somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মরীচিকা- তৃতীয় পর্ব

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দ্বিতীয় পর্ব এখানে: Click This Link

আমি স্থবির হয়ে বসে রইলাম। ওর অঝোর ধারায় কান্না দেখে সহানুভূতিতে ছেয়ে গেল মনটা। একবার মনে চাইল ওর কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দেই। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সংযত করে নিলাম। কেঁদে কেঁদে কিছুটা হালকা হোক।

বেশ কিছুক্ষণ পর কান্নার বেগ কমে এল। ওর রুমালটা আগেই ভিজে গিয়েছিল। টেবিলে টিস্যু থাকার পরও আমি নিজের রুমালটা বের করে দিলাম। ও রুমাল দিয়ে চোখমুখ মুছে নিল ভালো করে। তারপর চোখ তুলে সরাসরি চাইল আমার মুখের দিকে।

"স্ক্রীনে নিশ্চয়ই তোমার আর রবিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ছিল?" আমি যথাসম্ভব নিজের রাগটুকু ওকে বুঝতে না দিয়ে গলায় কাঠিন্য এনে জিজ্ঞেস করলাম।

"হ্যাঁ" বলল ফারিহা। "রবিন যে এমন জঘন্য আর নীচ প্রকৃতির হবে আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।"

আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে বললাম- শুধু রবিনকে দোষ দিয়ে লাভ কী? তোমারও তো আগপাছ আর পরিণতি ভেবে এসব করা উচিত ছিল।

"রবিন আমাদের সব অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো গোপন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে রেখেছিল। আমি ঘুণাক্ষরেও এসব জানতে পারিনি। আজিমকে জিজ্ঞেস করলে ও বলল যে রবিন নিজেই নাকি তাকে এসব দিয়ে গেছে। আজিম নাকি এই কয়েক মাসে রবিনের সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু বরিনের কোন সাড়া পায়নি। শেষে আমাকে ডেকে সব কথা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু পরে বুঝলাম ও মিথ্যা বলছে। রবিন হয়ত ওকে ভিডিও ক্লিপগুলো দিয়ে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু আজিম রবিনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে এটা সর্বৈব মিথ্যা। কারণ ভিডিও ক্লিপগুলো আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার সুবর্ণ সুযোগ আজিমকে এনে দিয়েছিল। সুতরাং কোন দুঃখে ও রবিনকে হন্যে হয়ে খুঁজতে যাবে? আর এই ব্যাপারটা তার পরের আচরণেই আমি বুঝে যাই।"

যদিও পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে পানির মত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল তবুও আমি জিজ্ঞেস করলাম-

"হুম! তার পরের আচরণটা কী ছিল?"

কিছুক্ষণ থম মেরে থেকে আবার ফুঁপিয়ে উঠে ফারিহা আবার বলতে শুরু করল-

"তারপর আমার জীবনে নেমে এল সর্বনাশা অন্ধকার। আজিম আমাকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করল। আমাকে ভয় দেখাল, যদি ওর প্রস্তাবে রাজী না হই তাহলে এসব ক্লিপ প্রথমে আমার বাবা-মা'র কাছে এবং তারপর ইন্টারনেটের প্রতিটি মাধ্যমে পোঁছে যাবে" বলে আবার কাঁদতে শুরু করল ফারিহা। কিছুক্ষণ পর কাঁদতে কাঁদতেই বলতে লাগল-

"প্রথমে ওর সাথে শুতে বাধ্য করল আমাকে। তারপর শুরু হল আমার উপর জঘন্য অত্যাচার। সপ্তাহে তিনদিন ওর কাছে যেতে হত। কিছুদিনের মধ্যে আমার কাছে মোটা অংকের টাকাও দাবি করতে শুরু করল। আমি তখন অত টাকা কোথায় পাব? তারপরও আমার জমানো কিছু টাকা ছিল ওগুলো সব দিয়ে দিলাম। মা'র কাছ থেকে এটা ওটা কিনব বলে বেশ কিছু টাকা চেয়ে চেয়ে নিয়ে ওকে দিয়েছি। বাবার কাছ থেকেও নিয়েছি। কিন্তু এভাবে আর কত টাকা চাওয়া যায়? আমার কিছু গয়না ছিল সেগুলোও ওকে দিয়ে দিয়েছি।"

মনে মনে আমি কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। কুলাঙ্গার দুটোকে যদি হাতের মুঠোয় পাই তাহলে এমন শাস্তি দেব যে ওদের চৌদ্দগুষ্টিতে এমন অপরাধ করার মানুষ আর জন্মাবে না।

"এদিকে বাবা-মা আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া শুরু করেছেন। বাবার বন্ধু কাম-ব্যবসায়িক পার্টনারের বিদেশে অবস্থানরত একমাত্র ছেলের সাথে নাকি আমার বিয়ের আলাপ-আলোচনা আগেই সেরে রেখেছেন। ছেলের বিদেশে ব্যবসা আছে তাই সে বিয়ে করে আমাকে ওখানেই নিয়ে যাবে। কিন্তু এই অবস্থায় আমি বিয়ের কথা চিন্তাও করতে পারছিলাম না।" বলে একটু থামল ফারিহা।

"তারপর একদিন সুযোগ এল। আজিম আমার টাকাগুলো দুহাতে উড়াতে প্রায় একমাসের জন্য ব্যাংকক চলে গেল। আমি সেই সুযোগে বাবাকে বিয়ের কথা বললাম। শর্ত দিলাম যে একমাসের মধ্যেই বিয়ের কাজ সেরে আমাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। বাবা এ কথা শুনে খুবই খুশি হলেন। কারণ ছেলে শর্তই এমন দিয়েছে যে বিয়ের পর বউকে নিয়ে বিদেশেই থাকবে। তাই বাবা বিয়ের আয়োজন করতে লেগে গেলেন। এদিকে আমি ভাবতে লাগলাম বিয়ের পর আমাকে না পেয়ে আজিম কী করতে পারে? আমি ওর চরিত্র খুব ভালোভাবেই বিশ্লেষণ করেছি। সে একটা সুযোগসন্ধানী ছোটলোক ইতর। তারওপর অত্যন্ত লোভী। আমি না থাকলে আর আমার ঠিকানা না জানলে ও আর আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে না। যেহেতু সে অত্যন্ত লোভী তাই তার লোভ পূরণ না হলে আমার ক্ষতি করে ওর কোন লাভ নেই। আমি জানি ভিডিও ক্লিপগুলোই হল ওর অস্ত্র। আর আমি না থাকলে ওই অস্ত্র প্রয়োগ করলে আমার ক্ষতি হলেও ওর কোন লাভ হবে না। তাই সে এসব প্রকাশ না করে সুযোগের সন্ধানে থাকবে। কিভাবে আমার কাছ থেকে আরও সুবিধে আদায় করা যায় তা বের করার ফন্দিফিকির শুরু করবে। তাই শেষমেশ আমি ভেবেচিন্তে সাহস করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। সমস্যা যদি অবশেষে হয়েই যায় তাহলে যখনকার সমস্যা তখন দেখা যাবে। আগাম চিন্তা করে এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। তাই বাবাকে বিয়ের আয়োজন করতে বলে বিয়ের পর আমার ঠিকানা বা আমার সাথে যোগাযোগের কোন সুযোগই যেন আজিম না পায় সে মত ব্যবস্থা নিলাম।"

এত কথা বলে নিশ্চয়ই ফারিহার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল। তাই সামনে রাখা গ্লাস থেকে ঢকঢক করে পানি খেল। তারপর একটু সুস্থির হয়ে আবার বলতে শুরু করল-

"তারপর একদিন সাজিদের সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেল বিয়ের পর আমরা আমেরিকায় চলে যাই। মিয়ামি শহরে ওর পার্টনারশীপে হোটেলের ব্যবসা ছিল। সাজিদের চরিত্র আমার কাছে একটু সন্দেহজনক লাগলেও আমরা সেখানে খুবই সুখে ছিলাম। সেখানে আমাদের ছেলে আরিয়ানের জন্ম হয়। এর মধ্যে আরেকটি ব্যাপার ঘটে যায়।

একদিন পত্রিকা হাতে নিয়ে সাজিদ জানাল যে বাংলাদেশী কিছু ছেলে এদেশে এসে দেশের নাম ডুবিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বাংলাদেশী এক ছেলের লাশ নাকি নিউ ইয়র্কের কোন রাস্তার পাশের নর্দমায় পাওয়া গেছে। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী সে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে। পেপারে লিখেছে- ছেলেটা নাকি কোন অভিজাত নাইটক্লাবের স্ট্রীপটিজ ড্যান্সার এক মেয়েকে নিয়ে গিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে তোলে। কাজ শেষ হলে টাকা নিয়ে মেয়েটার সাথে ঝগড়া শুরু হয়। মেয়েটা নাকি অস্বাভাবিক অংকের টাকা দাবি করে। টাকা না দিয়ে মাতাল অবস্থায় ছেলেটা অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে। তারপর এক পর্যায়ে মেয়েটার মুখে ঘুষি মারে। এতে মেয়েটার দুটো দাঁত খসে গিয়ে পুরো মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়। সে দরজা খুলে বাইরে এসে ছেলেটাকে তুমুল গালিগালাজ করতে থাকে। ঝগড়া আর গালিগালাজ শুনে পাশের ফ্ল্যাটের এক লোক বের হয়ে আসে। সে মেয়েটার মুখ থেকে সব শুনে বাড়ির ম্যানেজারকে জানায়। মেয়েটা চলে যাওয়ার পর ম্যানেজার এসে সব শোনার পর ছেলেটাকে এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দিয়ে চলে যায়। পরের দিন ছেলেটার লাশ রাস্তার পাশে এক নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশের পকেটে আইডি কার্ড পাওয়া গিয়েছিল। সেখান থেকেই পরিচয় উদ্ধার হয়। ছেলেটার নাম রবিন। পুলিশ সেই ড্যান্সার মেয়েটাকে খুঁজছে।

আমি নাম শুনে মনে মনে চমকে উঠি। পত্রিকায় ছেলেটার ছবি ছাপা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করি। জবাবে সাজিদ পত্রিকাটা আমার দিকে এগিয়ে দেয়। ছবি দেখে আমি স্থাণুর মত নিশ্চল হয়ে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। ছবিটা আর কারও নয়, আমার জীবনটাকে তছনছ করে নষ্ট করে দেয়ার নায়ক সেই বিশ্বাসঘাতক রবিন" বলে ফারিহা একটু করুণামাখা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল।

যাহ শালা! মনে মনে আমি আফসোস করলাম। একটা শুয়োর হাত থেকে ফসকে গেল! অবশ্য শাস্তিটা একেবারে খারাপ হয়নি। তবুও নিজের হাতে শয়তানটাকে একটু কড়কে দিতে পারলে মনে কিছুটা শান্তি পেতাম।

এদিকে ফারিহা আবার বলতে শুরু করেছে-

"আমি তখন অতীতের সবকিছু আস্তে আস্তে ভুলে যেতে শুরু করেছি। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! সুখ বেশীদিন আমার কপালে সইল না। বিয়ের আট বছরের মাথায় সুখের সংসার একদিন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল! বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত একদিন সাজিদের বাবার মৃত্যুর সংবাদ এল" বলে আবার করুণ একটু হাসল ফারিহা।

"বাবার মৃত্যুর পর ওখানকার ব্যবসা পার্টনারের কাছে বেচে দিয়ে সাজিদ পারিবারিক ব্যবসা আর মা'র দেখাশোনার জন্য স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে এল। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার আমি অতীতের বিভীষিকাময় আর অন্ধকার জীবনের অতল গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হলাম।"

"হুম! দেশে আসার পর আবার আজিম তোমার আসার খবর জেনে গেল আর তুমি আবার তার খপ্পরে পড়লে" আমি বিড়বিড় করে বললাম।

"হ্যাঁ, আবার শুরু হল সেই নরকযন্ত্রণা। এবার আজিমের চাহিদা বেড়ে গেল। এবার দেহের চেয়ে টাকার খাঁই বাড়ল ওর। প্রতি সপ্তাহেই টাকার অংক বাড়িয়ে চলল। আমার এতদিনের জমানো সব টাকা ওকে দিয়ে দিতে বাধ্য হলাম। তারপর সাজিদের কাছ থেকে নানা বাহানায় টাকা নিয়ে নিয়ে শয়তানটাকে দিয়ে গেলাম। বিয়ের সময় প্রচুর গয়না পেয়েছিলাম সেগুলোও চলে গেল। তারপর শুরু হল তার আরও জঘন্য আর আরও ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা। এরপর আমাকে সে তার অফিসের বসের সাথে রাত কাটাতে হবে বলে জানিয়ে দিল। সে নাকি আমার ছবি তার বসকে দেখিয়েছে। আমাকে পাবার বিনিময়ে তার বস তাকে বিশাল সুযোগসুবিধে দেয়ার অঙ্গীকার করেছে" বলে আমার দিকে সকরুণ চোখে চেয়ে থেকে আবার চোখের পানি ছেড়ে দিল ফারিহা।

জানোয়ারটার এমন জঘন্য পরিকল্পনা আর নীচতার ব্যাপারটা জানতে পেরে আমি থ' হয়ে গেলাম। হাত দুটো নিশপিশ করে উঠল। শয়তানটাকে এখন হাতের কাছে পেলে ওর টুঁটিটা একটানে ছিঁড়ে ফেলতাম।

"আমি ওর বসের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে আজিমের কাছে এক মাস সময় চাইলাম। তারপর অনেক ভাবলাম। সাজিদকে বা পুলিশকে তো এই ব্যাপারটা জানানোর প্রশ্নই ওঠে না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আত্মহত্যা করব" বলল ফারিহা। "কিন্তু আমার ছেলেটার দিকে চেয়ে সিদ্ধান্তে স্থির হতে পারছিলাম না। ওর মায়াময় মুখের দিকে চেয়ে আর ওর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্তটাকে বারবার পিছিয়ে দিচ্ছিলাম।"

"আত্মহত্যা এ ব্যাপারটার সমাধান নয় ফারিহা। আত্মহত্যা করলে আরও কমপক্ষে তিনটে জীবন তছনছ হয়ে যাবে। সুতরাং ও চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল" দৃঢ় সুরে বললাম আমি।

"জানি। কিন্তু এছাড়া আমার আর কী উপায় ছিল বল?" বলল ফারিহা। "তারপর জীবনে যা করিনি সেটাই করতে শুরু করলাম। আল্লাহর কাছে বারবার আমার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে থাকলাম। আল্লাহ মনে হয় আমার আর্তি শুনেছেন। তিনি পরশুদিন তোমাকে পাইয়ে দিলেন।"

"সম্ভবত তুমি আমাকে একেবারে শেষ মুহূর্তে চিনতে পেরেছিলে তাই না? কিন্তু আমার নাম্বার কোথায় পেলে?

"প্রথম থেকেই তোমার কাছে সাহায্য চাওয়ার কথা আমার বারবার মনে হয়েছে। তোমার কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত যে কতবার নিয়েও আবার তা বাতিল করে দিয়েছি তার কোন হিসাব নেই। একটা ব্যাপারই শুধু প্রতিবার আমার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা হচ্ছে তোমার সাথে আমার বিশ্বাসঘাতকতা। মনে হয়েছে- কোন মুখে আমি তোমার সামনে সাহায্যের আশায় গিয়ে দাঁড়াব? কারণ তোমার কাছে যে অপরাধ আমি করেছি তা কোনমতেই ক্ষমার যোগ্য নয়। তুমি সাহায্য করতে কিনা জানি না কিন্তু আমিই তোমার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে সাহস পাইনি।"

আমি মনে মনে বললাম- তুমি সামনে এসে দাঁড়ালে হয়ত সব অভিমান ভুলে গিয়ে তোমাকে সাহায্য করার জন্য ঠিকই এগিয়ে যেতাম।

"তারপর সেদিন ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দেয়ার পর ড্রাইভার বলল গাড়ির নাকি কিছু কাজ করাতে হবে, তাই একটু দেরী হতে পারে। আমি বললাম- ঠিক আছে, আমি ট্যাক্সি নিয়ে চলে যাব। যতক্ষণ লাগে তুমি গাড়ির কাজ শেষ করে এসো।

স্কুল ছুটির পর আমি ছেলেকে নিয়ে গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর আল্লাহ সেদিন তোমাকে মিলিয়ে দিলেন। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে তোমার চেহারা দেখেছিলাম তারপরও তোমাকে দেখার পর মনে হচ্ছিল যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। তুমি চলে যাওয়ার সময় সেদিন তোমার ট্যাক্সির কোম্পানীর নাম দেখে নিয়েছিলাম। গাড়ির নাম্বারটাও দেখেছিলাম। তারপর ট্যাক্সি কোম্পানীর অফিসে গিয়ে তোমার নাম্বার সংগ্রহ করি।"

আগামী পর্বে সমাপ্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×