somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসাধু দালাল চক্রের ভর্তি ফর্ম জালিয়াতি: হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন অনিশ্চিত

২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অসাধু দালাল চক্রের ভর্তি ফর্ম জালিয়াতির কথা ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকাতে এসেছে। এরা নকল ভর্তি ফর্ম তৈরি করে তাদের লোকজনের মাধ্যমে (বলা যায় গুপ্ত(!) মার্কেটিং পলিসি) দেশের বিভিন্ন জায়গায় অল্প দামে পাইকারি ভাবে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের কাছে বিক্রি করে। অল্প দামে পাওয়া যায় দেখে দেশের আনাচে-কানাচে সহ বড় বড় কোচিং সেন্টারগুলোও এই ফর্ম কিনে এবং কোমলমতি ছাত-ছাত্রীদের কাছে ঢাবি নির্ধারিত আসলে দামের চাইতেও কিছু বেশি দামে বিক্রি করে। দেশের দূর-দূরান্তের ছাত্র-ছাত্রী সহ ঢাকা শহরের অনেক ছাত-ছাত্রীও ভোগান্তি কমানোর লাঘবের আশায় এই সমস্ত ফর্ম কিনেছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোনভাবে জেনে ফেলার পর পুলিশ নিয়ে ঢাকা শহরের ২/১ জায়গায় অভিযানও চালিয়েছে। কিন্ত প্রশ্ন হলো: এই সব হাজার হাজার প্রতারিত ছাত-ছাত্রীদের কি হবে? তারা তো ভর্তি পরীক্ষাটাই দিতে পারবে না।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু ছাত্র-ছাত্রী বিক্ষিপ্তভাবে ঢাকা শহরে মিছিলও করেছে। সেখানে সেইসব নিরপরাধ ছাত-ছাত্রীরা আমাদের তথাকথিত রক্ষকদের কাছে থেকে কি ধরনের ব্যবহার পেয়েছে সেটাও টেলিভিশনের মাধ্যমে আপনারা অনেকেই দেখেছেন (http://www.youtube.com/watch?v=E4V_m9Aa6V4)। নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।

ঢাবি কর্তৃপক্ষ কি ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারে?
অনেক বছর ধরেই দেখে আসছি, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার এক সাথে হাজার হাজর ফর্ম কিনে থাকে। তারা এই ফর্মগুলো কোথা থেকে পায়? নিশ্চিৎ বলা যায় ঢাবি/অগ্রনী-জনতা ব্যাংক থেকে। একসাথে এতগুলো ফর্ম কারা কিনছে কেন কিনছে তা নিশ্চয় ঢাবির অজানা নয় (যদি অজানা হয়ে থাকে কেন তাদের এই প্রশ্ন আসেনি যে এত ফর্ম কোথায় যায়!)। তার মানে ঢাবির গোচরেই এই ফর্মগুলো দালাল চক্রের হাতে গিয়ে পড়ছে এবং মুলদামের চাইতে বেশি দামেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানেই কিন্ত সমষ্যার শুরু। কারণ যারা নকল ভর্তি ফর্ম তৈরি করেছে তারা জানে যে এই ফর্মগুলো তারা বিক্রি করতে পারবে। কেন বিক্রি করতে পারবে? কারণ, ঢাবি এবং এর অথোরাইজড প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কিছু দালাল কোচিং সেন্টারগুলো কোন রকম জবাবদিহিতা ছাড়াই ভর্তি ফর্ম বিক্রি করে চলেছে অনায়াসেই। সেই সুযোগে তারা তাদের নকল ফর্ম গুলো বাজারে ছেড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। আর এর ফলে এবার প্রতারিত হয়েছে হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-ছাত্রী এবং হতাশ হয়ছেন তাদের অভিভাবকরাও। ছাত্র-ছাত্রী বা অভিভাবকদের কে কি দোষ দেওয়া যাবে? মোটেও না, কারণ ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোথাও ঘোষনা দেয়নি যে শুধুমাত্র লিষ্টেড প্রতিষ্ঠান থেকেই ভর্তি ফর্ম কিনতে হবে। সুতরাং আজ এই হাজার হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের গতিধারাকে ধংশের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য ঢাবিকে দায়ী করা যায় বৈকি।

এখন করণীয়?
১) ঢাবি নতুন করে অন্তত ২/১ সপ্তাহের জন্য আবার ভর্তি ফর্ম বিক্রি করুক যাতে করে প্রতারিত হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী আবার ভর্তি ফর্ম কিনতে পারে এবং ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পায়। এতে করে নিশ্চয় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।

২) এই হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যত গুরুত্বসহকারে চিন্তা করে তারা যেন আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে সেই ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০০
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×