বাংলাদেশে এর আগে এ কাজ হয় নাই। পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় হয়েছে। স্ল্যাং নিয়ে অভিধান। কলকাতা থেকে বাংলা স্ল্যাং নিয়ে যেসব অভিধান হয়েছে তা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন নাফিস ইফতেখার। সেটি অভ্র বসুর ‘বাংলা স্ল্যাং’ গ্রন্থটি নিয়ে। অভ্র বসুর এ গ্রন্থ তো নয়ই কলকাতা থেকে প্রকাশিত অনেক গ্রন্থ বাংলাদেশে ব্যবহৃত স্ল্যাং ধারণ করেনি। করাটা অনেকটাই অসম্ভব। কারণ খুব সহজ। সাধারণ মানুষের মুখের ভাষার মধ্যে থাকে স্ল্যাং। অভিধানে যেসব স্ল্যাং জায়গা পায় সেগুলোর ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গে অনেক কম।
এসব কারণে বাংলাদেশের স্ল্যাং বাংলাভাষার স্ল্যাং নিয়ে একটি অভিধান প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গণসহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের যেকোনো অঞ্চলের স্ল্যাং আমাদের জানান। আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। শুধু মুখে বলা নয়, অভিধানে আপনাদের লিখিতভাবে কৃতজ্ঞতা জানানো হবে।
স্ল্যাং লেখার সময় উদাহরণ দিতে ভুলবেন না। স্ল্যা মানে যে শুধু কাপড়ের নিচের অঙ্গ-প্রতঙ্গের নাম করে গালাগাল তা কিন্তু নয়। আপনার অঞ্চলের লোকজন উপহাস, বিদ্রূপ, ঠাট্টা, ঘায়েল, আক্রমণ, তর্ক, গালি ইত্যাদিতে যেসব নেতিবাচক শব্দগুলো ব্যবহার করে তা উদাহরণসহ জানান।