিজিট নিতেন।

৪। আম্মুর ডায়বেটিস। উনি বারডেমের ড: দেখান। কিন্তু উনি মনে হয় ৫জন ড: চেন্জ করছে। শুধু মাত্র একটা কারন, ড: এর ব্যবহার ভাল না, মনযোগ দিয়ে কথা শুনে না। এমন সব কথা ড: রা বলেন যেটা শুনলে মনে হয়, ডাক্তার না কষাই।আমার মায়ের বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। ড: কে কোন সিম্পটমস বললে ড: উত্তর দেন, এমন রোগ তো ছেলেদের হয়, মহিলাদের তো হওয়ার কথা না কিংবা আপনি মিথ্যা বলতেছেন / ঢং করতেছেন!!

৫। কয়েকদিন ধরে জ্বর।এক ঈদের ছুটিটে অনেক ড:ই রোগী দেখেন না। সুতরাং না পেরে এক ড: এর কাছে গেলাম, সে আবার এলার্জি স্পেশালিষ্ট।অনেক জার্নাল বের হয়েছে তার।আমাকে কয়েকটা পেরাসিটামল দিয়ে, একগাদা অন্য টেষ্ট দিলেন, মনে হল আমার এলার্জি না থাকলেও বানিয়ে দেয়া হবে।

সবাই একরকম নয়। আবার এমন ড: আছেন রোগীকে বেশি পরীক্ষা দেন না।ইভেন, প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন, নিজের পারসেন্টেজের অংশ ছেড়ে দেন, যাতে পরীক্ষা করানোর খরচ কমে।উনি প্রতিদিন ৩০জন রোগী দেখেন, ৮ঘন্টা ধরে। কিন্তু এদের সংখ্যা অনেক কম।আবার এমনও আছে ৫ঘন্টায় ১০০জন দেখেন।আমার ফেমিলিতে মোট যদি ১০০টা ড: দেখান হয়, তার মধ্যে ৮০-৯০জনই একই রকম। রোগী দেখার জন্য বেশি হলে ৩/৫মিনিট টাইম, তাড়াতাড়ি কিছু শুনেই একগাদা টেষ্ট। যেদিন টে্ষ্ট নিয়ে আসবে ঐদিনেরও ফি আছে।মুটামুটি ড: দেখালেই কয়েক হাজার টাকার ধাক্কা। এইটাই কমন চিত্র।

ভাববেন না শুধু খারাপ ড: এর সাথেই দেখা হয়েছে।দেশের সবচেয়ে বড় বড় ড: দের সাথেও দেখা হয়েছে.।ড: আবুল কালাম আজাদ, ড: নেছারউদ্দিন, ড: প্রানগোপাল দত্ত, ড: রতন, ড: হারুন... আরো অনেকে....এদের সবার থেকে ভাল/খারাপ এই এক্সপেরিয়েন্স।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৪
৪৪টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×