somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভরা বর্ষায় দার্জিলিংয়ে [ তৃতীয় কিস্তি ]

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা যখন দার্জিলিং ছিলাম তখন পুরো দার্জিলিং নিজেদের জন্য আলাদা প্রদেশ গঠনের দাবিতে মুখরিত ছিল যেটা কিনা গোর্খাল্যান্ড নামে পরিচিত।আমি স্থানিয়দের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি যে,হিল স্টেশন হিসেবে দার্জিলিং এর রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি কিন্তু দার্জিলিং থেকে পর্যটন বাবদ যা আয় হয় তার কিছুই নাকি দার্জিলিঙের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় হয় না পুরোটাই চলে যায় পশ্চিম বঙ্গ সরকারের পকেটে।

গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তৈরি বিল বোর্ড।

গোর্খাল্যান্ড।

ঘুম মনেস্ট্রি এর সামান্য দূরেই হচ্ছে বাতাসিয়া লুপের অবস্থান। বাতাসিয়া লুপ হচ্ছে অনেকটা আমাদের দেশের শহিদ মিনারের মত। বাতাসিয়া লুপ বানানো হয়েছিল গোর্খা সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যারা ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন।

বর্ষায় বাতাসিয়া লুপ এমন মেঘাচ্ছন্ন থাকে।

বাতাসিয়া লুপে আমি। বলা বাহুল্য, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাবার পথে বাতাসিয়া লুপের চারপাশে টয় ট্রেন পুরো একপাক ঘুরে অনেকেই এর কারণ হিসেবে বলেন যে শহিদদেরকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই নাকি এমনটা করা হয়।

বাতাসিয়া লুপের একাংশ।

বাতাসিয়া লুপ পরিদর্শন শেষে আমরা চলে গিয়েছিলাম চা বাগান এবং চিড়িয়াখানা দেখবার জন্য।প্রথমেই গিয়েছিলাম আমরা চিড়িয়াখানা দেখবার জন্য যেই চিড়িয়াখানার ভেতরে হিমালায়ান মাউন্টেইনারিং ইন্সিটিউট অবস্থিত।

চিড়িয়াখানা যাবার পথেই পড়েছিল ST PAUL SCHOOL যেখানে শাহরুখ খানের Main Hoon Naa ছবির শুটিং হয়েছিল।



ST PAUL SCHOOL,আমাদের বাংলাদেশের অনেক বাচ্চাও কিন্তু দার্জিলিং এর স্কুলে পড়াশুনা করে এমন দু-একজনের সাথে আমাদের বাসে কথাও হয়েছে।

ST PAUL SCHOOL থেকে বের হয়ে আমরা রওয়ানা দিয়েছিলাম চিড়িয়াখানার উদ্দেশে,পথিমদ্ধে আমাদেরকে যেন একরাশ মেঘ এসে গ্রাস করেছিল।

মেঘের দল।

আরও একটি ছবি।

উড় মেঘের দল ছুটে চলে অজানায়......

রাস্তার অবস্থা দেখুন।

কুয়াশায় পথচলাই মুশকিল ছিল।

চিড়িয়াখানার দিকে যাবার নির্দেশনা ।

চিড়িয়াখানার প্রবেশপথ।

চিড়িয়াখানার ম্যাপ।

এই চিড়িয়াখানাটি রেড পাণ্ডার জন্য বিখ্যাত এছাড়াও এতে আরও কিছু বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী আছে।আমি গিয়ে প্রথমেই রেড পাণ্ডার খোঁজ করেছিলাম।

রেড পাণ্ডার খাঁচার দিকে যাবার নির্দেশনা।

উনাকে ক্যামেরাবন্দী করতে আমাকে যথেষ্ট কতসরত করতে হয়েছিল কারণ উনি আমাদের সাথে মোটামুটি লুকোচুরি খেলেছিলেন বলা যায়।

রেড পাণ্ডা ( ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত )

পাখি,নাম মনে নাই :( :(

ভালুক মশাই।আরও অনেক প্রাণীর ছবি আছে কিন্তু আপনারা বিরক্ত হতে পারেন তাই দিলাম না।

চিড়িয়াখানা ঘুরতে ঘুরতেই আমরা চলে গিয়েছিলাম হিমালায়ান মাউন্টেইনারিং ইন্সিটিউট এর কাছে।

ঢোকার মুখেই আপনি দেখতে পাবেন এই প্রতিকৃতি, প্রবেশদ্বারে আমি।

মাজখানের খোলা চত্বর।

দেয়ালে ঝোলানো বানী।

নানা ধরনের গিট্রু।

মাউন্টেইনারিং মিউজিয়াম এর দিকে যাবার পথের সিঁড়ি।

তেঞ্জিং নরগের মূর্তি।

মিউজিয়াম সম্পর্কে কিছু কথা।

যদিও ভেতরে ক্যামেরা ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু আমি প্রায় সবাইকে দেখেছি ক্যামেরা ব্যবহার করতে।তাই মিউজিয়াম এর ভেতরের কিছু ছবি দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।

ভেতরে ঢুকলেই আপনার চোখে পড়বে এই দৃশ্য।

দুই অভিযাত্রী।

আমি।

ভারতের হয়ে প্রথম এভারেস্ট জয়ীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র।

এভারেস্টের পথে।

পত্রিকায় এভারেস্ট জয়ের খবর।

পুরো হিমালয়ের ধারণা আপনি এখান থেকেই পাবেন।কিভাবে এবং কোন রুটে এভারেস্ট জয় করা যায় সেই ব্যাপারেও এখানে ধারণা পাবেন।

এক পিচ্চির সাথে আমি।

আমরা গিয়েছিলাম তেঞ্জিং নরগের বাড়ি দেখার জন্য,এই সেই বাড়ি যেখানে তিনি থাকতেন।



মাউন্টেইনারদের প্রশিক্ষণ এখানেই হয়।

আজ আর নয়............ হাত ব্যাথা করছে, যাবার আগে আমাদের হোটেলের বারান্দা থেকে তোলা বোনাস ছবি.................. (চলবে )

দ্বিতীয় পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩০
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×