'বৃষ্টি'-অদ্ভুত সুন্দর এক অনুভুতির শব্দ। আমি বৃষ্টি খুবই পছন্দ করি। বৃষ্টি আমার ভেতর অন্যরকম স্বপ্নাচ্ছন্ন অনুভুতির সৃষ্টি করে। যখন বৃষ্টি পড়ে, তখন আমার খুব ইচ্ছে করে বৃষ্টিতে ভিজতে, বৃষ্টির মাঝে হেটে বেড়াতে। আমি কবি নই, কিন্তু বৃষ্টি আমার মাঝে ছন্দের সৃষ্টি করে; এ ছন্দ কবিতার নয়, এ ছন্দ অনুভূতির; কল্পনা চিত্রের অনিন্দ্য সুন্দর ছন্দ।
আমি পছন্দ করি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এর মাঝে হাটার ফিলিংস্-ই আলাদা। তবে আমি রাত্রিবেলার প্রচন্ড বৃষ্টিও পছন্দ করি। রাতের বৃষ্টির রূপ-ই আলাদা। অন্ধকারের মাঝে বিদু্যৎ চমকাচ্ছে, প্রচন্ড বাতাস বইছে, গুড়ু গুড়ু গর্জনে মেঘ ডাকছে......এসবের সমন্বয়ে বৃষ্টি আলাদা একটা মাত্র পেয়ে যায়। তবে আমাদের এই শহরে বৃষ্টি উপভোগ করা যায় না। এখানে বৃষ্টি দেখা যায় কিনতু অনুভব করা না। ছোয়া যায় কিন্তু একাত্ম হওয়া যায় না। চারিদিকে দালানকোঠার মাঝে প্রাকৃতিক বৃষ্টির ভাবটুকু বোঝা যায় না। এর জন্যই আমার মাঝে মধ্যে অন্যকোথাও দুরে যেতে ইচ্ছা হয়। হয়তোবা দূরে কোন গ্রামে, গাছ-গাছালি বেষ্টিত কোন স্থানে কিংবা সমুদ্রের তীরে কোন দ্বীপের নির্জনতার মাঝে নিজেকে আবিস্কার করতে খুবই ইচ্ছা করে।
মানুষের কাছে নিরবছিন্ন যান্ত্রিকতা কিভাবে যে ভালো লাগে তা আমি ভেবে পাই না। কেন সে প্রকৃতির কোলে কিছুহ্মনের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেবার ইচ্ছা পোষন করে না। যান্ত্রিকতার অদ্ভুত ধাধায় আমরা ঘুরছি। এর সাথে থাকতে থাকতে আমরা আবেগ শুন্য যন্ত্রের মতো হয়ে পড়ছি। কিন্তু কি হবে এভাবে বেচে থেকে? কেন আমরা অনুভব করছি না এই অনুপম সৌন্দর্য। এই শান্ত-সি্নগ্ধ নিবিড়তা মনের ভিতর যে অদ্ভুত প্রশান্তি সৃষ্টি করতে পারে, তা কেন আমরা পরিত্যাগ করছি? অধিকাংশ মানুষ-ই দুর্ভাগা। তারা চোখ থাকা সত্ত্বেও অনুভব করতে পারে না প্রকৃতির অনুপম সৌন্দয্যকে। পৃথিবী সত্যিই সুন্দর যদি তাকে তেমন করে দেখা যায়!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




