১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘ভ্রমন বাংলাদেশ’ ও ‘ঢাকা সাইক্লিং ক্লাব’ যৌথভাবে “মাদক মুক্ত তারুণ্য গড়বে দেশ অনন্য” এই স্লোগান নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে এক সাইকেল র্যালীর আয়োজন করে। এই র্যালীতে টিএসএন ক্লথিং লিমিটেড স্পন্সর করে। উক্ত র্যালীতে আমরা মোট ৭ জন সাইক্লিষ্ট অংশোগ্রহন করি। এই সাইকেল র্যালীতে রবিউল হাসান খান মনা, আফতাবুর রহমান, আনোরয়ার বাবু, আজহারুল ইসলাম রঞ্জু, রেজাউল করিম, মোজাক্কের হোসেন এবং আমি মো: শরীফুল ইসলাম অংশগ্রহণ করি। আমরা প্রথমে সকাল ৮ টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে রবিউল হাসান খান মনা, আফতাবুর রহমান, আজহারুল ইসলাম রঞ্জু, রেজাউল করিম, মোজাক্কের হোসেন আমিসহ মোট ৬ জন সাইকেল র্যালীটি শুরু করি। আমরা শাহবাগ, বাংলামটর, কাউরান বাজার, ফার্মগেট হয়ে সকাল ৮:৪৫ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গনে এসে আনোরয়ার বাবু ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি এবং কেক, চা পান করি। কিছুক্ষণ পর বাবু ভাই আমাদের সাথে যোগ দিলে আমরা কিছু ছবি তুলে রওনা দেই। আসাদ গেট, শ্যামলী হয়ে কল্যাণপুরে ভ্রমন বাংলাদেশের রাহাত ভাইয়ের বাসার সামনে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই। রাহাত ভাই আমাদের জন্য খাবার পানি দিয়ে সাহায্য করেন। সেখানে বাবু ভাই তার সাইকেলে পাম্প দেয়।আমরা সেখানে কিছু ছবি তুলে আবার রওনা দেই সাভারের উদ্দেশ্যে। গাবতুলী ব্রিজ পার হওয়ার কিছুক্ষন পার হওয়ার পর রঞ্জু ভাইয়ের সাইকেলের চেইন ছিড়ে যায় তাই সেখানে প্রায় ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। রঞ্জু ভাইয়ের সাইকেল ঠিক করার পর আমরা ১০ টার দিকে আবার রওনা দেই। আমরা বিভিন্ন জায়গায় “মাদক মুক্ত তারুণ্যÑগড়বে দেশ অনন্য” লেখা যুক্ত লিফলেট বিতরন করি। আমরা সকাল ১১ টার দিকে সাভার বাজার অতিক্রম করি। সাভার বাজার থেকে আরও কিছু দূর যাওয়ার পর সবাই নাস্তার জন্য সাইকেল র্যালী কিছুক্ষনের জন্য বিরতি দেই। নাস্তা শেষ করে ১১:৩০ মিনিটের দিকে আবার রওনা দেই। পথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে স্মৃতি সৌধের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। স্মৃতি সৌধ পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় দুপুর ১ টা বেজে যায়। আমরা পর্যটন মোটেলের সামনে সাইকেল রেখে স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গনের দিকে রওনা দেই। সেখানে বেশ কিছু ছবি তুলি এবং লিফলেট বিতরন করে ১:৩০ দিকে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। জাতীয় স্মৃতিসৌধ হইতে আশুলিয়ার কাছে এসে আমার সাইকেলের পাম্প চলে যায় আমি সাইকেলে পাম্প দিয়ে আবার রওনা দেই। আমরা টংগী, উত্তরা, বিশ্বরোড, মহাখালীতে পৌঁছাই প্রায় ৩:৩০ দিকে। সেখান থেকে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি নাবিস্কো হয়ে নাখাল পাড়া চলে আসি আমার ব্যাক্তিগত কাজের জন্য। আর বাকি সবাই মহাখালী, পুরনো এয়ারপোর্ট, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ হয়ে চারুকলার বিপরীতে ছবির হাটে এসে সাইকেল র্যালীটি শেষ করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



