এ যেন নিশীথ পূর্ণিমায় জন্ম নেয়া কোন ফুল !
নিষ্পাপ চোখে ছড়ায় অচেনা খুশবু
গুটি গুটি পায়ে পুরুষের রঙ ঝরে পড়ে
মৃত্তিকার ছাপে লেগে থাকে নিশ্ছিদ্র স্থিরতা
জন্মের সংবাদে ঘোষিত হয়-
নিকটে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এক যুদ্ধ সৈন্যসামন্তহীন ।
কিশোরীয় ধূসর গোঁফে আবেগ তাড়নায়
শরীরভিত্তিয় রহস্য ভেদে কেটে যায় ঘড়ির কাঁটা
উদাস হৃদয়ে শূণ্যতার এক অদ্ভুত খেলাঘর
চোখের জলে শত অভিমান গড়িয়ে পড়ে ঠোটে
কেউ কোথাও নেই-
একাকীত্বের কাঁথা গায়ে জড়িয়ে রাত্রি কেটে যায়
কতশত অযাচিত নির্জর স্বপ্নে বিভোর হয়ে ভোর ফোটে !
এ নয় বুঝ, এ নয় অবুঝ-
দেহের ছলনায়, সময়ের কাঁটাতারে আটকে পরে বালকীয় হৃদয়।
এভাবে ঢেউয়ে ঢেউয়ে তীরের বয়স বাড়তে থাকে.....
গড়িয়ে যাওয়া সন্ধ্যাগুলো ধীরে ধীরে রাত্রি হয়ে যায় ।
দেহের রেখায় প্রসারিত হয় অন্ধকার লোমকূপ
দৈহিক সীমানা ছাড়িয়ে সে এখন কারো হৃদয়ে প্রেম জমায়
গভীর নিশ্চয়তায় রচনা করে অযাচিত প্রেমকাব্য
হৃদয়ের অলিগলিতে লালনীল আঁধারী
হাতে হাত রেখে হেঁটে যায় দু'টি সঙ্গোপন অজানা কোন গন্তব্যে...
বিজ্ঞজন বলে এই প্রেমের কোন অর্থ নেই
কিন্তু সদ্য যৌবনে প্রবেশ করা হৃদয়ে... অর্থহীন অন্যসব !
রঙিন মানচিত্র যখন বিচ্ছেদের জলে ভেসে যায়
সমুদ্র তখন গান গেয়ে যায়-
কোন বিহঙ্গ তার বুকে উড়ে না যাওয়ার দুঃখে...
নিষ্পেসিত হৃদয়ে যখন আবারও সজীবতার সঞ্চারণ ঘটে
গুরুজনের মুখ বেয়ে তেড়ে আসে অসংখ্য ধনুক
পাড়ি দিতে হবে গহীন সমুদ্র- জীবন নামক শঙ্কায়
ঘাবড়ে যাওয়া হৃদয় কেঁপে উঠে অজানা শিহরণে
দায়িত্বের শিকল পায়ে বেঁধে ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় সে
ধুলোমাখা পকেট ভর্তি রঙিন স্বপ্ন- বন্দি করতে পূরণ
নিজকে ব্যাতিরেকে অন্যের বাগানে ঘ্রাণ ছড়াতে
মহাকাল বলে দিয়েছে- এ অসুখই তোমার সুখ !
পৃথিবী মুচকি হেসে আগাম সুধায়- সয়ে যাবে বেচারা....
ছবি বন্ধু- গুগুল ইমেইজ ।
**এই কবিতাটি নিশ্চিতভাবে 'অপ্সরা' কে উৎসর্গ করলাম।