somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক নজরে বিগ বস সিজন ৯ এবং বিজেতা প্রিন্স নারুলাঃ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিগ বসের নবম মৌসুম শুরু হয়েছিলো ডবল ট্রাবল থিমের সাথে। যেখানে একসাথে দুজন দুজন করে জোড়ি বানিয়ে বিগ বস হাউজে ঢুকানো হয়। হাউজে ঢুকার আগে সবাইক অপশন দেওয়া হয় নিজের জোড়িদার সিলেক্ট করার জন্য। প্রিন্স নারুলার ওভার অ্যাটিটিউড এবং ওভার কনফিডেন্টে প্রতিটা মেয়ে তার সাথে জোড়ি বানানোর প্রস্তাব প্রত্যক্ষান করে। ফাইনালি মান্দানা এবং রোশেলের মধ্যে একজনকে চুজ করার অপর্চুনিটি দেয় প্রিন্সকে। প্রিন্স রোশেল কে পছন্দ করে। রোশেলের বয় ফ্রেন্ড কিথের সাথে হাউজে প্রবেশ করে মান্দানা কারিমি। শুরু হয় বিগ বস বিগ বস গেইম।
হাউজে প্রবেশের আগেই কিশ্বয়ার চালে চাল। প্রিন্স আসলেই তাকে নিজের গ্রুপে ঢুকিয়ে নেবে, প্রিন্স আসার সাথে সাথেই কিশ প্রিন্সকে হাতিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে। ওদিকে আসার সাথে সাথেই প্রিন্স রোশেল, মান্দানা আর কিথ কে বলে সে তাদের সাথে গ্রুপে খেলতে চায়।
কিথ মান্দানার ইন্টারেস্ট নেই দেখি যুক্ত হয় কিশের গ্রুপে। গড়ে উঠে এক বিশাল বড় কুল গ্রুপ। একমাত্র মান্দানা ছাড়া পুরো বাড়ি সেই গ্রুপের মেম্বার। যে পরিস্থিতি তৈরি হয় তাতে দর্শক চরম বোর হয়ে যায়। একমাত্র মান্দানার অল্প সল্প ড্রামা ছাড়া কোন কিছুই ইন্টারেস্টিং হচ্ছিলোনা।
প্রিন্স যেখানে আসার আগে মেয়েদের রিস্পেক্ট করো টাইপের লেকচার দিয়ে এসেছে সেখানে টাস্ক আসলেই সেই রিস্পেক্ট ভুলে যাচ্ছেতাই করা দর্শকদের বিরক্ত করে। অন্যদিকে একমাত্র মান্দানার একি টাইপ ড্রামাতেও মানুষ বিরক্ত হয়ে যায়। শোয়ের TRP কমতেই থাকে, কমতেই থাকে।।
ততদিনে প্রিন্স তৈরি হয়েছে কিশ এবং তার বয় ফ্রেন্ড সুয়াশের পা চাটা কুকুর। উঠতে বললে উঠে বসতে বললে বসে। প্রিন্সের ভেতর এতটুকুও ব্যক্তিত্ববোধ দেখা যায়না। পুরপুরি গলির টোকাই টাইপ লাগতে থাকে। তার এক্সপ্রেশন সাফ সাফ বলতে থাকে প্রিন্স একটা গুন্ডা। সস্তা বস্তি টাইপ গুন্ডা......
বোরিং, পাকাও, নন ইন্টারেস্টিং সিজনে মানুষ চরম বিরক্ত। এক সময়কার সবচেয়ে বড় TRP ধারি শো মাটির সাথে মিশে যায়। দর্শক তখন পর্যন্ত নিজের ফ্যাভ প্রতিযোগী বের করতে পারেনা। শুধুমাত্র প্রিন্সের আগের শো গুলো জিতায় আগে থেকে যেসব ফ্যান ছিলো তারাই ফ্যান থাকে। প্রিন্সের ফ্যান কমতেও থাকে.....
.
ঠিক এই অবস্থায় ওয়াইল্ড কার্ড হিসাবে এন্ট্রি হয় রিশাব এর। রিশাব এসেই বিগ বস কে জাগিয়ে তুলে। কিন্তু কয়েকদিনের ভেতরেই আবার যেই কের সেই হয়ে যায়।
আবার বোর হতে থাকে দর্শক।
একদিকে রিমি সেনের মুঝে ঘার যানা হ্যাঁয়, অন্যদিকে মান্দানার আজাইরা ড্রামা, আরেকদিকে গুন্ডা গ্যাং কিশের গ্রুপ। সব মিলিয়ে বিরক্তিকর এক পরিবেশ।
.
এভাবে চলতে পারেনা। তাই বিগ বস এন্ট্রি করান ২০১৪সালের বিগ ব্রাদার অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালিস্ট প্রিয়া মালিক কে। প্রিয়ার এন্ট্রি পুরো হাউজ চেঞ্জ করে দেয়। ঘুমন্ত হাউজকে জাগিয়ে তুলে। তারপর থেকে হাউজে যা কিছুই হয়েছে প্রিয়ার বদৌলতে। একদিকে প্রিয়া সিজন অর্ধেক শেষ হওয়ার পর এসেছে। অন্যদিকে বাকি ওয়াইল্ড কার্ড গুলো একের পর এপ বের হয়ে যাচ্ছে। টিকে থাকার জন্য প্রাণ খুলে গেইম খেলে প্রিয়া। কিন্তু শেষ গেইমটা খেলে দেয় বিগ বস।
নোমিনেটেড প্রিয়াকে বিগ বস দিয়ে দেয় ফিনালের টিকিট। কিন্তু তাকে নোমিনেটেডই রেখে দেয়। অপর দিকে সবার ভোটিং কোড নামের প্রথম তিন অক্ষর হলেও শুধু প্রিয়ার ক্ষেত্রে Pry. সবচেয়ে বড় কথা অলরেডি টিকিট টু ফিনালে জিতে যাওয়া প্রতিযোগিকে দর্শক কেনই বা ভোট দেবে??
চলে যায় প্রিয়া। যাওয়ার আগে রিশাবকে পুরো খুলে দিয়ে যায়।
.
প্রিন্স আগের শোগুলোতেও গার্ল ফ্রেন্ড বানায়। এক দু মাসের ব্যবধানে এমন কি হয়ে যায় যে প্রিন্স আবার নতুন করে প্রেমে পরে?
প্রিন্সের প্রথম টার্গেট রুপাল ত্যাগী বের হওয়ার পর প্রিন্স ডাইরেক্ট ইউভিকাকে প্রপোজ করে। ইউভিকা যাওয়ার সাথে সাথেই আবার নোরাকে.......
ভাই প্রিন্স দেশে মৌসুম বদলাতেও ২মাস লাগে। আর প্রিন্সের গার্ল ফ্রেন্ড বদলাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড।
এসব প্রেম ভালোবাসা না। ফুটেজ নেওয়ার ধান্দা মাত্র। আগের সিজন গুলাতেও প্রেম পিরিতি হয়েছে কিন্তু এতটাও ফেইক ছিলোনা সেগুলো।
এসবে প্রিন্সের ফ্যান কমতে থাকে। কিন্তু লাস্ট গেইম তো বিগ বস খেলবে তাই না?
বিগ বস স্ট্রং প্রতিযোগীদের বের করতে থাকে। প্রিন্সের প্রধান প্রতিযোগী মান্দানা আর কিশ। দুজনের একজনকে তাড়ালেও প্রিন্সের জিত সহজ হবে। দিয়ে দেয় টাস্ক। ফেঁসে যায় কিশ। সারা সিজন বোন বানিয়ে রেখে তোর জন্য সব করতে পারি বলা প্রিন্স একটি বারের জন্যও বলেনা বোন তুই থাক আমি যাই। চলে যায় কিশ মানুষের সম্মান আর ভালোবাসা নিয়ে।
কিশের ফ্যানেরা অবশ্যই প্রিন্সকেই সাপোর্ট করবে। সুতরাং কিশের ফ্যানেদের ভোট পেতে থাকে প্রিন্স।
এদিকে প্রিন্সের ফ্যানেরা প্রতিদিন বিভিন্ন রিউমার ছড়াতে থাকে। স্পেশালি তার প্রধান প্রতিযোগী মান্দানাকে নিয়ে। যেন দর্শক মান্দানাকে ভোট না দেয়। ফেইক টুইট ট্রেন্ডের ফটোশপ ছবি ছড়া
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×