somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯৯৬ সালে এইচ.এস.সি, মাঝখানে পুরো এক যুগ- আজ আসছে নতুন প্রজন্ম

২৫ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন ও মনে হচ্ছে এই তো সেদিন বোর্ড ষ্ট্যান্ডের খবর টা শুনে পুলকিত হয়েছিলাম। কিন্ত সেটা ১৯৯৬ সাল, যে বছরে আমি HSC পাশ করেছিলাম, আমার মত অনেকেই। How Time Does Fly! আজকে প্রকাশিত হবে ২০০৯ সালের HSC এর ফলাফল, মাঝখানে পুরো এক যুগ চলে গেল। আসলো কত পরিবর্তন। মনে পড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমাদের সিলেবাস পরিবর্তনের কথা, আমাদের আগের সিলেবাসে (কোন শ্রেনীতে তা মনে নেই) "পালে নাও পালে নাও পালে নিয়ে যাও" কবিতা ছিল, আমাদের সময় তা ছিল না, তাই আমি রাগ করেছিলাম, আব্বুকে বলেছিলাম ঐ কবিতাটা আমাদের নাই কেন?

১৯৯৪ সালে আমরা যখন SSC পরীক্ষার জন্য ফর্ম পুরণ করেছিলাম তখন শুরু হয়েছিল নতুন নিয়ম, কম্পিউটার বেসড SIF (Student Information Form)। সেবার ঐ পরীক্ষার আগে বেসরকারি শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছিল। যার ফলে আমাদের পরীক্ষা গুলো আগের কেন্দ্র গুলোতে দিতে পেরেছিলাম না, যেতে হয়েছিল সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে। মনে আছে আমাদের পরীক্ষা হয়েছিল দর্শনা সরকারি কলেজে। স্কুলে পড়ি, কলেজের স্যারেরা পরীক্ষা নিবে! একটু আদটু ভয় পেছিলাম বৈকি।

SSC পাঠ শেষ করে এবার HSC এর পালা। প্রতিযোগিতা শুরু হলো কিভাবে আরো বেশি নম্বর পাওয়া যায়। কারণ ১ টি নম্বর অনেক অনেক গুরুত্বপুর্ণ! বেশি জানার প্রতিযোগিতায় না থেকে বেশি নম্বর তোলার প্রতিযোগিতাটা খুবই ভয়াবহ। মনে পড়ে HSC এর গণিত/পরিসংখ্যান/পদার্থ/রসায়ন কতবার যে সিলেকটিভ রিভিশন দিয়েছিলাম, কারণ একটাই এ সব বিষয়ে ৯০ এর উপরে পেতে হবে! কি অদ্ভুত ধারণা। অথচ তা না করলে তখন হয়তো ঐ সব বিষয়ের বেসিক গুলো আরো ভালো ভাবে ভালো পরিসরে জানা হতো। যাক সে কথা, ১৯৯৬ সালেই প্রথমবারের মতো ৫ টি শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নপত্র একই হয়েছিল। কিন্ত আমরা তা আগে ভাগে জানতে পারিনি, জেনেছিলাম পরীক্ষার কিছুদিন আগে। আবার নতুন চিন্তা, তাহলে এবার কি কৌশলে পড়তে হবে? আমরা ছিলাম যশোর বোর্ডের অধীনে তাই ঢাকা বোর্ডের বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন যোগাড়ে নামতে হয়েছিল সেই সাথে ঢাকা ও নটরডেম কলেজের সাজেশন ও নির্বাচনিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, কারণ ঢাকা বোর্ড বলে কথা।

HSC পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। আবার সেই একই জিনিষ, আমরা গিনিপিগ!! পুরাতন ৩ বছর মেয়াদী সাবসিডিয়ারি BSc এর বদলে শুরু হলো নতুন চার বছর মেয়াদী ইন্টিগ্রেটেড BSc। যা অবশ্য আমাদের জন্য ভালোই হয়েছিল।

সেই সব প্রশ্নপত্র আজ নেই, সে সব সিলেবাসেও এসেছে অনেক অনেক পরিবর্তন। তবে সবচেয়ে ভালো যে দিকটি হয়েছে তা হলো গ্রেডিং ব্যাবস্থা চালুকরণ। বোর্ড ষ্ট্যান্ড নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন (ছাত্র-ছাত্রীদের চাইতে অভিভাবকদের আরো বেশি) নেই। কলেজে ভর্তি পরীক্ষাও এখন আর হয় না, জিপিএ এর ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হয়। উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাতে ও চালু হয়েছে গ্রেডিং (যদিও বুয়েটে আগে থেকেই গ্রেডিং ছিল)। এখন তাদেরকে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সময় নম্বর পদ্ধতিগত যে সমষ্যা সে ঝামেলাই পড়তে হচ্ছে না।

কেটে গেছে এক যুগ, আজ আবার ঘুরে ফিরে লাখ লাখ পরীক্ষার্থী তাকিয়ে আছে কখন তাদের ফলাফল পাবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে তোমাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল। আমাদের আর কি, অতীত স্মৃতি স্মরণ করি। এভাবেই একদিন জীবনের শেষ প্রান্তে ও চলে আসতে হবে। তোমাদের কাছে শুধু আবেদন মানুষ হও, দেশটাকে বিশ্বের দরবার তুলে ধরো..........................
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০০
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×