somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভৌতিক গল্পঃ পাপ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক
মশার কামড় খেয়ে রাইসুল জঘন্য একটা গালি দিয়ে ওঠে।মনে মনে ভাবে কলিম আর বিজন এত দেরি করছে কেন?গতকাল থেকে সব প্লান পাকা করা আছে। রাস্তার পাশের এই ভাংগা মন্দিরের কাছে এসে সবাই জমায়েত হবে।তারপর তহুরাবিবির বাড়ির দিকে যাত্রা করবে।কলিম তহুরাবিবিকে ডাক দিয়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে কথায় ব্যস্ত রাখবে।তখন আড়াল থেকে রাইসুল আর বিজন এসে পেছন থেকে তহুরাবিবির মুখ চেপে ধরে তাকে ঘরের ভেতর টেনে নেবে।একবার ভেতরে নিতে পারলেই হয়,এরপর কাজ ফিনিশ করতে বেশিক্ষন লাগবে না।

রাইসুল শখের মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে সময়টা দেখে নেয়।রাত দশটা বেজে একান্ন।কিন্ত জংলের ভেতর এমনি অন্ধকার যে মনে হচ্ছে মাঝ রাত পেরিয়ে গেছে।রাইসুল বিজন কে ফোন দেয়ার চেষ্টা করতে করতেই ফোনটা বন্ধ হয়ে গেল।রাইসুল মনে মনে গাল দেয় আর ভাবে এতক্ষন ধরে ফোনে ভিডিও দেখা ঠিক হয়নি।

এদিকে বিজন নির্জন রাস্তা ধরে হেটে আসতে আসতে ভাবে ধুর!কি একটা ঝামেলায় পড়া গেল।কলিমের গায়ে নাকি জ্বর এসেছে।সে ফোনে বলে দিল এতদূর হেটে আসতে পারবে না।তহুরাবিবির বাড়ির কাছে গিয়ে যেন তাকে ফোন দেয়।এইজন্যেই এই নিশুত রাতে তাকে একা একা যেতে হচ্ছে।সে বিরক্ত হয়ে মনে মনে ভাবে জ্বর না ছাই।শালা আসলে ভয় পেয়েছে।হাজার হোক খুন খারাবি আগে তো করেনি।বিজনও এই লাইনে নতুন।কিন্ত তহুরাবিবি একদম চাক্ষুষ সাক্ষী। সে মুখ খুললে তাদের তিনজনেরই বিপদ।তহুরা যে এতদিন মুখ বন্ধ করে আছে সেটাই এক বিস্ময়। তবুও এমনতো কোনো গ্যারান্টি নাই যে চিরকালই মুখটা সে বন্ধ রাখবে।কলিম অবশ্য এইসব করতে রাজি হচ্ছিল না,বলছিল কিছু টাকা হাতে দিয়ে বেটিকে ভয় দেখিয়ে ঘর ছাড়া করতে।কিন্ত রাইসুল ওস্তাদ রাজি হয়নি।বিজন মাফলারটা ভাল করে জড়িয়ে নিয়ে আরো জোরে পা চালাতে থাকে।


দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হয়ে রাইসুল একটু হাটাহাটি করতে থাকে সেই সাথে মনে মনে প্লানটা শানিয়ে নেয়।ঘরে ঢুকেই বেটিকে তিনজন মিলে মেঝেতে ঠেসে ধরবে।এরপর নতুন কেনা ধারলো ছুরিটা দিয়ে বেটির গলায় দিবে পোঁচ বেটি টুঁ শব্দও করতে পারবে না। কাজটা রাইসুলই করবে বলে ভেবে রেখেছে।এমেচার পোলাপানের ভরসা নাই,গলা ঠিক মত কাটতে না পারলে বিপদ।তহুরাবিবিকে খতম করার পরই বেটির হাবাগোবা দশ বছরের পোলাটারে একইভাবে খতম করতে হবে।এরপর ছুরিটা তারা ফেলে রাখবে আজিজ মাস্টারের বাড়ির কলার ঝাড়ে।বিধবা তহুরার সাথে মাস্টারের জমি নিয়ে গন্ডগোল আছে তা সবাই জানে।ছুরি উদ্ধার হলে মাস্টার ফাঁসবে।নাহ খুব জব্বর একটা প্লান হইছে।

এইসব কিছুই করা লাগত না যদি শুধু শাপলা ছেড়িটা বলদের মত গলায় ফাঁস নিয়ে না বসত।কি আর এমন হইছিল?রাইসুল নাহয় একটু জবরদস্তি করেই সোহাগ করছে।তার প্রস্তাবে সরাসরি রাজি হইলে তো আর জোর করা লাগত না।

সেই দুপুরের কথা মনে করে রাইসুল মনে মনে পুলকিত হয়।ডাগরডোগর হয়ে ওঠার পর থেকেই শাপলার উপর তার নজর পড়ছে।অনেকবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে রাইসুল ছেড়িটারে রাজি করাইতে পারেনি। শাপলার দোকানদার বাপ স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সদরে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ায় শাপলা বাড়িতে একাই ছিল।সুযোগ বুঝে দুই সাঙাত নিয়ে সে ঘরে ঢুকে পড়ে।মেয়েটির হাত পা বেধে সাঙাতদের বাইরে পাঠিয়ে সে শাপলার উপর চড়াও হয়। এতটুকু দেখা গেলে কি হবে? ছেড়ির তেজ ছিল চরম।হাত পা বাধা অবস্থাতেই শরীর মুচড়িয়ে এমন কাহিনি শুরু করল যে বাধ্য হয়ে বাইরে পাহারা থেকে বিজনকে ডেকে এনে পুরো ঘটনাটা মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে হলো যাতে পরবর্তীতে কাউকে না বলতে পারে।ইচ্ছা ছিল ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আরো কিছুদিন ফায়দা লুটবে।কিন্ত তা আর হলো কই?কাওকে কিছু না বলে ছেড়িটা দুইদিন পর গলায় ফাঁস নিল।


স্কুলে পড়া মেয়ে।না জানি কোথায় চিঠিফিটি লিখে গেছে এই চিন্তায় পুরো সাতদিন রাইসুল ভয়ে ঘুমাতে পারেনি।কেউ কিছু না বলায় সে বুঝেছে আর বিপদ নাই।কিন্ত এই তহুরাবিবির কারনেই মনের খচখচানিটা দূর করতে পারছিল না।কি দরকার ছিল তখন শাপলাদের বাড়ির পেছনের ডোবার ধারে শাক তুলতে যাওয়ার?বাড়ি থেকে তাদের তিনজনকে বের হতে দেখে বেটি যেমন উল্টা দিকে হনহন করে হাটা দিল তাতে বুঝতে বাকি থাকে না যে সে ঘটনাটা দেখেছে বা বুঝেছে।এমেচার পোলাপান নিয়ে কাজ করার কি যে ভীষন জ্বালা!বাড়ির চারিদিকে ঘুরে পাহারা দেয়ার কথা ছিল কলিমের।তার চোখ ফাঁকি দিয়ে এই বেটি আসল কি করে?যাইহোক এখন এই বেটিকে পোলা সহ খতম করতে পারলেই নিশ্চিত হওয়া যায়।

এইসব ভাবতে ভাবতেই মন্দিরের পেছন দিকে চলে আসলো রাইসুল।ধ্বংসস্তুপ ছাড়া মন্দিরের আর কিছু নেই।চারিদিকে ইট পাথর ছড়িয়ে আছে।তেমনি কিছুর সাথে হোচট খেয়ে রাইসুল একটা গর্তে পড়তে যাচ্ছিল।কোনোমতে নিজেকে সামলে সে জোরে একটা গাল দিয়ে ওঠে।কিসের গর্ত রে বাবা!শেয়ালের নাকি!ঘুরে অন্যদিকে হাটার চেষ্টা করতেই তার গা ভারি ভারি ঠেকতে থাকে।চেষ্টা করেও পা ফেলতে পারে না।পাশের গর্ত থেকে কয়েকটি হাত তার পা জড়িয়ে ধরে সজোরে টান।প্রচন্ড জোরে আছড়ে পড়ে রাইসুল চিতকার করার চেষ্টা করে প্রানপনে কিন্ত পারেনা।হাতগুলো তাকে গর্তের ভেতরে টেনে নেয়।


এদিকে জংগলের কাছে রাস্তায় এসে বিজন রাইসুলকে ফোন দেয়।ফোন বন্ধ পেয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কিন্ত ঘন অন্ধকারে বনে ঢুকতে সাহস না পেয়ে ফিরে যায়।

সেদিন থেকে রাইসুল নিখোঁজ। পরিবার বলতে একমাত্র বড় ভাই কিছুদিন খোঁজখবর করার চেষ্টা করে,সফল না হয়ে হাল ছেড়ে দেয়।ভাবে ভেগে গেছে হয়ত কোনো চুলায় কোনো অপরাধ করে।এমন কুলাংগার ভাই না থাকলে কার কি ক্ষতি হয়?রাইসুলকে গ্রামের মানুষ দ্রুতই ভুলে যায়।শুধু তার পাপের সঙ্গীরা তাকে মনে রাখে তবে তার নাম ভুলেও কোথাও উচ্চারণ করে না।

দুই
বছরখানেক পরের কথা রাত প্রায় 10 টার দিকে জসিম সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে।জসিমের চেহারাটা খুব নিরীহ কিন্ত স্বভাব তার একদম বিপরীত। তার ভেতরে সাক্ষাত পিশাচ বসবাস করে।আজ তার মনে খুব আনন্দ কারন সে আজ একটা বিশেষ কাজ করতে যাচ্ছে।

বড় ভাইয়ের বউটা পোয়াতি।তাই বাড়ি ফিরে খাওয়া শেষে সে টিউবওয়েল চেপে একজগ পানি ভাইয়ের ঘরে দিয়ে যায়।আজ সে পানির সাথে সাথে বিশেষ একটা জিনিস মিশিয়ে দেবে। এক দুই গ্লাস পানি খেলেই হইছে,সকালের মধ্যেই গর্ভপাত হয়ে যাবে।এই কবিরাজের ওষুধ একদম ফাস্ট ক্লাস! কাজ হবেই হবে।

জসিম বরাবর ভাইভাবির কাছেই মানুষ।কাজকর্ম কিছুই করেনা কিন্ত সন্তানহীন ভাই এই নিয়ে কিছু বলেনা।ভাবিও তাকে সন্তানের মতই যত্ন করে।জসিম এতদিন জেনে আসছে সব সম্পত্তি তার কিন্ত এতদিন পরে বুড়া বয়েসে ভাবির সন্তান হবে।সে তা মেনে নিতে পারে না।সন্তান হলেই সম্পত্তি সেই সন্তানের।তাই এই পাকা ব্যবস্থা।বাচ্চাও মরবে,রক্তপাত হয়ে ভাবির ও মরার আশংকা।জসিম কিছুতেই এই সুযোগ হাতছাড়া করবে না।নিজের ভালর জন্য সে সব করতে পারে।

যেমন ছয়মাস আগে ওষুধ দিয়ে নিজের বউটাকে শেষ করেছে।কালো মেয়ে তার পছন্দ না।বিয়েও সে করতে চায়নি কিন্ত ভাইয়ের মুখের উপর বেশি কিছু বলাও কঠিন।যদি সম্পত্তি বেহাত হয়।এইসব কাজ ঠিক মত শেষ হলে সে বিয়ে করবে ময়নাকে।ময়না একদম দুধের মত ফর্সা।লিপিস্টিক মেখে যখন সে রং ঢং করে তখন জসিমের বুকের ভেতর উথাল-পাতাল করতে থাকে।

চলতে চলতে হঠাৎ জসিমের পেট মোচড় দিয়ে ওঠে।বাজারের ডালপুরিটা মনেহয় বাসি ছিল।জসিম সাইকেল থামিয়ে জংগলের দিকে এগিয়ে যায়।আকাশে চাঁদ আছে, তার আলো গাছের মধ্যে দিয়ে মাটিতে পড়ছে।জসিম একটা জায়গা বেছে নিয়ে যেই না বসবে অমনি চমকে ওঠে।খুব কাছ দিয়ে একটা কিছু দৌড়ে যায়।উরে বাবা! শেয়াল নাকি?শেয়াল কামড়ালে নাকি মানুষ পাগল হয়ে যায়?জসিম মনেমনে ভাবে এইখানে তো সাপখোপ ও থাকতে পারে।কি দরকার কামড় খেয়ে?সে আর একটু ভেতরে দিকে এগিয়ে গিয়ে প্রাকৃতিক কর্ম সেরে নেয়।কিন্ত ফেরার পথেই হয় গন্ডগোল। আকাশের চাদটাও মেঘে ঢেকে গেছে।সস্তা মোবাইলের আলো জ্বেলে সে আগাতে থাকে।কিছুদুর গিয়ে দেখে সে ভাঙা মন্দিরের আঙিনায় চলে এসেছে কিন্ত রাস্তা তার উল্টা দিকে।পথ খুঁজে আগানোর জন্য পা উঠাতে গিয়ে তার মাথাটা কেমন ঘুরে ওঠে । গা ভারি হয়ে যায়।ভয়ে গা কাটা দিয়ে ওঠে। জসিম তাও এলোমেলো করে পা ফেলে আগানোর চেষ্টা করতে গিয়ে হুড়মুড় করে একটা গভীর গর্তে পড়ে যায়।জসিমের ঘোর কেটে যায়।সে প্রানপনে চেষ্টা করে গর্ত থেকে বের হওয়ার কিন্ত কয়েকটি হাত তাকে জাপটে ধরে।সে প্রচন্ড চিতকার করতে চায় কিন্ত তার গলায় লৌহ কঠিন হাতগুলো চেপে বসে তাকে স্তব্ধ করে দেয়।

তিন
ভাঙা শীতলা মন্দিরের পেছনে মাটির নিচে আমি থাকি।আর থাকে পাপ।আমার সাথে এখানে আরো অনেকেই আছে।পাপ এখানে ঘনীভুত হয়ে আছে।পাপ আরও পাপকে টেনে আনে।

আমি ছিলাম এই শীতলা মন্দিরের পুরোহিত। কালো জাদু চর্চা করতাম।জড়িবুটি সম্পর্কে আমার চেয়ে ভাল জ্ঞান এ অঞ্চলে আর কারও ছিলনা।এইসব বিদ্যা কাজে লাগিয়ে এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যা করতাম না।তবে এসব করতাম গোপনে। সামনে আমি নিরিহ বামুন, পূজা অর্চনা নিয়ে থাকি,মাঝে মাঝে আয়ুর্বেদ চর্চা করি।আমার আসল ভক্ত আর খদ্দের আসত রাতের আধারে।এমন কোনো পাপ কাজ নেই যার সঙ্গ আমি দিইনি।এমন কোনো পথের কাঁটা নেই যাকে আমি বুদ্ধি আর ক্ষমতা দিয়ে পথ থেকে সরাইনি।সেই আমিই কিনা একদিন অবলীলায় খুন হয়ে গেলাম!

এলাকার জমিদারের ছোটবোন সুহাসিনী খুব অসুস্থ। দেহ শুকিয়ে কাঠ,ঘনঘন ফিট লাগে।এক রাতে আমার ডাক পড়ল। জমিদার জাদরেল লোক,তার বাড়ি গিয়ে উল্টাপাল্টা কিছু করার সাহস এমনকি আমারো ছিলনা।শুনেই রোগ সম্পর্কে আন্দাজ করতে পেরেছিলাম তাই চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত হয়েই গিয়েছিলাম।কিন্ত ঝামেলা বাধল চতুর্দশী কন্যার মুখ দেখে।রোগ পান্ডুর দেহে যে এত লাবন্য থাকতে পারে তা কে জানত?বলে দিলাম রোগ সারতে সময় লাগবে।ততদিন কন্যার চিকিৎসার জন্য প্রতি পূর্নিমা অমাবস্যার রাতে আমার হাতে একাকি ছাড়তে হবে।
আমি প্রথম কিছুদিন ভালো ওষুধ দিয়ে সবার আস্থা অর্জন করলাম।তারপরের ওষুধে আবার খারাপ।এইভাবেই চলল কিছুদিন। গাছের নির্যাস দিয়ে কন্যাকে বেহুশ করে আমিও আমার কাজ করে যেতে থাকলাম।তিন মাস পর কন্যা গর্ভবতী হয়ে পড়লে সমস্ত সন্দেহ পড়ল আমার উপর।

আমাকে কিছু বুঝতে বা দিয়েই জমিদার রাতের আঁধারে তার ছোটা তিন ভাইকে দিয়ে আমাকে মেরে মন্দিরের পেছনে গর্ত করে পুঁতে ফেলল।

সেই থেকেই আমি আমার সমস্ত পাপ নিয়ে এখানে বসবাস করি।এই অন্ধকার গহব্বর থেকে আমার মুক্তি নেই।মজা লাগে যখন আমার মত কাউকে দেখি।তাকে যেতে দিতে ইচ্ছা করেনা তাই নিজের কাছে টেনে আনি।কারন পাপ আরও পাপকে টেনে আনে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৫
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×