সংখ্যায় তারা লক্ষাধিক ছিলো। তারা কোটির অধিকও থাকতে পারতো। এতে অবাক হওয়ার কিছুই ছিলো না। কিন্তু থাকেনি। ছাগলের পালে লক্ষাধিক ই ছিলো। গোলাম আজম গং...... গোলাম আজমের মুরিদ তারা, মওদুদীবাদের ধারক তারা। কেউ কেউ দালাল, শুভাকাঙ্ক্ষীও ছিলো। বিশাল বহর তাদের, বিশাল শোডাউন। ইসলামের ধারক বাহক বলে কথা (তাদের মতে)। প্রেস্টিজিয়াস ব্যাপার। বিশ্বের কাছে মহান বলে জাহির করতে হবে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হবে। তার শরীরের কালিমা মোচন করতে হবে। গর্তে থেকে থেকে জং ধরা শরীর ঝাড়তে হবে। তার জন্য গত তিন দিন ধরে চলছে প্রস্তুতি।
এসব জানতাম আমরা। আওয়ামী লীগ রাজনীতি বোঝে, সরকার ক্ষমতা বোঝে, প্রশাসন সময়ের হাওয়া বোঝে। আমরাও আঁচ করতে পারছিলাম হাওয়া কোন দিকে বইছে। হয়ত প্রতিকূল ছিলো সেই হাওয়া আমাদের জন্য। বুঝতে পারছিলাম, তবু প্রতিজ্ঞা করলাম, কিছু করতেই হবে। রুখতে হবে এই পিশাচকে। আমরা জানিনা আমাদের সক্ষমতা। জানিনা আমাদের আকার, সংখ্যা, সীমাবদ্ধতা। শুধু জানি জ্বলছে দ্রোহের আগুন, বুকের ভেতর। এই আগুন নেভাতে হবে। একটা কিছু করতে হবে।
প্রেসক্লাব থেকে যখন এগোতে লাগলাম তখন সর্বসাকুল্যে জনা চল্লিশেক আমরা। জানতাম, জোয়ার এলে হয়ত বানের জলে ভেসে যাবো, তবু অকুতোভয় তারুন্য। রক্তে যাদের দ্রোহের মহাকাব্যিক ইতিহাস, তাদের কিসের ভয়? হ্যাঁ, আমরা ভয়কে জয় করেছি। আমরা প্রতিবাদ করেছি লক্ষ হায়নার সামনে দাঁড়িয়ে। মাত্র এই কয়জনই। হয়ত আমরা পারিনি যা চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা ছাড়িনি। বিশ্বাস করুন আমরা একদম ছাড়িনি। রাজাকারের কফিনে জুতা মেরে ঘৃনা আর প্রতিবাদের এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছি আমরা। হ্যাঁ, আমরাই করেছি, এই প্রজম্মই করেছি। আমরাই ইতিহাসের এই অধ্যায়ের কারিগর। জয় বাংলা।
বিদ্রঃ বাঁধন ভাই’কে স্যালুট। মৃত্যুর পরোয়া না করে হাজারো হায়নার ভিড়ে ঢুকে রাজাকার গোলাম আজমের কফিনে জুতা নিক্ষেপ করার জন্য। তুমিই এই ইতিহাসের নায়ক। আজম্ম স্যালুট তোমায়।