somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রিসবেন থেকে টুউম্বা পাহাড়ের কোলে

২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডন এর সাথে এয়ারপোর্ট থেকে বেড়িয়ে ব্রিসবেন দেখেই আমার চোখ জুড়িয়ে গেল. একরাতের দেখা মেলবোর্নের চেয়ে অনেক সবুজ মনে হোল. আর ব্রিসবেন এর আবহাওয়া অনেকটাই বাংলাদেশের মতন, সে কারনে গাছপালাগুলোও একইরকম. কৃষ্ণচূড়া, করবি এইগাছগুলো দেখে আপন আপন মনে হোল.......নানা রংএর করবি ফুটে আছে সারা পথজুড়ে. আর এত সবুজ! মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম. ডন আমাকে কি দেখাবে সেটা ভাবছিল...এমারেল্ড, ডনের মেযেকে জিজ্ঞেস করতে সে বলল, আমরা ওকে বাসায় নিয়ে যাই আমাদের বেড়ালটা দেখাই :):) এই হোল শিশু....:):) ডন একজন চমতকার বাবা......মিষ্টি করে বলল বেড়ালটা শ্রাবণ অন্য একদিন দেখবে এমারেল্ড, এখন আমরা ওকে অন্য কোন জায়গা দেখাই.

আমরা গেলাম মরটন বে তে.....বে এর পাশে বাচ্চাদের খেলার জায়গা, বসবার জায়গা, পার্ক... আমরা একটু কফি কিনে পার্কে বসলাম. দাপইরক কিছু কাজ ছিল ডনের আমার সাথে সেগুলো সেরে ফেললাম.

এরপর Neal এর কাছে আমাদের তুলে দিয়ে ডন চলে গেল, ডন আমাদের কাছের মানুষ, বন্ধু, তার বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ, তাই কাজের থেকে ছুটি নিয়েছে, পরিবার নিয়ে সময় কাটাবে বলে, শুধু আমাকে এয়ারপোর্টে রিসিভ করার জন্য ওদের আনন্দ ভ্রমন থেকে একটু সময় নিয়ে এসেছিল. আমার মনে হচ্ছিল না জানি কেমন হবে নিএল! নিএল একজন বয়স্ক লোক, প্রথম দেখায় মনে হোল একটু রুক্ষ, পরে এইধারনা আর টেকেনি.

গাড়িতে নিএল এর পাশেই বসলাম আমি....নিএল আমাদের একটু ব্রিসবেন শহর দেখাচ্ছে, ইউনিভাসিরইট অফ কুইন্সল্যান্ড, ন্যাশনাল পার্ক( নিএল বলছে যখন তোমরা ব্রিসবেন এ আসবে এখানে একটু হাটতে ভুলো না) , ব্রিসবেন রিভার..........কি চমতকার একটা নদী.....যে নদীর পানি উপচে ব্রিসবেনে বন্যা হয়েছিল...নদীর চারধার দিয়ে বসতি ব্রিসবেনএর মূল শহর, খাবার দোকান...বিজনেস সেন্টার....চটকরে তুলনা চলে আসে মনে নিজের দেশের........এরকমএকটা নদী থাকলে....পুরাটাই এতদিনে ভরাট হয়ে দালান কোঠা হয়ে যেত.......

নদীর বুকে চলছে ছোট ছোট যাত্রীবাহি নৌকা.....জানলাম এগুলোকে বলে সিটি ক্যাট...নিএল বলে চলেছে, একবার সিটিক্যাট এ চড়তে ভুলো না........আমি মনে রাখার চেষ্টা করছি...সিটিক্যাট সিটিক্যাট...



আমি দেখছি দোকানপাঠ, কেমার্ট আর মায়ার দেখে উচ্ছাস প্রকশ করছি...........কারণ ঐ একটাই জানা গল্প.......এই দোকানগুলোর নাম যে অনেক শুনেছি..........পরে অবশ্য নীএল এগুলো নিয়ে আমাকে ক্ষেপাতো......আমি বলেছিলাম আমার কোন শপিং করার নেই..........তাইতে সে বলছে.........হুম শ্রাবনের শপিং নেই তবে শ্রাবণ প্রথম দিনই বলে ওমা এ তো দেখি কেমার্ট........ওমা মায়ার.......:) :)

এরপর টুউম্বার পথ ধরে ছুটে চলা... যেতে পথে নি্এল দেখালো ইউনিভাসিরইট অফ কুইন্সল্যান্ড গেটন ক্যাম্পাস, গেট্টন এলাকাটা উর্বর, এখানে টিউব্ওয়েরের পানি ব্যবহার করা যায়........প্রচুর সবজি চাষ করে, একসময় দূর থেকে দেখা গেল বিরাট এক পাহাড়.......নিএল জানাল ঐ পাহাড়েই হবে আমাদের আগামী দশদিনের বাস, আরিয়ানার বাসা থেকে দূরে থাকতে হবে জন্য ভাল লাগছিল না........তবে টুউম্বা রেঞ্জ আমার মন কেড়ে নিল....







পাহাড়ী পথ বেয়ে বেযে আমরা গেলাম একবারে পাহাড়ের উপরে.......পিকনিক পয়েন্টে........



উদ্দেশ্য দুপুরের খাবার খাওয়া........সেই রাত তিনটায় খেয়েছি.....আর সকালে ডনের সাথে কফি.......পেটে সাঙঘাতিক ক্ষুধা.......বিশাল এক মেনু অর্ডার দিয়ে বসলাম, ল্যাম্ব কারি, সাথে কুসকুস (কাউনের চালের ভাত), আর পাপাডাম (পাপড়) এবং ক্যাপিচুনো........খেতে গিয়ে দেখি আর পারিনা.........


এরপর রাতে এবং পরের দিনগুলোর জন্য রান্না খাবারের জন্য খাবারের দোকানে ঘোরাঘুরি , সবশেষে আমাদের মোটেলে ফেরা.....মোটেলটা কি যে সুন্দর..........আমার একলার এটা রুম..........আর কোন মেয়ে নেই বলে একাই পুরোটা পেলাম.....



রাতে নিএল এর বাসায় খেতে বলেছে তাই রান্নার বালাই নেই.......ফ্রেস হয়ে জাফনার সাথে কথা বলে নেট এ ঢুকে গেলাম.......
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৪৯
১৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×