somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কম পরিচিতদের ফোন নাম্বার দেয়া/না দেয়ার ক্ষেত্রে কি করবেন?

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এগুলো আসলে একটু কৌশল অবলম্বনের বিষয়।
চলতে-ফিরতে এসব ছোট-খাট বিষয়ে একটু কৌশল অবলম্বন করতে হয়।
কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, বাইরে কোথাও অথবা ভার্চুয়াল জগতে কম পরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কারো
“ফোন নম্বর পেতে পারি?” প্রশ্নের উত্তরে কি করবেন?
যদি মনে করেন তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করবার প্রয়োজন, ইচ্ছে বা আগ্রহ আপনার নেই,
সুন্দর ও ভদ্রভাবে সেটি তাকে বুঝিয়ে বলুন, তাকে কি বোঝানো যায়না?, হ্যাঁ যায়,

প্রথমে একটা কথা না বললেই নয়- এই প্রযুক্তির যুগে আমার ফোন নেই কিংবা আমি মোবাইলে কারও সাথে কথা বলি না, এই জাতীয় কথা বলা মিথ্যে বলারই নামান্তর। শুধু শুধু আপনি মিথ্যা কথা বলে নিজের ব্যক্তিত্বকে ছোট করবেন না। তাই এই সমস্ত কথা না-বলাই ভাল। ভার্চুয়াল জগতেও যদি কম পরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কেউ বলে ফেলে
“আপনার ফোন নম্বরটা পেতে পারি?” সে ক্ষেত্রে কি করবেন? অবশ্যই ভদ্রতা অবলম্বন করুন।
আর এর কারণ, যে ব্যক্তি অাগ্রহ নিয়ে আপনার ফোন নাম্বারটি চেয়েছেন, হয়ত আপনার প্রতি তিনি ইমপ্রেস্ড হয়েছেন কিংবা আপনার ব্যক্তিত্বকে বা অন্য কোন কিছু দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন কিংবা অন্য যে কোন কারণে তিনি আপনাকে পছন্দ করেছেন, আপনার এই ধরণের কথা শুনে তিনি হার্ট হতে পারেন। তৎক্ষণাৎ আপনার প্রতি একটা নেগেটিভ ধারণাও পোষণ করতে পারেন। যা একদম ঠিক নয়।
তাই কেউ ফোন নাম্বার চাইলে, যদি ফোন কিংবা মোবাইল আপনি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তাকে নাম্বার দেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ঐ ব্যক্তি খুশিই হবেন, আপনাকে সে অহংকারী কিংবা এ জাতীয় কিছূ মনে করবে না, যদিও ঐ ব্যক্তিকে আপনি অপছন্দ করে থাকেন তবুও না। তবে এক্ষেত্রে একটু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।

১. আপনি ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করলে সেই কার্ড কখনই দিতে যাবেন না। কার্ড চাইলে হাসিমুখে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করুন। বরং ফোন নাম্বারটিই তাকে দিন। এতে তিনি কিছু মনে করবেন না।

২.পরিচিত নাম্বার ছাড়া আন-নোন নাম্বার ইনকামিং কল রিসিভ না করাই ভালো। অাপনি যে আন-নোন নাম্বার ইনকামিং কল রিসিভ করেননা, এটি তাকে বলতে যাবেন না, তবে বেশী বিরক্ত হলে ব্লক করে রাখতে পারেন। তবে এটা ভদ্রতার আন্তর্ভুক্ত নয়।
পরে যদি কোনদিন দেখা হয় বলে দিবেন অাপনি আন-নোন নাম্বার ইনকামিং কল রিসিভ করেননা।

৩.ভার্চুয়াল জগতেও যদি চায় অর্থাত, অাপনি যদি দেশে থাকেন আর উনি যদি বিদেশে থাকে অথবা অাপনি যদি বিদেশে থাকেন আর উনি যদি দেশে থাকেন, তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ভদ্রতা অবলম্বন করুন। সুন্দরভাবে সেটি তাকে বুঝিয়ে বলুন, "দেখুন কিছু মনে করবেন না আমার কিছু সমস্যা আছে আমি আসলে আমার নম্বরটি দিতে চাচ্ছিনা"। ভার্চুয়াল জগতে যতটুকু পারেন কম যোগাযোগের চেষ্টা করুন।
আর উনি যদি ভদ্র হয় তবে আর কখনোই আপনাকে বিরক্ত করবে না।

৪. বর্তমান যুগে অধিকাংশ ব্যক্তিই ২টা কিংবা তারও অধিক কেউ-কেউ সিমকার্ড ব্যবহার করেন। মোবাইলফোনগুলোও এখন সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি ঐ ব্যক্তিকে আপনার ২য় সিম কিংবা যে সিমিট আপনি কম ব্যবহার করেন সেই নাম্বারটি দিন। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে ঐ ব্যক্তিকে নাম্বার দেওয়া আর না-দেওয়াটার মধ্যে পার্থক্য কি? অনেকেগুলো কারণের মধ্যে শুধূ একটাই বলি- ঐ ব্যক্তির সাথে আপনার কখনও যদি হঠাৎ করে দেখা হয়ে যায় এবং তিনি অভিযোগ করে বসেন- ''আপনাকে ফোন দিলে পাওয়া যায় না কিংবা আপনাকে ফোন দিলে ফোন ওঠান না কিংবা আপনার নাম্বার প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায় ইত্যাদি ইত্যাদি'' তাহলে তাকে হাসিমুখে শুধু এটুকুই বলুন- ''প্রয়োজন ছাড়া মোবাইলে কথা বলা হয় কম, তাই মোবাইল প্রায়ই সাইলেন্স মুডে থাকে কিংবা বন্ধ থাকে।' এক্ষেত্রে তিনি আর কিছু মনে করবেন বলে মনে হয় না।

৫.ফোন নাম্বার দেয়া বা না দেয়ার ব্যাপারটি পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভর করছে। কেননা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন অপর পাশের মানুষটি কি নির্ভরযোগ্য নাকি নির্ভরযোগ্য না। যদি আপনার মনে হয় তাকে বিশ্বাস করতে পারবেন তাহলে মোবাইল নাম্বার দেয়াতে অসুবিধা নেই। কেননা একটি মোবাইল নাম্বার নিয়ে সে কিইবা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেকেন্ডারী মোবাইল নাম্বারটি দিতে পারেন যেটা কম ব্যবহার করেন। আর যদি মোবাইল নাম্বার দিতে না চান সেক্ষেত্রে নিম্নে বর্ণিত কিছু বাক্য ব্যবহার করতে পারেন:
ক). আমাদের মনে হয় আরো কিছুদিন নিজেদের ব্যাপারে জানা দরকার তারপর নাহয় না্ম্বার আদান-প্রদান করা যাবে।
খ). আপনি আপনার নাম্বারটি দিন, আমি সময় করে আপনাকে ফোন দিব।
গ).আপনার সেকরেটারী থাকলে তার সাথে যোগাযোগ করে দেখা করার জন্য বলতে পারেন, অতি জরুরী হলে।
ইত্যাদি ইত্যাদি...


লিখেছিলাম- ২১ আগস্ট ২০১৫
ব্লগটি অনেক অনেক দিন ধরে লিখবো লিখবো বলে ভাবছিলাম,প্রায় ১বছর হবে, কিন্তু লিখতে পারছিলাম না।
এগুলো অামার জীবনে ঘটেছে, আমার বন্ধুদের জীবনে ঘটেছে বলেই লিখতে পেরেছি, তা নয়তো লিখতে পারতাম না।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ অামার লেখা পড়ার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×