ব্যাপারটা অনেক জটিল, তবুও চর্চা করছি । চোর অনেকটা অসমীহ(সমীহ ব্যতীত) করে কিন্তু কথা গুলো বলেনি , এটা মনে হয় তুমি ত্রিভুজ খেয়াল করনি । হয়ত সে, ভুল করেছে (আমি আবারও বলছি হয়ত! কারণ দেখার মালিক আল্লাহ) । কিন্তু তার লেখার মধ্যে অনেক কিছুই খুজ পাওয়া যায়, যেমন: '(সা
আর আব্দুলাহ এর 'ছেলে'র জায়গায় পোলা ব্যবহার করেছে. সম্ভবত মৌখিক ভাষার লেখ্য রূপ দিয়ে তবে তাচ্ছিল্যেরও ইঙ্গিত প্রদান করে কিন্তু আমরা তা ধরে নিতে পারি না, কারণ আসল সত্যটাও আমরা জানি না যে, চোর সত্যিই স্বীকার করেছে সব । তবে প্রতিনিধির ব্যাপারে চোর এর ধারণায় অনেক ভুল আছে যা, তা তার প্রশ্নবান থেকেই বোঝা যায়, কারণ কোরআন শরীফই প্রমাণ । তাছাড়া হাদীস ভুল হতে পারে, তবে কোরআন শরীফ নয় ।
আর যেসব সেনসর পূর্ণ কথা বলা হয়েছে , এগুলিও আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে পড়ে । যা শুনলে হাসির উুদ্রেক বেশী হয় । তবে এই ভাষাটি চোর না ব্যবহার করলেও পারতেন কিন্তু বললাম না যে, মৌখিক ভাষা লেখ্য ভাষায় পরিণত হয়েছে ।
আমি সত্যি বলছি, আমি কিন্তু চোরের মন্তব্য অনেক পড়ে দেখিছি(এই লেখার শেষের দিকে, কারণ আমি ব্যাপারটি বুঝার জন্য লেখার পাশাপাশি খুটিয়ে খুটিয়ে মন্তব্য পড়ছিলাম ), সে স্বীকার করেছে যে, এটি আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে পড়ে তাই সে বলেছে, সেই সাথে আমার ধারণাটি মিলে গেছে ।
যাই হোক চোরের প্রশ্ন বানটি আক্রমণাত্নক ছিল । কেউ হয়ত ব্যক্তিগতভাবে এই মন্তব্যের বিরোধীতা করতে পারে, এতে কোন বাধা নেই, যখন এরকম মন্তব্য করা যায় তখন বিরোধীতাও করা যায় ! এখন এই বলে কাউকে ইসলামের বিরোধীও বলা যাবে না ।
আর কুয়াশার বক্তব্য স্বীকার করতেই হচ্ছে অনেকটা ভাল হয়েছে, কিন্তু তার শেষ পুক্তিমালাগুলি যে কোন মানুষকেই ইসলাম গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখবে কিংবা ঘাবড়ে যাবে ।
কুয়াশার উচিত ছিল শেষ অংশগুলি একটু গুছিয়ে ব্যাখ্যা করা । যা কুয়াশা করতে ব্যর্থ হয়েছে । এই সুদীর্ঘ রচনা আমাদের মুসলীমদের জন্য ঠিকাছে কিন্তু যারা অমুসলীম তারা এটা পড়ে তো ভুল ধারণায় পড়বে ।
প্রশ্ন আসতেই পারে কিভাবে?
উত্তর খুবই সহজ, শুধু একটু চিন্তা করতে হবে । হাদীসের বক্তব্য যদি ঠিক ধরা হয়, তাহলে এই দাড়ায়ঁ যে আবুবকর (রা
আর হ্যাঁ আবু বকর (রা
হাদিসের সত্যতা যাচাই করা অনেক জরুরী যা কুয়াশা বলেছেন । কুরআন এর সত্যতা যাচাইর এর কোন প্রয়োজন নেই, তবে হাদীসের আছে । স্বয়ং বুখারী হাদীস শরীফ এর সংকলক এরকম অনেক মিথ্যা হাদীস বাদ দিয়েছেন সংগ্রহ থেকে । এরকম আরেকটু ব্যাখ্যা দিয়ে বললে অনেকেরই বোধগম্য হত ।
আর ইসলামী রাষ্ট্র মানেই ক্ষতিকর দিক তা নয় । গণতন্ত্রের গেজেট অথার্ত আইন যেরকম করতেই হয়, তেমনি ফতোয়া জারি বা ইসলামী আইন অথবা যে নামেই আখ্যায়িত করি না কেন, তাই দাড়ায়ঁ ।
নামাজ কায়েম করার জন্য শক্তিশালী রাষ্ট্র চাই, এই কথা আমি মানি না ।
সত্যিকাররে ঈমানদারদের নামাজ পালনে কোন শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই ।বরং তা আপনা আপনিই হয়ে যায় ।
তবে এই বলে খারাপ কাজও হতে দেওয়া যাবে না, এসব কাজ পারলে উঠিয়ে দেওয়া উচিত, যদি সরকার করতে না পারে, তাহলে তার বিরোধীতা সবার সামনে করাও খারাপ কিছু না, কিন্তু এই বলে এই কাজ করতে গিয়ে আরেকটা খারাপ কাজ করা কিন্তু ভাল কাজ নয় । যে কাজ জামাত এ ইসলাম কিংবা অন্য কোন ইসলামিক সংগঠন করেছে । যুদ্ধ হচ্ছে সরকারের সাথে যদি সরকার কোন খারাপ কাজ করে থাকে একে নামাতে হবে এই বলে ইসলামের বিচারে বিচার না করায় বোম দিয়ে উড়িয়েও দেওয়া যাবে বিচারককে যদিও সে ভুল বিচার করছে, প্রথমে উচিত সরকারকে নামানো এই জন্য সাধারণ মানুষকে অনৈতিক কিছু করা ঠিক নয় এবং কোন কালেও করা উচিত নয় ।
এই লেখা কারও পক্ষে বিপক্ষে নয় শুধু চোর ও কুয়াশার লেখা দুটি মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে নিজস্ব একটি স্বতন্ত্র মন্তব্য । লেখার সূত্রপাত ত্রিভুজের ব্লগ থেকে হওয়ায় , ত্রিভুজের কিছু অদেখা পয়েন্ট তুলে ধরলাম , সে জন্য মন্তব্যের প্রথমে ত্রিভুজের নাম দিয়েছি । কিন্তু এই বলে সম্পূর্ণ মন্তব্য ত্রিভুজকে কিছু অদেখা পয়েন্ট দেখানোর জন্য কিন্তু অন্য কোন আক্রমণাত্নক মন্তব্য নয় । শুধু ত্রিভুজকে নয় সবার জন্যও ।আর বিশেষ করে চোর ও কুয়াশাকে । কেউ যদি বিরোধীতা পোষন করেন তাহলে একটু খোলে বলুন । কারণ ব্লগে ব্লগারদের মধ্যে এ ধরনের বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত, না হলে পরিবেশ অন্য রকম হয়ে যাবে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



