আগে ছবিটি দেখেন,

কি সুন্দর কিউট বেবি, তাইনা??

বাচ্চাটা আমার বা আপনার ছেলে/ভাগ্নে/ভাতিজা বা ছোট ভাইর মত দেখতে নয় কি???
তাকে কোলে করে ইকটু আদর করতে বা কাধে নিয়ে মোড়ের দোকানে নিয়ে এক গাদা চকলেট/চিপ্স কিনে দিতে ইচ্ছা করছে কি আপনার??

না, সেটা সম্ভব না।।

কারন সে এখন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এই টুকুন ছেলে কি পারবে একা এই পাঞ্জা লড়াই জিততে???
আমি বলি না!!, যদি না আমরা সবাই এক হয়ে তার হাতকে “শক্তিশালি” করি,


“শক্তিশালি” শব্দটা কি একটু রাজনৈতিক শব্দ হয়ে গেল??? হতে পারে, তাই আসুন আগে বিস্তারিত যেনে নেই।

আমি এই ছেলেটিকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনিনা,গতকাল রাতে কিছু ব্লগারের ফোন পেলাম, তারা আমাকে কিছু পোস্ট পড়তে বলল, আমি পড়লাম এবং হটা খেয়াল হল আমার দু’চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।তাই আমি এই পোস্ট প্রসব করলাম।

যে সকল তথ্য আমি পেলাম তা নিন্মরুপ (ইকটু সময় করে পড়ুন প্লিজ)ঃ


ব্লগার জালিস মাহমুদ এর পোস্ট থেকেঃ

নাওয়ার খান (রুশান) বয়স (তিন বছর)। এই ছোট্ট ছেলেটির এখন হেসে খেলে বেড়ানোর সময়।কিন্ত ভাগ্যর র্নিমম পরিহাস,আজ সে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে।কারন রুশানের জম্নগতভাবে হার্টের একটি ভাল্ব নেই,তিন বছর সে ঔষধের সাহায্যে বেঁচে আছে।কিছুদিন পূর্বে হঠ্যাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকার ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে বাইপাস সার্জারী করার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল।
রুশানের বয়স অনেক কম হওয়াতে তখন ডাক্তাররা সেই অপারেশন করতে ব্যার্থ হয়।রুশান এই মুহূর্তে বরিশালের আম্বিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি আছে।কারন তার বয়স যত বাড়ছে তার অসুস্থতা তত বাড়ছে।যার কারনে তাকে যে কোন সময় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
বর্তমানে জরুরী ভিত্তিতে তার হার্টে নতুন ভাল্ব বসাতে হবে। ঢাকার ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ডাক্তাররা এই জন্য থাকে ইন্ডিয়া নিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন।


ব্লগার ঘুড্ডির পাইল এর পোস্ট থেকেঃ

অনেকেই আমাকে খোজ নেয়ার জন্য বলে , আমি খোজ নিয়ে জানলাম রুশান এর বাবা রুশান এর দায়িত্ব নেয় নাই এবং সেই ব্যাক্তি আসলে রুশান ও তার মায়ের সাথে কোন সম্পর্ক রাখে নাই(বেটা বদমাইশ) সে হিসাবে রুশান এখন একটি অসহায় শিষু , বর্তমানে রুশানের মা বরিশাল সদরে ডেলভিউ ডায়াগনস্টিক এ একটা ছোট চাকরি করেন। তার উপার্জন দিয়ে হয়তো রুশানকে তিনবেলা ভাত মুখে তুলে দিতে পারেন, কিন্তু এই অসহায় মায়ের ক্ষুদ্র এই উপার্জন রুশানের এই বিপজ্জনক অসুখের চিকিৎসার কাছে খুবই দুর্বল। রুশান বর্তমানে তার মা সহ নানা বাড়ি থাকে।
কেউ চাইলে নিচের ঠিকানায় গিয়ে তদন্ত করতে পারেন, "হাসিম কুটির" (রুশানের নানা বাড়ি) বরিশাল বি এম ইউনিভার্সিটির বা কলেজ এর প্রথম গেটের পাশে, তুহিনদের বাসা বললে চিনায়া দিবে, বাসার নম্বর বলতে পারেন নাই রুশানের নানি, সে একজন বয়স্ক মানুষ, যে লোকেশন দেয়া আছে তাতে তার বাসায় যাওয়া যাবে, আরও সহজ ঠিকানা হলো বরিশালের একসময়ের বিখ্যাত রংবাজ পিস্তল মহিউদ্দিন এর পাশের বাসা, এই ঠিকানা কইলে যে কেউ বাসা চিনায়া দিবো।

বরিশালের বিভিন্ন সংগঠন এবং ছাত্র / ছাত্রিরা চাদা তুলছে রুশানের জন্য , তারা অবশ্যই খোজ নিয়েই কাজটা করছে, মনে হয় না এখানে কোন ধরনের দুইনম্বরি আছে, বাকি টা আপ্নাদের বেপার

ব্লগার রিমন ০০৭ এর পোস্ট থেকে
রুশান আমার কেউ না। কিন্তু আমার মনের কোথায় যেন রুশানের জন্য কান্না আসে। আমি আমার বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে থাকলে রুশানের কথা মনে পড়ে। বাচ্চাটা কত কষ্ট পাচ্ছে। আমার বাচ্চাতো চোখ মেললেই তার বাবাকে দেখে হাসিমুখে তার পাশে। কিন্তু রুশানের বাবা থেকেউ নেই। নেশাখোর বাবা রুশানদের খোঁজ নেয়না। রুশানের মা কি তার বরিশাল সদরে ডেলভিউ ডায়াগনস্টিক এর ছোট চাকুরির টাকা দিয়ে রুশানকে বাচাঁনোর চিন্তা করছেন প্রতিটাক্ষণ? তিনি কি পারবেন আপনাদের সাহায্য ছাড়া নিজের সন্তানকে বাঁচাতে? কতটা অসহায় হলে পিতা/মাতা বাচ্চার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতে সেটা সেই মানুষটায় বুঝে। আমরাতো কত টাকা আনন্দ-ফুর্তিতে উড়িয়ে দেই। আসেন না, সামনের শুক্রবারে চাইনীজ খাওয়াটা বন্ধ করে সেই টাকাটা রুশানকে পাঠিয়ে দিই। এই মাসে নিজের জন্য কিছু কিনতে চেয়েছেন, সামনের মাসে কিনুন না, টাকাটা রুশানের যে খুব প্রয়োজন। টাকা পাঠাতে ব্লগার রিমন ০০৭ এর সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ুন




পরিশেষে আমার কথাঃ
ঢাকার ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেছে বুকের বাল্ব বসাতে হবে তাই তাকে ইন্ডিয়া নিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন।এর জন্য প্রয়োজন প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ টাকার যা তার মাতার পক্ষে কোনভাবেই সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।
তো এত টাকা তো আমার বা আপনার পক্ষে দেওয়াও সম্ভব না। তাহলে কি ছেলেটি এত অল্প বয়সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে??
একমাত্র উপায় সবার সম্মেলিত উদ্দেগ।
আমাদের এই সামুতে শুনেছি ১ লক্ষের ওপর ব্লগার রয়েছেন । আমারা যদি প্রত্যেকে ৫ টাকা করে ও দেই তাহলে অনেক টাকা হয়ে যায় ।

প্লিজ আসুন আমরা বাবুটিকে বাঁচাতে সবাই এক হই ।

পুনশচঃ ব্লগার ঘুড্ডির পাইল, ব্লগার জালিস মাহমুদ, ব্লগার আমিনুর রহমান, ব্লগার সঞ্জয় নিপু ,
ব্লগার রিমন ০০৭, যদি আপনারা ঢাকায় থাকেন তাহলে আমার সাথে ইকটু যোগাযোগ করবেন। আমার অফিস বনানীতে। টাকা পয়সার হেল্প কি করতে পারব জানিনা, তবে দৈহিক শ্রম আর মেধা কাজে লাগাতে চাই। আমার মোবাইল নং ০১৬৭৩ ২৫ ৮ ০৫৯