somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কৃষকের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে বাতাস - অকাল বানে প্লাবিত হাওড় ! আমরা কি করব?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কৃষকের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে বাতাস - অকাল বানে প্লাবিত হাওড় ! আমরা কি করব?

আমরা বৃষ্টি ছাড়াই বানে ভাসছি!!!
তলিয়ে গেছে ফসল!!!

আমাদের সু!প্রতিবেশীর সদ!আচরণের এই নমুনা নতুন নয়। আর আমরাও তো শুধু দিকিনা দিকি কি করে র মতো শুধু দেখেই যাচ্ছি!

আমাদের কি কিছূই করার নেই। অভ্যন্তরীন !!আর্ন্তজাতিক!!!


রিপোর্ট টি পড়ুন......

পাহাড়ী ঢলের পানিতে ফসল হারিয়ে সিলেটের হাওড় অঞ্চলের কৃষকরা এখন শুধুই মাতম করছে। তাদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। এ সংক্রান্ত খবর পাঠিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা: জৈন্তাপুর : সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে ধান কাটতে যাওয়া লোকজন খালি হাতে ফিরে আসছে। হাওর থেকে পুরুষ-মহিলারা পানির নিচ থেকে আধাপাকা ধান সংগ্রহ করছেন। আগাম বন্যায় উপজেলার ৩০টি নার্সারির প্রায় দুই লাখ চারা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। গোখাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়েছে। বিভিন্ন মত্স্য খামারের মাছ ভেসে গেছে।
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রবল বর্ষণ, শিলাবৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। সবক’টি নদনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৬ হাজার ৭৫০ একর জমির বোরো ধান এখনও পানির নিচে তলিয়ে আছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কৃষকদের মতে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনেক আশা নিয়ে কৃষকরা আউশের বীজতলায় বীজ বপন করেছিল, তা নষ্ট হয়ে যায়। জৈন্তাপুর নার্সারি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কাশেম আম্বিয়া জানান, উপজেলার প্রায় ৩০টি নার্সারির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অকাল বন্যায় কড়ই, কদম, চিকরাশি, রেইনট্রি, কমলা, সাতকরা, নিম, মেহগনি, পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দুই লাখের অধিক গাছের চারা নষ্ট হয়েছে। এতে নার্সারি মালিকদের প্রায় ১০ লাখের অধিক টাকার ক্ষতি হয়।
উপজেলায় প্রচণ্ড গোখাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বানের পানিতে ভেসে গেছে মত্স্য খামারের কয়েক লাখ টাকার মাছ। হাওরে কিছুটা পানি কমলেও কমরপানি থেকে কৃষক-কৃষাণিদের আধাপাকা ধান কাটতে দেখা যায়। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উপজেলা থেকে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে সহস্রাধিক লোক ধান কাটতে যায়। কয়েকদিন থেকে ধান না এনে অনেককেই খালি হাতে ফিরতে দেখা যায়। উপজেলার হাওরগুলোতে কৃষকের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠছে। অনেক কৃষক বিভিন্ন ব্যাংক ও দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেন। বন্যার পানিতে ধান তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ঋণ পরিশোধের চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার অনেক বাড়িঘরের ক্ষতি হয় এবং বড় বড় গাছ ভেঙে যায়।
মাতম করতে করতে এক কৃষকের মৃত্যু
এদিকে কুলাউড়া প্রতিনিধি জানান, তিনি নির্বাক। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন থম থম করা মেঘের দিকে। ঝরছে অবিরাম বৃষ্টি। বৃষ্টি থেকে পাহাড়ি ঢল, আর সেই ঢলে তলিয়ে গেছে সব। এক ছটাকও নেই বোরো ধান। কী করে বাঁচবেন স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, সংসার নিয়ে । কার কাছে হাত পাতবেন এক মুঠো ভাতের জন্য। হ্যাঁ, গত কয়েকদিন থেকে এরকম বিলাপ করতে করতে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন হাকালুকি হাওর এলাকার ভূকশিমইল ইউনিয়নের জাবদা গ্রামের বোরো চাষী সুবহান মিয়া (৪৭)। গতকাল দুপুরে তার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে হাওর এলাকায় চলে শোক আর কষ্টের মাতম। ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জাবদা গ্রামের চাষী সুবহান মিয়ার ৪২ বিঘার ধান আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে। এক মুঠো ধানও ঘরে তুলতে পারেননি তিনি। অসহায় হয়ে কয়েক দিন থেকে বেঁচে থাকার শেষ সম্বল বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় বিলাপ করতে করতেই গতকাল দুপুরে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
কুলাউড়া : হাকালুকি হাওরের পানি বাড়ছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ২৫ হাজার একর জমির বোরো ধান। হাওর পাড়ের কৃষকরা আধা-পাকা ধান নিয়ে বিলাপ করছেন। পানির নিচ থেকে ধান তোলার শেষ চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হচ্ছেন বারবার। শনিবার হাওর পাড়ের মনসুগঞ্জ বাজার, ঘাটের বাজার, গৌড়করণ মাদ্রাসা, নবাবগঞ্জ, কানেহাত, বাদে ভূকশিমইলসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে এই দৃশ্যটি চোখে পড়ে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাওরে ১ ফুটেরও বেশি পানি হু হু করে বেড়েছে। শুক্রবার শুকনো ছিল এমন অনেক এলাকাই নতুনভাবে এখন তলিয়ে গেছে।
হাকালুকি হাওর পাড়ের ভূকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন বাদশা জানান, হাওরে এখন আর কোনো ফসল নেই, সবকিছু তলিয়ে গেছে। মানুষ এখন ভবিষ্যত্ আহারের চিন্তায় দিশেহারা। গরু-মহিষের চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় শত শত পশুও চরম কষ্টের মধ্যে আছে।


সত্য্ই আমাদের কি কিছুই করার নেই??????


৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×