সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি সামুতে আমার জেনারেল অধ্যায়। দীর্ঘদিন যাবত অপেক্ষার পর জেনারেল হলাম। এর জন্য সামুর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। সাথে সাথে আপনাদের প্র্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনাদের সকলের সহযোগীতা পেলে আমি আপনাদের সুখে দুঃখের সাথী হওয়ার জন্য আপ্রান চেষ্টা করব। এবার আশা যাক মুল অংশে।
পুর্ব প্রকাশিতের পর
লোপা চলে গেলো বিদায় নিয়ে আমার মনের ভেতর হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়ে।
কে এই সামু? ওর মুখ থেকেও আজ সামু শব্দটা শুনেছিলাম। তাহলে কি লোপার আরেক নাম সামু(শামছুন্নাহার এর সংক্ষিপ্ত রূপ)। কেউ তাকে আদর করে দেয় নি তো এ নাম। নাহ্ ভাবতে পারছি না। ওর সাথে তো লোপার ঘনিষ্টতা চোখে পড়ে নি কখনো? তাহলে কি আমার কাছ থেকে লুকিয়ে তারা..................।
আমাকে জানতেই হবে, কে এই সাম? যে কি না আমার সুখের রাজ্যের দুঃস্বপ্নের শালিক হতে চলেছে? তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।
আজকের আকাশটা খুব সুন্দর, চাঁদ যেনো তার সমস্ত রূপ-যৌবন ধরনীকে তার বুকে জড়িয়ে রেখেছে। কি অপরূপ লাগছে চাঁদকে। আহ্ এমন সময় যদি ও পাশে থাকতো। দেখতে না দেখতে এক টুকরো মেঘ এসে কেড়ে নিলো চাঁদের সকল সৌন্দর্য্য। মুহূর্তের মধ্যে সব অন্ধকার হয়ে গেলো,যা আমার জীবনেও ঘটতে যাচ্ছে। যাকে আমি আমার সমস্ত হৃদয় উজাড় করে ভালোবাসলাম, যে কি না আমায় ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারতো না, আজ সে আমার কাছ থেকে অনেক দুরে। কোথাকার কোন সামুকে নিয়ে ব্যস্ত।
আজ দু’দিন হলো একটা ফোন দেওয়ারও সময় পেলো না। আমি না হয় রাগ করেছি, তাই বলে কি ও.................ভাবতে না ভাবতেই হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। রিংটোনই বলে দিচ্ছে কার ফোন।
রিসিভ করবো কি করবো না ভাবতে ভাবতেই লাইন কেটে গেলো। আবারো ফোন বেজে উঠলো, এমন সুন্দর মুহূর্তটা হারাতে চাই না, তাই রিসিভ করতে বাধ্য হলাম। কোন কথা নয়, চুপ করে আছি। ও বললো,“জান, তুমি কি এখনো রাগ করে আছো আমার উপর, প্লিজ লক্ষ্মীটি কথা বলো, আমি যে তোমার কথা শোনার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে তোমার দ্বারস্থ হলাম।”
“হুম, মিথ্যে বলবে না। মিথ্যে আমার একদম সহ্য হয় না।”
“মিথ্যে নয় সত্যি বলছি, তোমার সাথে কি আমি মিথ্যে বলতে পারি।এই শোন, এক কাজ করলে কেমন হয়।”
“কি?” জানতে চাইলাম।
“কাল কলেজ শেষে কফি শপে আসো দুজনে বসে গল্প করবো, সেই সাথে তোমার সাথে একটা জরুরী বিষয় নিয়ে আলাপ আছে।”
“স্যরি জনাব, আমার পক্ষে কফি শপে যাওয়া সম্ভব নয়, এখানে অনেক বড় ভাইয়ারা থাকে। তোমার সাথে আমাকে দেখলে...................।” ওকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বললাম,“আমি কি ফোনটা রাখতে পারি?আমার প্রচুর ঘুম পাচ্ছে।”
কলেজ শেষে লোপা বললো,“এই শ্রাবু, পড়ন্ত বিকেলে কফির স্বাদ নিলে কেমন হয়?”
আমিও বলে ফেললাম,“ভালোই, চল।”
কফি শপে ঢুকতে যাবো সেই মুহূর্তে আমার চোখ আটকালো শেষের টেবিলে, যেখানে ও বসে আছে।
আমি থমকে দাড়ালাম আর লোপাকে বললাম,“না কফি নয়, দুটো আইসক্রিম নিয়ে আয়।”
লোপা আমার হাত ধরে বললো,“ তুই ভেতরে যাবি না।”
“না তুই যা, আমি বাইরে অপেক্ষা করি।”
লোপা ভেতরে ঢুকতেই আমি তাকে আড়াল থেকে ফলো করতে শুরু করলাম। তারপর যা দেখলাম, তা দেখে আমার দেখে সন্দেহটা আরো ঘনীভুত হলো।
লোপা সেই টেবিলের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে, যা দেখে আমি আর তাকাতে পারছি না। তাই বাধ্য হলাম সরে আসতে। দশ-বারো মিনিট পর লোপা ফিরে আসলো।
“কিরে দেরী করলি যে?”
“আরে বলিস না, ভেতরে ঢুকতেই একজন ডাক দিলো, তাই না গিয়ে পারলাম না।”
“হুম, যাবি না কেন, যেতে তো হবেই।”
“মানে!” লোপা বললো,“কি বলতে চাস?”
“কেন পানির মতো সোজা, ডেকেছে তোকে, তুই যাবি নাকি আমি যাবো।”
“শ্রাাাাবু, তুইও পারিস, এমন করে বলিস যেনো কথা নয়, তীর ছুড়েছিস।”
মনে মনে বলতে লাগলাম,“তীরের দেখেছিস কি, সবে তো মাত্র শুরু। তুমি নিজেকে যতই চালাক মনে করো না কেন, আসলে ততটা না। তুই আমার সুখের ঘরে ডাকাতির জন্য যে সাম্পান সাজাতে শুরু করেছো, আমি সেই সাম্পানে চড়ে তোমার স্বপ্নকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেবো। যা তুমি কোনদিনও জানতে পারবে না।”
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




