somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যারা বই পড়তে ভালবাসেন তাদের জন্য!!! দেশের সেরা পাঠাগার/লাইব্রেরির ঠিকানা এবং তথ্যাবলী!!! (সংগ্রহে রাখুন কাজে লাগবে) ;) ;) :D :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না এ কথা সত্য। তাই বলে কি কারো পক্ষে প্রয়োজনীয় সব বই কেনা সম্ভব? সংগ্রহ করাও কি সহজ? এ সমস্যার সমাধান করতে গড়ে উঠেছে লাইব্রেরি।

বেগম সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার

‘পড়িলে বই, আলোকিত হই, না পড়িলে বই, অন্ধকারে রই’—এমন স্লোগান শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির। প্রায় দুই লাখ বইয়ের এক বিশাল রাজ্য এখানে। পাবলিক লাইব্রেরি নিয়ে মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদার বলেন, ‘প্রতিদিনই দুই থেকে আড়াই হাজার পাঠক আসছে। আমরা পাঠকদের জন্য নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি। এ ছাড়া এখানে ফ্রি ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। বইয়ের কোনো অংশ প্রয়োজন হলে সেটা ফটোকপি করারও ব্যবস্থা রয়েছে।’ তিনি জানান, এ ছাড়া কেউ ৫০০ টাকা দিয়ে সদস্য হয়ে দুটি বই বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে। ইতিহাস, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, সাহিত্য, গণিতসহ সব ধরনের বইয়ের সন্ধান মিলবে। পুরনো পত্রপত্রিকা, সাময়িকীও পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে সাধারণ পাঠকক্ষ। তৃতীয় তলায় পত্রিকা, রেফারেন্স ও জেরক্স বিভাগ। নিচতলায় শিশু-কিশোর পাঠকক্ষ। ছয় থেকে ১৫ বছর বয়সী যে কেউ এখানে বসে বই পড়তে পারবেন। শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকে। শিশু-কিশোর পাঠকক্ষ খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বিস্তারিত জানা যাবে ০২-৮৬১০৪২২, ৮৬২৬০০১-৪
ঠিকানা : ১০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০।

ন্যাশনাল আর্কাইভ অ্যান্ড লাইব্রেরি

ন্যাশনাল আর্কাইভ অ্যান্ড লাইব্রেরি পাঁচ লাখের বেশি নতুন-পুরনো ও দুর্লভ বই সংগ্রহে আছে। সদস্যরা বই ইস্যু ও ফটোকপি করা ছাড়াও আর্কাইভ থেকে বায়োগ্রাফি, মানচিত্র এবং মাইক্রোফিল্ম কপি করতে পারেন। তিনটি পাঠকক্ষের একটিতে বাংলা বইয়ের সংগ্রহ, একটিতে ইংরেজি বই এবং অন্যটিতে পত্রিকা ও জার্নাল। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন লাইব্রেরিটি খোলা থাকে। ঠিকানা : সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ সরণি, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।

এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি

১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গ্রন্থাগারে প্রায় ১৫ হাজার বই রয়েছে। এখান থেকে বই কিনে নেয়া ছাড়াও যে কেউ সদস্য হতে পারবেন। এছাড়া নিজের লেখা দুটি গবেষণামূলক বই জমা দিয়ে সদস্যপদের জন্য আবেদন করা যাবে। এ ধরনের সদস্যরা বাসায় বই নিয়ে যেতে পারবেন। তবে সাধারণ সদস্যদের সে সুযোগ নেই। সদস্য ফি ২০০ টাকা। এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি দুর্লভ বইয়ের সংগ্রহশালা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। এটি মূলত গবেষকদের জন্য। কেবল সদস্যরা লাইব্রেরিটি ব্যবহার করতে পারেন। যদিও অনুমতি সাপেক্ষে অন্যরাও এ লাইব্রেরি ব্যবহারের সুবিধা পেতে পারেন। গবেষকরা খুব সহজেই এ অনুমতি পেতে পারেন। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা এবং বৃহস্পতিবার বেলা ২টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা থাকে এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি। ফোন: ৭১৬৮৯৪০, ৭১৬৮৮৫৩
ঠিকানা : ৫ পুরাতন সেক্রেটারিয়েট রোড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের পাশে), নিমতলী, রমনা, ঢাকা-১০০০।

মহানগর লাইব্রেরি

পনেরো হাজারের মতো বই আছে। লাইব্রেরির উপ-গ্রন্থাগারিক ফরিদ উদ্দীন জানান, সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাসবিষয়ক বই ছাড়াও আছে বিদেশি অনেক বই। দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন পড়া যায়। ই-লাইব্রেরি থেকে প্রয়োজনীয় চাকরির বিজ্ঞপ্তি সংগ্রহ করা যায়, যা পাঠকের সুবিধার্থে বোর্ডে টানিয়ে রাখা হয়। সদস্যরা বই ইস্যু করে বাইরে নিতে পারেন। ঠিকানা : গুলিস্তান (গোলাপশাহ মাজারের সামনে), ঢাকা।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের গ্রন্থাগারে প্রায় ১৫ হাজার বই রয়েছে। গ্রন্থাগারের সদস্য ফি বার্ষিক ১০০ টাকা। ফেরতযোগ্য ১০০ থেকে ৪০০ টাকা নগদ জমা দিয়ে সর্বোচ্চ চারটি বই সদস্যরা ২০ দিনের জন্য বাসায় নিয়ে পড়তে পারবেন। সরকারি ছুটির দিন বাদে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের গ্রন্থাগার খোলা থাকে।
ঠিকানা: ৫/সি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তান, ঢাকা।

বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৭২ সালের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে বই রয়েছে প্রায় ৫ লাখ। এ ছাড়াও ১৯৫১ সাল থেকে জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং আঞ্চলিকসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র সংগৃহীত রয়েছে। গ্রন্থাগারে আসন সংখ্যা ১৫০ হলেও প্রতিদিন ৫ শতাধিক পাঠক এখানে পড়তে আসেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার খোলা থাকে।
ঠিকানা: ৩২ বিচারপতি এসএম মোর্শেদ স্মরণি, আগারগাঁও, ঢাকা।



ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরি
এক লাখ ৩০ হাজারের মতো বই এ লাইব্রেরির সংগ্রহে আছে। এর অধিকাংশই ইসলামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক। ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, দর্শন, স্বাস্থ্যবিষয়ক বইও আছে এখানে। শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন পাঠকের জন্য এটি উন্মুক্ত। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ঠিকানা : বায়তুল মোকাররম (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম), গুলিস্তান, ঢাকা।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ লাইব্রেরি
সামাজিক বিজ্ঞানবিষয়ক দেশের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি। এক লাখ ৩০ হাজারের মতো বই ও জার্নাল আছে এখানে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন খোলা থাকে।ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু লাইব্রেরির সঙ্গে এ লাইব্রেরির বই ও তথ্য আদান-প্রদান চুক্তি আছে। এ কারণে পাঠকরা প্রায়ই নতুন বই পেয়ে থাকেন।
ঠিকানা : ই-১৭ আগারগাঁও, শেরে বাংলানগর, ঢাকা।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র লাইব্রেরি
প্রায় এক লাখের মতো বই সংগ্রহে রয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র লাইব্রেরিতে। এ ছাড়া তাদের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি রয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্ট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয় এই লাইব্রেরি। সদস্যরা এখানে বই ধার নিয়ে পড়ার সুযোগ পান। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্য হতে হলে ১০০ থেকে ২০০ টাকা জামানত হিসেবে দিতে হবে, আর মাসিক চাঁদা ১০ টাকা।
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সদস্য হতে হলে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা জামানত হিসেবে দিতে হবে, মাসিক চাঁদা ১০ টাকা। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে। সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার। ঠিকানা: ১৪, ময়মনসিংহ রোড, বাংলামোটর, ঢাকা। ফোন: ৯৬৬০৮১২, ৮৬১৮৫৬৭

ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি
ব্রিটিশ কাউন্সিলে ইংরেজি ভাষায় লিখিত আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিক ও নন-একাডেমিক বইপত্র রয়েছে। ইংরেজি ভাষার বই পড়তে চাইলে আসতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরিতে। এখানে রয়েছে ২৫ হাজার বইয়ের বিশাল এক সংগ্রহশালা। শুধু তা-ই নয়, ১৫ হাজারের বেশি সিডি-ডিভিডির সংগ্রহের পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য একটি সাইবার জোন আছে। তবে সদস্য বা এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যবহার সীমাবদ্ধ। শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকে। সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, জার্নালসহ ইংরেজি শিক্ষার অডিও, ভিডিও সিডি রয়েছে এখানে। সদস্যরা বই এবং অডিও, ভিডিও সিডি বাসায় নিতে পারবেন। দুই ক্যাটাগরিতে সদস্য নেয়া হয়। জেনারেল মেম্বারশিপ ফি ১ হাজার টাকা এবং ওপেন লার্নিং মেম্বারশিপ ফি দেড় হাজার টাকা। সদস্য মেয়াদ এক বছর এবং নবায়নযোগ্য।
ঠিকানা: ৫ ফুলার রোড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা/(উদয়ণ স্কুল এর উল্টা পাশে)), ঢাকা। ফোন: ৮৬১৮৯০৫-৭

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ লাইব্রেরি
অলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় লিখিত বই, জার্নাল, পত্রপত্রিকা ছাড়াও রয়েছে চলচ্চিত্র এবং সঙ্গীতের বিশাল সম্ভার। বইয়ের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার । সদস্যরা চারটি বই, একটি ম্যাগাজিন ও একটি জার্নাল দুই সপ্তাহের জন্য ধার নিতে পারেন। বার্ষিক ২ হাজার টাকা দিয়ে যে কেউ অলিয়ঁস ফ্রঁসেজের সদস্য হতে পারবেন। শনি থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকে।
ঠিকানা: ২৬ মিরপুর রোড, ঢাকা।ফোন: ৮৬১১৫৫৭

গ্যেটে ইনস্টিটিউট লাইব্রেরি
গ্যেটে ইনস্টিটিউটেও এটিও একটি পূর্ণাঙ্গ লাইব্রেরি রয়েছে। পাঁচ হাজারের বেশি বই, ম্যাগাজিন ও সিডি-ডিভিডি রয়েছে গ্যেটে ইনস্টিটিউট লাইব্রেরিতে। শুধু বই পড়া নয়, সিনেমা দেখারও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এই লাইব্রেরিতে বইয়ের পাশাপাশি অডিও-ভিজ্যুয়াল সেবা পাওয়া যাবে। এখানে ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় বেশি বই পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও এখানে জার্মানির দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের পাশাপাশি দেশটির উল্লেখযোগ্য জার্নাল রাখা হয়।
ঠিকানা: বাড়ি-১০, রোড-৯ (নতুন) ধানমণ্ডি, ঢাকা। ফোন: ৯১২৬৫২৫


রাশিয়ান সেন্টার অব সায়েন্স অ্যান্ড কালচার

রাশিয়ান সেন্টার লাইব্রেরির সংগ্রহে রয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি বই এবং অ্যালবাম। বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, ভ্রমণবিষয়ক বইয়ের পাশাপাশি এখানে রয়েছে রুশ ভাষার পাঠ্যবই। ইংরেজি, বাংলা এবং রুশ—এ তিন ভাষার বই এখানে পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও ২৮টি বাংলা পত্রিকা এবং রুশ ভাষার ৯টি দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন, সিডি-ডিভিডি নিয়মিত রাখা হয়। বার্ষিক সদস্য ফি ৩০০ টাকা। তবে বই বাসায় আনতে হলে গুণতে হবে ৫০০ টাকা।
ঠিকানা: বাড়ি-৫৪, রোড-৮/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা।

নজরুল ইনস্টিটিউট
১৯৮৫ সালের ১২ জুন ধানমণ্ডির কবি ভবনে গ্রন্থাগারটি স্থাপিত হয়। কাজী নজরুল ইসলামের
সবকিছু একত্রে পেতে এ গ্রন্থাগারের তুলনা নেই। তার সাহিত্য, সংগীত, সম্পাদনা ও প্রকাশনা,
হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি, পত্রাবলি, বিভিন্ন রেকর্ডের বিশাল সংগ্রহ নিয়ে গ্রন্থাগারটি গড়ে তোলা
হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ঠিকানা: বাড়ি-৩০০বি, রোড-২৮ (পুরনো), ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা।

ব্যান্সডক লাইব্রেরি
বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বই আছে এখানে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ঠিকানা: ব্যান্সডক, সায়েন্স ল্যাবরেটরি; ফোন: ৮৬২৫০৩৮-৯


বার্ক লাইব্রেরি

বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বার্ক) গ্রন্থাগারে বই এবং জার্নাল রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার। অধিকাংশ বই কৃষি বিষয়ের। যে কোনো পাঠক সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এখানে বই পড়ার সুযোগ পাবেন।
ঠিকানা: খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি
সংগ্রহের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি এটি। ছয় লাখ ১৬ হাজার ৮৬৫টি বই ও সাময়িকী আছে গ্রন্থাগারটিতে। ৩০ হাজারেরও বেশি বিরল পাণ্ডুলিপি ও মাইক্রোফিল্মও লাইব্রেরির সংগ্রহে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই কেবল লাইব্রেরিটি ব্যবহার করতে পারেন। পুরনো পত্রিকার সংগ্রহও আছে লাইব্রেরিতে। ঠিকানা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০।

বাংলা একাডেমী লাইব্রেরি
এক লাখ ২০ হাজার বই ও ৭০ হাজার পত্রপত্রিকার এক বিশাল সংগ্রহশালা এ লাইব্রেরি। জার্নালও আছে অনেক। সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। লাইব্রেরির প্রধান গ্রন্থাগারিক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী জানান, লাইব্রেরিটি মূলত গবেষকদের জন্য। গবেষকরা এখানে বিনা মূল্যে সদস্য হতে পারেন। ইতিহাস, সাহিত্য, বিজ্ঞানের সব বই এখানে পাওয়া যায়। ঠিকানা : ৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা), রমনা, ঢাকা-১০০০।

ব্যানবেইস লাইব্রেরি
লাইব্রেরিটির গ্রন্থাগারিক ফরিদা ইয়াসমিন জানালেন, ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকে। নিচ তলায় সাধারণ পাঠকক্ষ ও দ্বিতীয় তলায় আছে ডকুমেন্টেশন সেন্টার। এতে দুই হাজার ৫৭৭টি শিক্ষাবিষয়ক ডকুমেন্ট, ১২২টি সাময়িকী আছে। লাইব্রেরির ই-বুক সেন্টার থেকে যে কেউ পেনড্রাইভ বা সিডিতে কপি করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেন। ঠিকানা : ১ সোনারগাঁও রোড (পলাশী-নীলক্ষেত এলাকা), ঢাকা-১২০৫।


আহসানিয়া মিশন লাইব্রেরি
হাউজ নং ১৯, রোড নং ১২, ধানমণ্ডি, ঢাকা

ফেডারেশন লাইব্রেরি
৬০ মতিঝিল, ঢাকা

ব্যান্সডক লাইব্রেরি
আগাঁরগাও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর লাইব্রেরি
৫ সেগুনবাগিচা, ঢাকা

কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট লাইব্রেরি
বাড়ি-৩, রোড-১৪/এ শংকর, ঢাকা

জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র লাইব্রেরি
আইডিবি ভবন, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা

শিল্পকলা একাডেমী
সেগুনবাগিচা, রমনা, ঢাকা


============================================

লাইব্রেরির আদব
সঙ্গে আনা চাদর, ব্যাগ অথবা বইপত্র লাইব্রেরির নির্দিষ্ট জায়গায় জমা রাখুন।
লাইব্রেরির পক্ষ থেকে পাঠকদের জন্য বিশেষ কোন কোন সুবিধা পাবেন বুঝে নিন। যেমন মেম্বারশিপ পাওয়া, নেট ব্রাউজিং, বিগত বছরের পত্রিকা দেখা ইত্যাদি। এসব সুবিধা সব জায়গায় নাও থাকতে পারে।
লাইব্রেরিতে প্রবেশের আগে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট মুড বা ভাইব্রেশন দিয়ে রাখুন।
লাইব্রেরিতে যাওয়ার সময় কাগজ, কলম, নোটবুক সঙ্গে রাখবেন যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য টুকে নিতে পারেন।
ক্যাটালগ ব্যবহারে যত্নবান হন। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিন।
কক্ষে সাবধানে হাঁটাচলা করবেন। বইপত্র ঘাটাঘাটি বা চেয়ারে বসার ক্ষেত্রে অন্যের মনোযোগে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখুন।
পত্রিকা, বইয়ের পাতা মুড়বেন না বা ছিঁড়বেন না।
লাইব্রেরির পড়ার টেবিল, বই, পত্রিকা বা অন্যান্য স্থানে শব্দ, বাক্য লেখা বা চিত্রাঙ্কন করবেন না।
লাইব্রেরিতে গল্প করবেন না, এমনকি ফিসফিস করে কথা বলবেন না। এতে অন্যের পাঠে অসুবিধা হতে পারে।
লাইব্রেরির নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং মেনে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট, ফেসবুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৯
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×