somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুজুররা কি মানুষ নয়? হুজুরদের কি ভুল হতে পারে না?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হুজুররা কি মানুষ নয়? হুজুরদের কি ভুল হতে পারে না?

হ্যাঁ, পারে। মানুষ মাত্রই ভুল। কেউ ভুলের উর্ধে নয়। কিন্তু ভুল আর মিথ্যাচার অথবা চাপাবাজি এক নয়। যখন কেউ ইচ্ছা করে কিছু বলে বা করে তখন সেটাকে ভুল বলা যায় না।

ধরুন ক্লাস এইটে আপনি ফার্স্ট বয় ছিলেন। ছেলে মেয়ের কাছে বলতে গিয়ে বললেন "জানিস আমি ক্লাস সেভেনে ফার্স্টবয় ছিলাম"। অনেকটা সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে আপনি ভুলে গেছেন যে কোন ক্লাসে আপনি ফার্স্ট বয় ছিলেন। সেজন্যই ক্লাস এইট এর পরিবর্তে ক্লাস সেভেন বলেছেন। এটাকে বলে ভুল।
কিন্তু ধরুন আপনি কোন দিন স্কুলেই যাননি। কিন্তু বলার সময় বললেন "জানিস আমি ক্লাস সেভেনে ফার্স্ট বয় ছিলাম"। এটা ভুল না। এটা মিথ্যাচার অথবা চাপাবাজি। যা ইচ্ছাকৃতভাবে করা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

খেয়াল করে দেখুন মনোয়ার বলেছে সে অনেকবার রকেটে চড়েছে। যা ভুল নয় বরং চাপাবাজি।
এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে "কেন তারেক মনোয়ার কি রকেটে চড়তে পারে না?" তবে সেটা আপনার অজ্ঞতা দর্শায়।

আবার সে বলেছে অক্সফোর্ড এর সিলেবাসভুক্ত স্কুলে সেরা শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছে।
বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যে দেশের কোন ছাত্র ভালো কোথাও চান্স পাওয়ার পর প্রতিটা কোচিং সেন্টার তাকে নিজের বলে দাবি করে। সেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি অক্সফোর্ডের সিলেবাসে চলে তাহলে অবশ্যই ঢোল দিয়ে তারা প্রচার করবে যে তার প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ডের কারিকুলামে চলে। কিন্তু আপনারা কি কখনো দেখেছেন কোন স্কুলকে এরকম দাবি করতে?
কোন স্কুলের শিক্ষক যদি অক্সফোর্ডের দ্বারা সেরা শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে থাকে তবে তারা অবশ্যই সেটা প্রচার করবে। কখনো দেখেছেন কোন স্কুলের শিক্ষক নিয়ে এমন কোনো প্রচারণা?
তাছাড়া মনোয়ার যদি তিনবার সেরা শিক্ষক নির্বাচিত হয়েই থাকে তবে বাকি বছরগুলোতে কে হলো? তারা কোথায়? এতগুলো শিক্ষকের মধ্যে কেউই কি নিজের এত বড় কৃতিত্ব মানুষকে জানান দেবে না?
অক্সফোর্ড একটি বিশ্ববিদ্যালয়। দুনিয়ার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার শিক্ষকদের কি এতই দায় পরে গিয়েছে যে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশ, তার প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রদের খাতা তারা দেখবে?
কথা শুধু বললেই হয় না কথার মধ্যে লজিক থাকতে হয়।

এগুলোকে ভুল বলে না নিজেকে জাহির করতে গিয়ে চাপাবাজি বলে। সুতরাং চাপাবাজি কে ভুল বলে চাপাবাজি সাপোর্ট করে নিজেকে কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রমাণ করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।

হুজুরের শুধুমাত্র খারাপ দিকটা কেন দেখছেন? ভালো দিকও তো অনেক আছে। আমরা ভালোগুলো গ্রহণ এবং খারাপ গুলো বর্জন করতে পারি।

ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার মত ক্ষমতা আপনার আছে?
যদি থাকতো তবে চাপাবাজিকে ভুল বলে চাপাবাজিকে জাস্টিফাই করতে যেতেন না। এরপরেও যদি মনে করেন যে আপনার ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে তবে আমি বলব আপনারতো হুজুরের বয়ান শোনার কোন প্রয়োজনই নেই। কারণ আপনি নিজেই ডিসাইড করতে পারেন যে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ।

যে ব্যক্তি দিনে দুপুরে এত মিথ্যা কথা হাজার হাজার মানুষের সামনে বলতে পারে। সে ব্যক্তির বাকি কথা যেগুলো আমরা জানি না সেগুলো যে সত্য সেটা আমরা কিভাবে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি? নিজেকে জাহির করতে গিয়ে যে এত মিথ্যাচার করতে পারে সে হাদিস-কোরআনের বানোয়াট ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের আইডিওলজি মানুষের মধ্যে ঢুকিয়েও দিতে পারে।

মানুষ ওয়াজ শুনতে যায় ধর্মের কিছু কথা শোনার জন্য। সেখানে হুজুরদের পার্সোনাল লাইফের কথাবার্তা বলার কি প্রয়োজন আমার মাথায় আসেনা। হুজুররা হেলিকপ্টারে আসলো কি রকেটে আসলো, হুজুররা বিরিয়ানি খেলো কি পান্তা ভাত খেলো, হুজুররা কাকে কত টাকা দান করল, বিল গেটস এর সাথে দেখা করল নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করল এসবে কী যায় আসে? ওয়াজের ভেতরে এসবের কী রোল আছে? ধর্মপ্রচারে এসবের দরকারই-বা কী? এগুলো শুধুমাত্র নিজেকে একটু উপরে নিয়ে গিয়ে জাহির করার প্রচেষ্টা নয় কি?
হাদিসে আমরা শুনেছি যার মনের মধ্যে তিল পরিমান অহংকার আছে সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হুজুরদের কথাবার্তা বা জেশজারে কি মনে হয়না তারা প্রচন্ড রকমের অহংকারী?

সৎ এবং ভালো উদ্দেশ্যে বয়ান দেওয়া কোন মানুষ বয়ানের মধ্যে মিথ্যাচার করবে না। যখন কেউ মিথ্যাচার করছে তখন বুঝতে হবে তার উদ্দেশ্য ভালো না। এসব মানুষকে আমাদের বয়কট করতেই হবে। আমাদের সমাজের ভালোর জন্য বয়কট করতে হবে। বিজ্ঞান বা ধর্ম বা সামাজিকতার বিভিন্ন ভুয়া এবং বানোয়াট কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এই দল। এদের কে সাপোর্ট করবেন না। এরা দেশ, ধর্ম, সমাজ, বিজ্ঞান সবকিছুর জন্য ক্ষতিকর।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×