বাঙ্গালী জুমার নামাজ শেষে বেশ আয়েশ করে খেতে পছন্দ করে। আমিও তাই। জুমার দিন ছুটি থাকায় বাড়ির সবাই মোটামুটি উপস্থিত থাকে। খানা পিনার আয়োজনও ভালোমত করা হয়। ঝাল করে গরুর মাংস , মাছ ভাজি , শুঁটকি ভর্তা , ডাল , সালাদ। এত আইটেম একটু করে খেতে নিলেও শেষ পর্যন্ত খাওয়া একটু বেশিই হয়ে যায়। আখেরে সুন্নতি আইটেম ডেজার্ট ( পায়েস/দই/মিষ্টি/জর্দা) একটু হলেও খেতে হয়।
তো এমন এক খাওয়ার টেবিলে আমি প্রায়ই বলি , আজকের খানাটা জুতমত খেয়ে নি। কালকের থেকে না হয় ডায়েট শুরু করা যাবে। কিন্তু বিএনপির ঈদের পরে কঠিন আন্দোলনের মত আমারও সেই কালকের ডায়েটের দিনটা ঠিক আসে না। একদিন আমার এই কথার উত্তরে একজন মুরুব্বি বলে বসলেন বাবা তুমি যতই মেপে খাওয়ার চেষ্টা করো না কেন তোমার রিজিকে যতটুকু লেখা আছে তুমি ঠিক সেই পরিমাণ খানাই খেতে পারবে , তার চেয়ে একটু কমও না , বেশিও না।
এখন দেখা যাচ্ছে আমি নিজের ইচ্ছায় যতটুকুই খাই না কেন বলে সেই টুকুই তোমার রিজিকে লেখা ছিল। আমি যদি নিজের ইচ্ছায় খাবার প্লেট ছেড়ে উঠে যাই বলে রিজিকে লেখা নাই। এক পিস্ রসগোল্লা বেশি খেলে বা কম খেলে বলে ওটাই লেখা ছিল।
বড়ই অদ্ভুত রিজিকের খাতা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫