
(এক)
মহা পরাক্রমশালী আল-আজিজের
অনন্ত পরাক্রমের নেই অনুভব
অবকাশে চুপচাপ সময়ে নিরব,
যদিও সত্ত্বায় তিনি সর্ব শক্তিমান।
পরীক্ষায় ভুল বুঝা স্তব্ধ সময়ের
লোকদের মনে কত চিন্তার উদ্ভব!
অযথা প্রভুর হয়ে প্রতিপক্ষ সব
নিজেরাই নিজেদের করে অসম্মান।
পরাক্রম যে সময়ে হবে প্রকাশিত,
অস্বীকারকারীদের তখন যে হাল
হবে চির ক্ষতিকর বিপদ নিশ্চিত
তখন দেখবে তারা পুড়েছে কপাল।
কাজেই এখন ভাব তাঁকে না মানায়
কোথায় যাচ্ছে মানুষ কোন ঠিকানায়!
(দুই)
আল-আজিজ
আল আজিজ হলেন পরাক্রমে চির
অসীম ক্ষমতাশালী। যত যা’ই আছে
তুচ্ছ সব সৃষ্টিকুল জানি তাঁর কাছে
জ্ঞানিগন সকলেই তাঁর অনুগত।
ঝরায় বান্দায় তাঁর ভয়ে অশ্রু নির
যে তারে রাখছে সুখে নিত্য ভাতে মাছে
তাঁর জন্য ধরে ফল কত গাছে গাছে
তাঁরে না মানায় শাস্তি সবে অবগত।
এখন না হলে কিছু তখন তা হবে
পরকালে দেখা তাঁরে যাবে ক্ষমতায়
তখন যে অনুগত সেই সুখে রবে।
হাসরে আল আজিজে দেখে হায় হায়
করবে গুণাহগার পাপীদের দল
পাবেনা সেথায় তারা মুক্তির সম্বল।
আযীযু
আযীযু ক্ষমতা দর্পে পরাক্রমশালী
তাঁর দর্পে সকলের দর্প চুর্ণ হয়ে
অপরাধী হয়ে তারা নতজানু হয়
তাঁর মান্যতায় তারা বাধ্য হয় সবে।
কিন্তু সে পরাক্রমের অবকাশ কালে
কিছুলোক অপকর্ম করে নিত্য দিন
মনে মনে ভাবে বুঝি কিছুই হবেনা
অবকাশ পরে তারা বুঝবে ঘটনা।
পরাক্রম কাকে বলে তা’কত প্রকার
দেখবে মানবকুল হাসরে মিজানে
তখন থাকবে তারা নিতান্ত অক্ষম।
তাই বলি মানুষেরা অবকাশ বুঝে
সাবধান হও নিজ কাজের বেলায়
আখেরে তাহলে হবে অপার মঙ্গল।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




