somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীর পুরুষ ধর্ষণ

২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ফাতেমা, দুর্গা ও মেরী তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু । এক দিকে ভার্সিটিতে একই শ্রেনীতে পড়া, অন্য দিকে ইন্টারনেট, এই দুইয়ের সুবাদে ওঁদের বন্ধুত্ব চুটিয়ে চলছিল । খুবই জ্ঞানী এবং সাহসী এই তিন বান্ধবী । তবে ইদানিং-এর ধর্ষণের সংবাদ শুনতে শুনতে বেশ প্রভাবিত হয়ে পড়েছিল তাঁরা । ভার্সিটির ক্যান্টিনে ও ফাস্ট ফুডের দোকানে বসে প্রায় তাঁরা ধর্ষণ নিয়ে আলোচনা করতো । ধর্ষণ কেন হয় এবং এর প্রতিকার কি, এই নিয়ে তাঁদের চিন্তার শেষ ছিল না ।
এক দিন এক ফাস্ট ফুডের দোকানে বসে নারী ধর্ষন নিয়ে মেরী, ফাতেমা ও দুর্গার মধ্যে আলোচনা চলছিল; হঠাৎ ফাতেমা বললো- ''আচ্ছা, এই ধর্ষণ শুধু পুরুষরাই কেন করে, নারীরা কেন পুরুকে ধর্ষণ করে না ? মেয়েদেরও পুরুষকে ধর্ষণ করে হিসেব চুকিয়ে দেওয়া উচিৎ'' । ফাতেমার এই প্রস্ন শুনে মেরী ও দুর্গা হেসেই যেন আত্মহারা । ফাতেমা- ''ব্যাপার কি ? এতে এত হাসার কি আছে'' ? উত্তরে মেরী- ''হাসবো না- নারী আবার পুরুষ ধর্ষণ করে নাকি'' ? এরই মধ্যে দুর্গা বলে উঠলো- ''আরে পাগলী মুরগি শিয়েল খায়, নাকি শিয়েল মুরগি খায়'' ? ফাতেমা- ''আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে'' । মেরী জানতে চাইলো- ''আইডিয়া মানে, কিসের আইডিয়া'' ? উত্তরে ফাতেমা- ''আমরা পুরুষ ধর্ষণ করে পুরুষের ধর্ষণের দাঁত ভাঙা জবাব দেব'' । দুর্গা- ''আইডিয়াটা মন্দ না'' । মেরী- ''কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব ? আমাদের মতো সুন্দরী যুবতী মেয়ে পেলে কোনো পুরুষের আপত্তি থাকবে কি ? আপত্তি না থাকলে তো সেটা ধর্ষণ হবে না'' । ফাতেমা- ''তা বটে, তবে আমরা এমন পুরুষকে শিকার বানাবো যার আপত্তি থাকবে'' । দুর্গার প্রশ্ন- ''এমন পুরুষ কি বাংলাদেশে আছে'' ? ফাতেমা- ''এত বড় দেশে থাকবে না কেন ? এমন পুরুষ আমাদের খুঁজে বের করতেই হবে'' ।

তিন বান্ধবীই ভাবছে যে এমন পুরুষ কোথায় পাওয়া যায় যেই পুরুষের ধর্ষিত হতে আপত্তি থাকবে । শুক্রবার দিন বেলা প্রায় বারোটা বাজতে চললো ঘুম ভাঙতেই ফাতেমার মাথায় ধর্ষণের চিন্তা শুরু হয়ে যায় । হঠাৎ যেন তার মাথায় কিছু এলো । অবিলম্বে বালিশের পাশে রাখা সেলফোনটি উঠিয়ে একে একে মেরী ও দুর্গা দু'জনকেই কল করে হোটেল পুষ্প-তে আসতে বললো । ফাতেমা আগেই হোটেল পুষ্প-তে গিয়ে দুর্গা ও মেরীর জন্য অপেক্ষা করছিল । তার পর একে একে মেরী এবং দুর্গাও পুষ্প-তে গিয়ে উপস্থিত হলো । মেরী ফাতেমার কাছে জানতে চাইলো- ''কি ব্যাপার, এত তাড়াহুড়ো করে এখানে কেন আসতে বললে'' ? উত্তরে ফাতেমা- ''আমার মাথায় একটা ফন্দি এসেছে, সেই কথা বলতেই তোমাদেরকে এখানে ডেকেছি'' । দুর্গা- ''এই জন্য এখানে ডাকতে হবে ? ফোনেও বলতে পারতে'' ? চট করে ফাতেমা বললো- ''না, ফোনে সব কথা বলে যায় না'' । মেরী- ''ঠিক আছে, বলো দেখি কী ফন্দি তোমার মাথায় এলো । নিশ্চয় সেই পুরুষ ধর্ষনের ব্যাপারে'' ? ফাতেমা- ''ঠিক ধরেছো । আমার মনে হয় কোনো মসজিদের ইমামকে ধর্ষণ করতে চাইলে নিশ্চয় তাঁর আপত্তি থাকবে'' । দুর্গা- ''চমৎকার আইডিয়া বের করেছো তো ! পাশের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী এই বছরই হজ্জ করে এসেছেন । বয়সও খুব বেশী না, মাত্র ত্রিশ'' । মেরী- ''তাই নাকি ? এমন ব্যাক্তি তো নিশ্চয়ই ধর্ষণের মতো অন্যায় কাজের পক্ষে যাবেন না । চলো তাহলে দেরি না করে আজই জুম্মার নামাজের পরই কাজটা সেরে ফেলা যাক'' । ফাতেমা- ''আমিও তাই ভাবছি । কিন্তু তার আগে আমাদের একটা কাজ করতে হবে'' । দুর্গা জানতে চাইলো- ''আবার কি কাজ'' ? ফাতেমা- ''আরে ধর্ষণ কি রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে করবো নাকি ? এই কাজের জন্য আমাদের এই হোটেলেই একটা রুম ভাড়া করতে হবে । চলো আগে রুমের বুকিং দিয়ে নিই'' । দুর্গা- ''ও হ্যা, চলো চলো'' ।

জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার পর ইমাম মোহাম্মদ আলী পায়ে হেঁটেই বাসায় ফিরছিলেন । হঠাৎ দুর্গা ও মেরীর কার ইমাম আলীর সামনে এসে থামলো । আলী তাঁদের দিকে তাকাতেই দুর্গা কার থেকে নেমে মিনতির সাথে বললো- ''ইমাম সাহেব, আমার বান্ধবী ফাতেমা কেমন যেন করছে, আপনি যদি আমাদেরকে একটু সাহায্য করতেন'' ! ইমাম আলী- ''কেন ডাক্তার দেখাওনি'' ? দুর্গা- ''ডাক্তারের ওষুধে কাজ হচ্ছে না, একজন আমাকে বললো- জুম্মার নামাজ পড়ার পর ইমামকে দিয়ে ঝাড়ালে ঠিক হয়ে যাবে । আপনি চলুন না ইমাম সাহেব আমাদের সাথে'' । মেরী- ''আসুন ইমাম সাহেব, গাড়িতে বসুন'' । ইমাম আলী কারে বসতে বসতে- ''ঠিক আছে চলো । খুব বেশি দূরে নাকি'' ? মেরী বললো- ''না ইমাম সাহেব, ঐ সামনের হোটেলটাতে'' ।

মেরী ড্রাইভিং করছিল । হোটেলের সামনে গিয়ে মেরী কার থামালো । মেরী আর দুর্গা এক সাথে কার থেকে নামলো । তার পর ইমাম আলীকে উদ্দেশ্য করে মেরী বললো- ''আসুন ইমাম সাহেব'' । ইমাম আলী কার থেকে নেমে মেরী ও দুর্গার পেছনে পেছনে চলতে থাকলেন । গন্তব্য হোটেলের পঞ্চম তলা । যেখানে তাঁদের ভাড়া করা রুমে ফাতেমা অবস্থান করছিল । রুম নাম্বার ৩৩৩- আগে মেরী কক্ষে প্রবেশ করলো তার পর দুর্গা প্রবেশ করে বললো- '' আসুন ইমাম সাহেব, ভেতরে আসুন । ঐ দেখুন কীভাবে ফাতেমা বেড-এর ওপর পড়ে আছে । ওকে দেখুন প্লীজ'' । এই বলেই দুর্গা রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো । ইমাম আলী ফাতেমার কপালে হাত দিয়ে জ্বর আছে কিনা দেখছিলেন; হঠাৎই ফাতেমা ইমাম আলীকে জড়িয়ে ধরলো । ইমাম আলী- ''এই করছো কি'' ? ফাতেমা- ''এখনই বুঝতে পারবেন কি করছি'' । ইমাম আলী- ''ব্যাপার কি বলো তো ? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না'' । মেরী- ''আমি বুঝিয়ে বলছি মিস্টার আলী । আমরা এখানে আপনাকে ফাতেমার চিকিৎসার জন্য নয়, ধর্ষণ করার জন্য নিয়ে এসেছি'' । ইমাম আলী- ''এই, তোমাদের মাথা ঠিক আছে তো ? আমার তো মনে হয় তোমরা পাবনা থেকে পালিয়ে এসেছো'' । দুর্গা বললো- ''না আমাদের মাথা খারাপ হয়েছে, না আমরা পাবনা থেকে পলাতক । আমরা পূর্ণ জ্ঞানের সাথে আপনাকে ধর্ষণ করতে যাচ্ছি'' । এতক্ষণে মেরী এবং দুর্গাও ইমাম আলীকে পেছনের দিক থেকে ধরে ফেলেছিল । ইমাম আলী বললেন- ''দেখো- আমার সাথে জোর করার কোনো দরকার নেই । আমি স্বেচ্ছায় তোমাদের সাথে সহবাস করতে প্রস্তুত'' । তাঁরা ইমামকে ছেড়ে দিলো । ইমাম হাফাচ্ছিল । ফাতেমা ইমামকে বললো- ''কিন্তু আমরা তো আপনাকে ধর্ষণ করতে চাইছি, আপনি যদি এই কাজ রাজি হয়ে করেন তাহলে তো আর এটা ধর্ষণ হবে না'' । ইমাম আলী- ''দেখো, তোমাদের মতো সুন্দরী মেয়েদের সাথে সহবাস করতে পারাটা তো সৌভাগ্যের ব্যাপার । বাংলাদেশে এমন কোন পাগল পুরুষ আছে যে এই রকম সুন্দরীদের প্রস্তাবে রাজি হবে না'' ? ফাতেমা- ''কিন্তু আপনি তো একজন হাজী এবং মসজিদের ইমাম । আপনি কি করে এমন একটি অপকর্ম ক্রতে পারবেন'' ? হাসতে হাসতে ইমাম আলী বললেন- ''দেখো আবার কি বলে, আরে তোমাদের মতো টিন এজ যুবতীদের সান্নিধ্য পেলে কি আর কে হাজী, কে ইমাম, এসব মনে থাকে ? তাছাড়া, এই পুরুষ শাসিত সমাজে শেষ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখিন তোমাদেরই হতে হবে কারণ, আমাদের মতো ধর্ম রক্ষক পুরুষদের হাতেই এই সমাজের সকল রীতি-নীতি গড়া । নারীদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সকল ব্যবস্থা আমাদের পূর্ব পুরুষরা তথা ধর্ম যাজকরা অনেক আগেই করে রেখেছেন'' । ফাতেমা রেগে বললো- ''বেটা শয়তান কোথাকার, বেরিয়ে যা এখান থেকে'' । ইমাম আলী- ''সে কি, ধর্ষণ না করেই বের করে দেবে'' ? মেরী চোখ রাঙিয়ে পার্স থেকে পিস্তল বের করে বললো- ''গেলি এখান থেকে ? নাকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করতে হবে'' ? ইমাম আলী দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন । ফাতেমা বললো- ''এবার কি করা'' ? দুর্গা শান্তনা দিয়ে বলও- ''চিন্তা করো না । আমরা অন্য কাউকে খুঁজবো'' ।

এক দিন পর হোটেল পুষ্প-এর লন-এ বসে তিন বান্ধবীর মধ্যে ধর্ষণ প্রসঙ্গে কথোপকথন হচ্ছিল । দুর্গা একটু চুপ থাকার পর বললো- ''আচ্ছা- ঐ শিব মন্দিরের রাম নাথকে ধরলে কেমন হয়'' ? মেরী বললো- ''ভালো বলেছো তো ! শুনেছি, পুরোহিত রামনাথ বড়ই সত এবং ধার্ম পরায়ন'' । ফাতেমা- ''শুধু তাই নয় তিনি নাকি ব্রহ্মচারী । এখন পর্যন্ত বিয়েও করেননি'' । দুর্গা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো- ''চলো এখনই শিব মন্দিরে যাবো'' । তিনজনই কারে গিয়ে বসলো, গন্তব্য শিব মন্দির । ফাতেমা ড্রাইভ করছিল । মন্দিরের পাশে গিয়ে কার দাঁড় করিয়ে মেরী ও দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে গমন করলো । ওই সময় মন্দিরে পুরোহিত রামনাথ একাই ছিলেন । তাঁর বয়স ৩৪ । সংক্ষিপ্ত পুজো সম্পন্ন করার পর দুর্গা মাটিতে লুটিয়ে পড়লো । মেরী চেচিয়ে বললো- ''আরে দুর্গা কি হয়েছে তোমার ? পূজারী জী, তাড়াতাড়ি আসুন- দুর্গার কি যেন হয়েছে'' । পুরোহিত দ্রুত দুর্গার কাছে এসে বললো- ''কি হয়েছে ওর'' ? মেরী-''আমি জানি না । দুর্গাকে ধরে গাড়িতে নিয়ে চলুন'' । দুজনে উঠিয়ে দুর্গাকে গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসালো । দুর্গাকে গাড়িতে রেখে পুরোহিত ফিরে যেতে উদ্যত হলে দুর্গা পুরোহিত রামনাথের হাত টেনে ধরে বললো- ''আপনীও বসুন পূজারী জী'' । রামনাথ অবাক হয়ে বললেন- '' বুঝলাম না, কি বলতে চাইছো'' ? গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মেরী পিস্তল বের করে বললো- ''ভদ্রতার সাথে বসবেন নাকী...........'' পিস্তল দেখে পুরোহিত রামনাথ ভিতস্বরে বললেন-''তোমরা আমাকে কেন নিয়ে যেতে চাইছো'' ? উত্তরে ফাতেমা- ''নিয়ে গিয়ে আমরা আপনাকে ধর্ষণ করবো'' । রামনাথ- '' এই কথাটা আগে বললেই তো আমি তোমাদের সাথে স্বেচ্ছায় চলে যেতাম'' । দুর্গা অবাক হয়ে বললো- ''আপনি একজন পুরোহিত হয়ে স্বেচ্ছায় এমন কাজ করতে পারবেন'' ? পুরোহিত রামনাথ মুস্কি হেসে বললেন- ''তোমার মতো জ্যান্ত দুর্গা পেলে ঐ মূর্তি দুর্গার পুজো কোন পাগল করবে বলো'' ? দুর্গা রেগে বললো- ''দূর হয়ে যা এখান থেকে, লম্পট কোথাকার । এই মেরী গাড়িতে বসো, চলো ফিরে যাই'' । ওঁরা কারে করে মন্দির থেকে প্রস্থান করলো ।

পর দিন রোববার বেলা ১১টার সময় ঘুম থেকে উঠে মেরী ভাবছিল কি করা যায় ? একে একে দু'টো টার্গেট মিস হয়েছে, এবার মিস হলে চলবে না । মেরীকে তাঁর মার সাথে প্রতি রোববারেই চার্চ-এ যেতে হয়, নইলে মা রাগ করেন । মেরী ভাবছিল চার্চের ফাদার ৪০ বছর বয়স্ক মসীহ, তাঁকে এবার ধরলে কেমন হয় ? ফাদার মসীহ কখনোই পরনারীর সাথে যৌনাচার করবেন বলে মনে হয় না । দুর্গা ও ফাতেমাকে ফোন করে জানিয়ে দিলো আজ দুপুরে যেন তাঁরা চার্চ মেরী-তে পৌঁছায় । মেরী তাঁর মার সাথে চার্চে আগেই পৌঁছে গেল । দুর্গা এবং ফাতেমাও এসে তাঁদের সাথে যোগ দিলো । প্রার্থনা শেষ হবার পর মেরী তাঁর মাকে বললো- ''মা তুমি চলে যাও, আমরা একটু পরে আসছি'' । একে একে সবাই প্রার্থনা শেষে চলে গেল । রয়ে গেল ওঁরা তিনজন আর ফাদার মসীহ । ফাতেমা ও দুর্গা চার্চের দরজা গুলো বন্ধ করে দিলো । ওঁদের তিন জনকে দেখে কাছে এসে ফাদার মসীহ জিজ্ঞেস করলেন- ''সবাই চলে গেছে, তোমরা কেন এখনও দাঁড়িয়ে আছো'' ? মেরী তাঁর পার্স থেকে পিস্তল বের করে বললো- ''আমরা আপনাকে ধর্ষণ করবার জন্য দাঁড়িয়ে আছি । ওই দেখুন চার্চের সব ক'টি দরজাও আমরা বন্ধ করে দিয়েছি'' । ফাদার মসীহ- ''এটা পবিত্র জায়গা এখানে পাপ কাজ করতে নেই'' । মেরী- ''বেশি কথা বললে গুলি চালাবো । কাপড় খুলুন'' । ফাদার মসীহ- ''দেখো, এটা পবিত্র জায়গা, অন্য কোথাও চলো । আমি নিজের খুশিতে তোমাদের সাথে এই কাজ করতে প্রস্তুত । এমন যুবতীদের সাথে সহবাস করতে তো হিজড়েরাও প্রস্তুত হয়ে যাবে'' । দুর্গা রেগে বললো- ''এই তুমি চার্চের পাদরী হয়ে মনের খুশিতে এই রকম অপকর্ম কি করে করতে পারো ? তোমার তো আপত্তি থাকার কথা'' । ফাদার মসীহ- ''আমি পুরুষ । তোমরা ইজ্জত আমার লুটবে কিন্তু এই পুরুষ শাসিত সমাজ নষ্টা তোমাদেরকে বলবে । এই সমাজ অপবাদ তোমাদেরকে দেবে, আমাকে নয় । তাহলে আমার আপত্তি কেন থাকবে ? আচ্ছা, সত্যি করে বলো তো- তোমরা আমাকে ধর্ষণ কেন করতে চাইছো'' ? উত্তরে ফাতেমা- ''প্রতিশোধ নিতে । প্রায় টিভি, সংবাদ পত্র ও ইন্টারনেটে দেখছি ছেলেরা মেয়ে ধর্ষণ করছে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরাও পুরুষ ধর্ষণ করে বদলা নেব'' । ফাদার মসীহ হেসে বললেন- ''ধর্ষণ তোমরা করবে কিন্তু এই পুরুষ শাসিত সমাজ ধর্ষিতা বলে তোমাদেরকে অপবাদ দেবে । সমাজের প্রভাবশালীরা এবং আমাদের মতো ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বরা রীতি-নীতি তথা আইন-কানুনের জন্ম দিয়েছে । এখানে নারীদেরকে বসে রাখার জন্য সব রকমের অমানবিক ব্যবস্থা করা হয়েছে । ধর্ষিতা, বেশ্যা, কুলটা, ছিনাল, পতিতা, অসতী, আরো কতইনা অশ্লীল শব্দ নারীর জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে । দু'জন অবিবাহিত ছেলে মেয়ে যৌন মিলন করলে ইজ্জত শুধু মেয়ের যাবে এই মত-এর জন্ম দাতা পুরুষ'' । মেরী জানতে চাইলো- ''তাহলে নারীকে সমাজের অমানবিক রীতি-নীতি থেকে রক্ষা করার উপায় কি'' ? ফাদার মসীহ- ''নারী আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন । দুর্বার নারী আন্দোলন গড়ে তোলো, বদলে দাও সমাজের এক তরফা রীতি-নীতি । শুধু পুরুষের ইচ্ছেয় সমাজ কেন চলবে'' ? দুর্গা- ''কিন্তু ফাদার, এই পুরুষ শাসিত সমাজের বিরুদ্ধে দুর্বল নারীরা কি রুখে দাঁড়াতে পারবে'' ? ফাদার মসীহ- '' কেন পারবে না ? আমি তোমাদের পেছনে আছি । টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে সব রকমের সাহায্য আমি তোমাদেরকে করবো । তোমরা সমাজের সর্ব স্তরের নারীদের সমন্নয়ে একটি সংগঠন তৈরি করো । দুর্বল ও নির্যাতিতা নারীদেরকে আশ্রয় এবং অর্থ সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থা করো । নারীদের নিরাপত্তার জন্য প্রধান মন্ত্রীর সাহায্য নাও । আমাদের প্রধান মন্ত্রীও নারী, তাই নারী মুক্তি আন্দোলনে নিশ্চয় তিনিও যোগ দেবেন বলে আমার বিশ্বাস । যেই দেশ নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয় সেই দেশের নারীদের পুরুষের দাসত্ব করাটা বড়ই লজ্জার । আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেত্রীরা চাইলে নারীদেরকে অধিকার দেওয়াটা কোনো কঠিন কাজ নয় । আর কত কাল এই দেশের নারীরা পুরুষের অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করবে ? নারীরাও মানুষ, তাই নারীদেরও পুরুষের মতো সমাজে অধিকার থাকতে হবে'' । ফাদার মসীহ রুম থেকে কিছু টাকা এন মেরীকে দিতে দিতে বলেন- ''এই মুহুর্তে আমি তোমাদের কে ৫০ লক্ষ টাকা দিচ্ছি । যখনই টাকার প্রয়োজন হবে আমার সাথে যোগাযোগ করো । যাও, বাংলাদেশের সকল নারীর সাথে যোগাযোগ করো, নির্যাতনের শিকার নারীদেরকে আর্থিক, আইনী, আবাসিক, সব রকমের সাহায্য করো'' । ফাতেমা- ''ঠিক আছে ফাদার, আমরা কাল থেকেই কাজ শুরু করবো । এখন চলি' । ফাদার মসীহ- ''যাও । ঈশ্বর তোমাদেরকে সফল করুন'' । ওঁরা তিনজন কারে করে বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো । এবং পরদিন থেকে ''নারী মুক্তি'' নামক সংগঠনের কাজে মনোনিবেশ করে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২০
১২টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×