তার প্রতি দিন দিন আমার সন্দেহ টা বেড়ে যাচ্ছে। যাবে না তো কি করবে, যেভাবে সে আমাকে অবহেলা করে চলছে, তাতে করে আমি কেন যে কারও সন্দেহ হবে। সকাল বিকাল রাতে যখন ই ফোন করি বলে প্লিজ লক্ষীটি রাগ করো না আমি এখন খুব ব্যাস্ত তোমাকে পরে ফোন দিব। এক সপ্তাহ অনেক রিকোয়েস্ট করে একদিন দেখা করার জন্য রাজী হলো বিকাল ৪ টায় আমাদের সেই প্রিয় জায়গায়, যেখানে শ্যামল সবুজ পরিবেশ আর পাখিদের কিচির মিচির, উন্মুক্ত বাতাশ, পড়ন্ত বিকেলের একমুখা রোদ, সব মিলিয়ে কিযে এক মনমুগ্ধকর পরিবেশ। যা আমার ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ৪টা বাজার দশ মিনিট আগে ঠিকই আমি হাজির কিন্তু কি আর করা সেই পুরোনো হিসাব নিকাশ শুরু হলো অপেক্ষার পালা, যা কিনা আমার কাছে বরাবরের মতো অসহনীয়।
৪টা২০মিনিট এর সময় হাঁপাতে হাঁপাতে আসলেন তিনি আর শুরু করলেন সেই পুরোনো কাসুন্দি। প্লিজ লক্ষী সোনা রাগ করো না দেরী হয়ে গেছে আর এমন হবে না, এই সামুটা আমাকে শেষ করল। সামু!!!!!! মানে সামুটা আবার কে আমার তো মেজাজ চরমে তার মানে তুমি অন্য মেয়ের সাথে..... তোমার সাহস তো কম নয়............... আমি যাচ্ছি চলে তুমি আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করবে না থাক তুমি তোমার সামু নিয়ে সামু সামু সামু উহ্ অসহ্য শেষ পর্যন্ত তুমি এমন একটা কাজ করলে না না আমি কিছু ভাবতে পারছি না তোমার মত এমন ছেলের সাথে কিনা আমি দিনের পর দিন। তোমার যদি প্রেম করার এতই শখ তুমি আমাকে বলতে আমি তোমার জন্য সে ব্যবস্থা করতাম।
বাসায় আসার পর ভাবতে লাগলাম আমি কি আসলে কাজ টা ঠিক করেছি, হ্যা ঠিক করেছি সে এমন করল কেন যার জন্যই আমি যখনই ফোন করি সে ব্যাস্ত থাকে। সে ব্যাস্ত থাকলে আমার সমস্যা কি তাই তো, আমি তো তার সাথে প্রেম করি না, আমি তো তার প্রেমিকা নয় যে সে সারা দিন আমাকে সময় দিবে, কি হয়েছে আমার আমি এমন করছি কেন, এর মানে কি আমি কি আসলেই তার প্রেমে পড়েছি, কি যে সব আবল তাবল বকছি। হঠাৎ ফোন বেজে উঠল রিসিভ করতে মন চাইছে না বিরক্ত লাগছে ফোনের রিংটোন অথচ এই টোন শুনা মাত্র আমি সব কাজ পেলে ছুটে আসতাম ফোন রিসিভ করতে। বেরসিক ফোনটা বেজেই চলল। বাজুক কত বাজতে পারে আজ ধরব না ..............
অনেক চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারলাম না। কিছুতেই ঘুম আসছে না, তার শেষ শব্দ টা আমার কানের কাছে বার বার হানা দিচ্ছে এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম তা টেরই পাইনি।
আম্মুর ডাকে সকালে ঘুম ভাঙ্গল, দেখি ঘড়িতে সকাল ৮টা বাজে, আম্মু বলতেছে কিরে তুই কলেজে যাবি না এত বেলা পর্যন্ত কিসের ঘুম। নাহ আমি কলেজে যাব না আজ, তখন আমার বান্ধবী লোপা ফোন করল কিরে মনে আছে তো আজকে না কার জন্মদিন কথাটা শুনে বুকের ভিতর কেমন নড়াচড়া দিয়ে উঠল, তাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বললাম মনে আছে কিন্তু আমার যে আজ শরীর খারাপ. এটা শুনে লোপা চিৎকার শুরু করল ওর জন্মদিন আর তুই কিনা বলছিস তোর শরীর খারাপ ব্যাপার টা কি, কিছু শুনতে চাই না আধা ঘন্টার মধে কলেজে এসে হাজির হবি আমরা তোর জন্য অপেক্ষা করিতেছি বলেই লোপা ফোনটা কেটে দিলো। বাধ্য হয়ে উঠে ফ্রেশ হলাম তারপর কলেজের দিকে রওয়ানা দিলাম। আর মনে মনে সাত পাচ ভাবতেছি কি করা যায় বান্ধবীদের কালকের কথা বলা যাবে কি যাবে না। তারা বিষয়টি কি ভাবে নিবে। তার পর সিন্ধান্ত করলাম আমি তার সাথে স্বাভাবিক আচরন করব কিন্তু শুধু অনুষ্ঠান টা পর্যন্ত তার পর ফিরে আসব।
চলবে.......>>>>>>>>
বিঃ দ্রঃ এখনও প্রথম পাতায় একসেস পাইনি।
( আমি এখানে নতুন ভুল ক্রটি হলে একটু ধরিয়ে দিবেন প্লিজ)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




