যথারীতি দুপুর বেলা রিকার্ড বহুউৎসাহে বাবাকে রাজী করিয়ে, সাথে রওনা দেয় । সাথে এভিনও যাওয়ার জন্য বায়না ধরে । ছোট ছেলেকে যখন সাথে নিচ্ছে সুতরাং বড় ছেলেকেও নিরাশ করতে পারে না । মিলান চিন্তা করল সবাই মিলে গেলে কেমন হয়, তখন সে রুয়ানাকে বলল তার মনের কথা । রুয়ানার সম্মতি পাওয়া গেল না, তাই কি করা... বেপ বেটা মিলেই রওনা দিল । গাড়িতে করে এদের ডিঙি নৌকাটা নিল । মাঝে বাধ সাধল রিকার্ড সে মোটর চালিত নৌকা নিতে চাইল, কিন্তু মিলান অনেক কষ্টে বুঝাল যে, এটি কোন বড় জলাশয় নয় ।কিন্তু রিকার্ড এর বায়না যে, সে বড় মাছ ধরবে । কে বুঝাবে, এরকম জলাশয়ে বড় মাছ থাকা ভাগ্যের ব্যাপর, যা কখনোই সম্ভব না । তখন না পেরে রিকার্ড বড় ছেলের উপর বুঝাবার দায়িত্ব অপর্ণ করল । এভিন আর কি করবে ! অনেকটা জোড় করেই রিকার্ডকে নিয়ে ডিঙি নৌকাটা সাথে নেওয়া হল ।সাথে দুপুরের খাবারও বাদ গেল না নিতে ।
বাপ বেটায় অনেকটা টানা হেচঁড়া করেই ডিঙিটাকে নামাল পানিতে । মিলান ভাল করে অসন্ধিৎসু চোখে পুকুরটাকে চোখ দিয়ে বুলাল । পুকুরের পাড় বলতে তেমন নেই । সরাসরি সৈকতের মত মিশেছে পাড়ের সাথে । আগাছা পূর্ণ চারদিকে এবং গভীরতাও তেমন নেই । তবে ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান এর কারণে এই রূপকে খুব সুন্দর লাগছে ।যথারীতি সময় নষ্ট না করে বসে পড়ল ডিঙি নৌকায় । এভিন আবার পাড়ে দাড়িয়ে মাছ ধরতে চাইল, সুতরাং যেমন মর্জি তেমনই কাজ ।
ঘন্টা পার হতে চলেছে একটা ক্ষুদ্র মাছও কপালে জুটল না, যার আগ্রহে আসা, সেই রিকার্ডের আগ্রহেও ভাটা পড়ছে । কিন্তু এভিন সেই যে দাড়িয়েঁ আছে তো আছেই, তার ভাবমর্ূতি দেখে বুঝা যাচ্ছে না, তার মনের অবস্থা । এদিকে ফাকেঁফাকেঁ মিলান ওয়াকিটকিতে তার বউ রুয়ানার সাথে প্রেমালাপ চালিয়ে যাচ্ছে ! রুয়ানার কিন্তু ভালও লাগে এত বছর পরেও তাদের প্রেম এখনও পূর্বের মত উত্তাল ঢেউ এর মত থাকায় । কপাল ভাল রিকার্ড এর, হঠাৎ করে ছিপে আটকে গেল একটি মাছ ।
তবে আস্তে আস্তে এটি উপরে ভেসে আসে ফেনাহীন ঢেউ এর তালে । কিন্তুপ্রবল গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে তাদের ডিঙি নৌকার উলটা দিকে । ঘটনার আকস্মিকতায় এভিন বোকার মত তাকিয়েঁ আছে কিংবা ভয়ে । মিলান ছোট ছেলে সাথে বর্শিটি শক্তি দিয়ে চেপেঁধরে । মাছটির গতি ছলি অনেক সেই সাথে ফেনাহীন ঢেউ তুলে সোনালী বর্ণ ছটায় উলটা দিকে সাতঁরে কিংবা ভেসে যাচ্ছে । ঠিক বুঝা যাচ্ছে না, ঘটনাটা খুব দ্রুতই ঘটছে । এক সময় বর্শির সুতারঁ প্রবল টান পড়ে তখনই মিলান কোমড়ের ছুড়ি দিয়ে তা কেটে দেয় । তার আগেই তার সামলাতে না পেরে পুরো ডিঙি নৌকাটাই উলেট যায় । এভিন তখন পূর্বে যেমন ছিল, তেমনই আছে, নিজীর্ব এর মত দাড়িয়েঁ । ধীরে ধীরে সোনালী বর্ণছটা কমে আসে আর আস্তে আস্তে তা পানিতে গভীরে মিশে যায় । আর....
চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



