somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভৌতিক গল্প:ছায়াশিশু (শেষ পর্ব)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রথম পর্ব এখানে

তিন
ফুপু শাশুড়ি চলে যাওয়ার পর আমরা বেশ বিপদেই পড়ে গেলাম।আমি তখনও বেশ দূর্বল,হাসবেন্ডের পক্ষেও বেশিদিন ছুটি নিয়ে বসে থাকা সম্ভব না তাই ভাবিকে আসতে হলো বাচ্চাদের নিয়ে।তিনি ছিলেন শ্বশুরবাড়ির একমাত্র সমব্যাথি তাই তাকে পেয়ে আমি ভীষণ খুশি হলাম।বাচ্চাদের নিয়ে ভাবির সাথে সময়টা দারুন কাটতে লাগল সেই সাথে তার আন্তরিক সেবায় আমি দ্রুত সেরে উঠতে লাগলাম।

একদিন ভাবিকে জিগাসা করলাম এই বাড়িতে উনি ভয়ের কিছু দেখেছেন কিনা।উনি বললেন না ভয় পাওয়ার মত কিছু না তবে দু একবার চোখের কোনে মনে হয়েছে যেন কোনো ছায়া সরে গেল,ছোট বাচ্চার ছায়া।তবে সেটা মনের ভুল বলেই মনে করেন তিনি।তাছাড়া বাড়িতে দুটি ছটফটে বাচ্চা রয়েছে।তাদের ছায়াও হতে পারে।আর ঐ দুজনের ভয় পাওয়া আর বর্ণনার কথা মনে তো প্রভাব ফেলেছেই।যদিও ফুপু আর ময়নার ভয় পাওয়াটা আমাদের কাছে কৌতুকের বিষয় হয়ে উঠেছিল ইদানিং।সবাই জানে ফুপু বাচ্চা কাচ্চা একদম সহ্য করতে পারেন না।নিজের বাচ্চাদের বাসায় না থেকে ভাইয়ের বাসায় থাকেন।ভাবির বাচ্চাদের সাথেও খুব খারাপ ব্যবহার করেন।ভাবির ধারনা এলাকার কোনো বাচ্চা হয়ত খারাপ ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে জানালা দিয়ে ভেংচি কেটে ভয় দেখিয়েছে।ভয়ে আর উনি ঠিক রাখতে পারেন নি কোথায় কি দেখেছেন।

আমি সুস্থ হলে ভাবি ফিরে গেলেন তবে তার আগে আমরা সবাই মিলে অনেক কেনাকাটা করলাম।বাজারে নরম সুতির একটা হালকা গোলাপি ফ্রক দেখে হঠাত আমার সেই মেয়েটির কথা মনে হলো।মেয়েটির হয়ত ঐ একটাই জামা।সাতপাঁচ ভেবে জামাটি কিনে নিলাম।অনেকদিন দেখিনা মেয়েটাকে,আবার দেখা হলে জামাটা দিয়ে দেব ঈদের উপহার হিসাবে।

একদিন কান্তি আসল কিছু মাছ বেচতে।ঈদের আর বেশিদিন বাকি নেই।তাই পাওনা টাকা তুলতে বেরিয়েছে।পান চিবাতে চিবাতে সে রাজ্যের গল্প করতে লাগল।আমি তাকে মেয়েটির বর্ননা দিয়ে জিগাসা করলাম তার কাছে জামাটা পৌঁছে দিতে পারবে কিনা।কান্তি খুব জোর দিয়ে বলল যে এমন কোনো মেয়ে তাদের গ্রামে নেই।আমি ভাবলাম জেলে পাড়া ছাড়াও আরো লোকালয় আছে,বস্তি আছে।হয়ত মেয়েটা সেইখানকার।

একদিন নাস্তার পর আমার পুরোনো শখ জেগে উঠল,মনে হলো একটু বেড়িয়ে আসি।কি ভেবে জামাটাও নিয়ে নিলাম সাথে জঙ্গলে যদি মেয়েটার সাথে দেখা হয় তবে দিয়ে দেব।কিছুক্ষণ জঙ্গলের রাস্তায় বেড়িয়ে আমার খুব ইচ্ছা হলো পুকুরপাড় থেকে ঘুরে আসতে।সেখানে গিয়ে দেখলাম মেয়েটি নেই তবে।কিছুক্ষণ আনমনে বসে থেকে বাড়িটা দেখলাম।জঙ্গলে ঢাকা ভগ্নপ্রায় বাড়ির আকৃতিটা কেমন যেন ভৌতিক।একবার ভাবলাম ভেতরে গিয়ে দেখি কি আছে কিন্ত পা বাড়াতেই গা কেমন ভারী হয়ে উঠল তাই সে চিন্তা বাদ দিলাম।বরং গাছ থেকে পাকা সফেদা পেড়ে খেতে খেতে ঢুলুঢুলু চোখে রোদের মিষ্টি তাপ আর হাওয়া উপভোগ করতে লাগলাম।এই এক অদ্ভুত ব্যাপার আরো দুয়েক বার এখানে এসেছি কিন্ত প্রতিবারই কেমন ঝিমঝিম আরামের মত হয়ে চোখ জুড়ে ঘুম আসে।আজ আর ঘুমাব না ভেবে যেই উঠে চলে আসতে যাব দেখি ঝোপের আড়ালে লাল জামার ঝিলিক।বুঝলাম দুষ্টু মেয়েটা লুকোচুরি খেলতে চাইছে।আমি মুচকি হেসে জামাটা সিঁড়ির উপর রেখে চলে এলাম।


সেদিন রাতে দুজনে কিছুটা হাসি মস্করা করে প্রতিদিনের মত লাইট অফ করে ঘুমিয়েছি।হঠাত মাঝরাতে দুজনের ঘুম ভেঙ্গে গেল একসাথে।না কোনো শব্দ নয় বরং আশ্চর্য নিস্তব্ধতা!সেই সাথে হাস্নাহেনা আর শিউলির তীব্র গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে আছে।আর পুরো ঘরটা কেমন যেন জ্যোৎস্নাময় হয়ে আলোকিত হয়ে আছে।সেই আলোতে আমরা দুজনেই এক অপার্থিব দৃশ্য দেখলাম।পুরো মেঝেতে অসংখ্য শিশু গুটিসুটি মেরে বসে আছে।নানা বয়েসের নানা চেহারার শিশু।কিছু শিশু খুবই ছোট আর তাদের নাভিতে ঝুলে থাকা নাড়ীই বলে দিচ্ছে যে তারা অপুষ্ট মানব ভ্রুন।আমার সাহেব হয়ত কিছু বলার চেষ্টা করলেন কিন্ত একটু গোঙানোর আওয়াজ ছাড়া কিছুই বের হলো না।আমি শিউরে উঠলাম যখন দেখলাম সেই অসংখ্য শিশুর মধ্যে লাল ফ্রক পড়া মেয়েটিও রয়েছে।হঠাত তারা সবাই একযোগে উঠে দাঁড়ালো!জ্যোৎস্নাময় ঘরে কয়েকশো শিশুর চোখগুলো জ্বলজ্বল করতে লাগত।হটাত তারা হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে থাকে।হেটে,হামাগুড়ি দিয়ে, বুক ঘষটে ঘষটে তারা এগিয়ে আসতে থাকে আমাদের বিছানার দিকে।আমাদের শরীরের কাঁপুনি তখন বাধা মানছে না।হঠাত আমার হাসবেন্ড জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন বিছানায়।আমার সমস্ত সাহস হাওয়ার মত মিলিয়ে গেল।কয়েক মুহুর্ত পর সেই কয়েকশত শিশু যখন বিছানা ঘিরে ধরেছে তখন আমিও জ্ঞান হারালাম।


চার
সেই ঘটনার পর অনেকদিন কেটে গেছে।সে রাতের ঘটনা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি কিন্ত হিসাব মিলাতে পারিনি।সেদিন খুব ভোরে আমাদের জ্ঞান ফিরে আসে।হাসবেন্ড কোনো কথা বা বলে ব্যাগ গুছিয়ে আমাকে জোর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।তার অনেকদিন পর আমরা আবার বাসায় উঠি কিন্ত নতুন শহরে,নতুন বাসায়।

অনেকদিন হাসবেন্ড সেই রাতের ব্যাপারে একটা কথাও বলতে চাননি আমার সাথে।শেষে একদিন তিনি মুখ খুললেন।আমি চলে আসার পরেই তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে জিগাসাবাদ শুরু করেন।তাতে বেড়িয়ে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

প্রায় ১৬ বছর আগে এই এলাকায় এক দম্পতি এসে বাস শুরু করেন।তারা যে আসলে ডাক্তার তা খুব কম লোকই জানত।তারা যেমন তেমন একটা ফার্মেসী চালাত কিন্ত তাদের আসল ব্যবসা ছিল অন্য জায়গায়।তারা এই ধ্বংসস্তপ এর ভেতরে আস্তানা গাড়েন।এখানে ছিল তাদের গোপন ডাক্তারখানা আর অপারেশন থিয়েটার।এখানে গর্ভপাত থেকে শুরু করে আরো অবৈধ কাজ হতো অনেক টাকার বিনিময়ে।এসময় আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর বাচ্চা হারিয়ে যেতে থাকে।বেশ বড় চক্র এর সাথে জড়িত ছিল তবে মধ্যমনি ছিল এই ডাক্তার দম্পতি।খারাপ কিছু চলছে সন্দেহ হলেও কেউ সেসব জায়গা ঘাঁটাতে যায়নি কখনো।এমনিতেই ওদিকে মানুষ যেত না তেমন একটা।

গ্রামের জেলে সর্দারের একমাত্র সন্তান ছিল শিউলি নামের ফুটফুটে এক শিশু।একদিন তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।তার দুদিন পর গ্রামের একজন গরু খুজতে গিয়ে পুকুরপাড়ে চলে যায়।সেখানে শিউলির পরনের লাল জামা পানিতে ভাসতে দেখে গ্রামে এসে খবর দেয়।ক্ষুব্ধ জনতা এসে বাড়ি ঘেরাও করে,ডাক্তারখানা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।ছেলেধরা দুজন স্যাঙাৎ কে পিটিয়ে আধমরা করা হয়।ডাক্তার লোকটি আগুনে পুড়েই মরে যায় তবে তার স্ত্রী বিকলঙ্গ হয়ে বেঁচে আছে জেলে।

তার কাছেই জানা যায় তাদের কিডনিসহ অন্যসব অঙ্গ বিক্রির চক্র ছিল।ধরে আনা বাচ্চাদের অঙ্গ নিয়ে লাশগুলো সামনের পুকুরে বা বাড়ির ভেতরের কুয়ায় ফেলে দেয়া হতো।শিউলি মেয়েটিও খেলতে খেলতে বাড়ির কাছে চলে গিয়েছিল তাই তাকেও একই পরিনতি বরন করতে হয়েছে।

এরপর থেকেই নাকি ওখানে মানুষ ভয় পায়।অসময়ে জঙ্গলে ছায়াছায়া কারা হেটে বেড়ায়।মাঝে মাঝে পিছু নেয়।পুকুরেও নাকি ভাসতে দেখা যায় ফ্যাকাশে অপুষ্ট ভ্রুন।তাই সকলেই জায়গাটা এড়িয়ে চলে সবসময়।হাসবেন্ড তার ফোর্স নিয়ে পুকুর থেকে শতশত শিশুর কঙ্কাল উদ্ধার করেছেন।পাঁচ ছয় বছর ধরে চলা ববর্বরতার ফল ছিল এগুলো।সমস্ত এলাকার লোক ভেঙে পরেছিল এই করুন দৃশ্য দেখতে।স্বজনহারা অনেকেই সেখানে মিলাদ পড়িয়েছিল আত্মার শান্তির জন্য।আমার হাসবেন্ড অবশ্য সেই রাতের ব্যাপারে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে চায় না।পুলিশ হয়ে এসব বিশ্বাস করতে গেলেও তো সমস্যা,হয়ত সেজন্যই।

এসব শুনে আমি অনেক হিসাব মিলিয়ে ফেলি সহসাই।মানুষের নিদারুন নিষ্ঠুরতার শিকার তারা।অনেকের জন্ম হোক সেটাই চায়নি তাদের নিজ বাবা মা।সেই সব দু:খি বঞ্চিত শিশুর ছায়াকে ভয় পেয়েছে সবাই।আমিই নিজের অজান্তে সহানুভূতি দেখিয়ে তাদের নিজের সাথে ডেকে এনেছিলাম।আমার বাগানে খেলা করা শিশুদের অনেকেই ছিল ছায়াশিশু তা আমি তখন জানতাম না।

এখন আমরা সত্যিই ভাল আছি।হাসবেন্ডের বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে।আমার কোল জুড়ে এসেছে ফুটফুটে একটা মেয়ে।সে যখন ফ্রক পড়ে গুটিগুটি হাঁটে তখন মাঝেমাঝে আমার শেফালী নামের হতভাগা মেয়েটির কথা মনে পড়ে।খুব জানতে ইচ্ছা করে সে এখনও লাল ফ্রক পড়ে জঙলে খেলে বেড়ায় কিনা।খুব ভাবতে ইচ্ছা করে যে তার পরনে মাঝেমাঝে হালকা গোলাপী ফ্রক দেখা যায়।

আমার হাসবেন্ড এসব শুনলে বলে আমার খুব সাহস।সেই ভয়ানক রাতের পরও আমি তার কথা মনে করি।আমি মনেমনে হাসি,কারন সেদিন অজ্ঞান হওয়ার আগে আমি এমন কিছু দেখেছিলাম যা তিনি দেখেননি।বাচ্চা গুলি আমাদের আক্রমন করতে আসেনি,কোনো ক্ষতি করতেও নয় বরং তারা আমার দিকে হাত বাড়িয়ে একইসাথে বলে উঠেছিল,মা!!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×