পাগলীর কোনও ধরণের খাবারের প্রতি তেমন অনিহা নেই আবার খুব রুচিও নেই। অনেকটা আমারই মত। কিন্তু আমি যে ওর গোপন খবর গুলো জানি। তার সামনে যদি এক পিস চকলেট কেক রাখা যায় তাহলে তার দিনটাই অন্যরকম হয়ে যায়। সেদিন সবাই মোটামুটি নিশ্চিত থাকে যে সারাদিন তারা একটি ফুরফুরে মেজাজের মেয়েকে ঘোরাঘুরি করতে দেখবে এবং মাঝে মাঝেই তার রুম থেকে বিভিন্ন পদের গানের সুর ভেসে আসবে। সে সময় অফিসের কঠিন কাজগুলো করে ফেলতেও সে প্রস্তুত হয়ে যাবে। ওর অবর্তমানে কেক আনা হলে বা কেক মিস করে ফেললে কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে নেমে যাবে। বিষয়টা আমার কাছে খুব মজার, কারন ইদানিং আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটু সচেতন হয়েছি। আমি কোল্ড ড্রিঙ্ক, দুধ চা, মিষ্টি জাতিও খাবার গ্রহন না করার চেষ্টা করি (কিন্তু পুরি, সিঙ্গারা, পোলাও দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। সুতরাং রেজাল্ট একপ্রকার জিরোই হয়) কিন্তু আমার এই বন্ধুটি চিনির ব্যাপারে ভীষণ সতর্ক। কফিতে চিনি আর সন্ধ্যা সাতটার পর ডিনার খাওয়া বর্জন করেছে। যে মেয়ে চিনি বিষয়ে এত কঠোর সে কিনা একপিস চকলেট কেকের কাছে হেরে যায়। এতো কিছু লিখছি বিশেষ একটি কারনে। বন্ধু আমার এখন থাইল্যান্ডে দেড় মাসের ট্রেইনিং এ ব্যস্ত। তাতে কি? তার খুব কাছের একজন হিসাবে আমারতো একটা দায়িত্ব আছে অফিসের আপডেট জানানোর। তাই না? তাছাড়া ওকে একটু রাগানো বা খেপানোর সুযোগ পেলে কি তা হাত ছাড়া করা উচিৎ? একদম না। অফিসে সিনিয়র ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে চকলেট কেক আনা হয়েছিল। বড়সড় কেকের ছবিটা মেইল করে বন্ধুকে পাঠিয়ে দিলাম। সেই সাথে হাসি মুখে কেকে কামড় দেয়ার একটি ছবি। এখন শুধু তার রিয়েকসন দেখার থুক্কু পাবার অপেক্ষা। হা... হা...... হা... এমন বন্ধু থাকলে শত্রুর দরকার হয়?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





