somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেখানে গোধূলি

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক
+ এর স্থলে ে কার হবে।
কি দিয়ে লেখা শুরু করবো অথবা কি লিখবো তা আমি নিজেই জানি না। এ লেখার শুরু এবং শেষ কােথায় তা আমি খুঁজে নয় বুঝে উঠতে পারছি না। আশাহীন এ ক্ষুদ্র জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি।
কেমন আছো? তােমার বন্ধুদের শারদীয় শুভেচ্ছা। শারদীয় কথাটা সবার আগে লেখা উচিৎ ছিল কিন্তু যেখানে কােন সুখ নেই, আনন্দ নেই তা পরে আসাই ভালো। বাস্তব মুখর পৃথিবীতে †বঁচে †থকে এমন †কান ক্ষতি করবো না যাতে †তামার জীবনটা আমার মত উল্টো-পাল্টা হয়ে যায়। তবে, মানুষকে ভালেবাসলেই কাছে পাওয়া যায় না। আমাকে ভালোবাস তা সত্য; †স ভালোবাসাকে অক্ষুন্ন †রখে সুরমাকে নিয়ে সুখী হও। সুরমা স্বপ্নে নয় বাস্তব জীবনে ফিরে আসুক। সুরমাকে ধন্যবাদ, ও ভাগ্যবতী। সব জানার পরও †তামাকে ভালোবাসে। ওর উদার মনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
মন চাইলে উত্তর দিও। ভালো †থকো, সুখে †থকো। পূজায় আসলে †বড়াতে এসো, †দখা হবে।
তোমার কামনা প্রার্থী, রীতা।

ভালোবাসায় †কবল ভালোবাসাই চায় না; মিলনের স্বপ্ন চায়, কাছে থাকার অধিকার চায়। একটা হাসি মাখা †চাখের নীরবতা চায়, চায় চিরকালের স্বপ্ন বাসর। আমার প্রতি †তামার †য ঘৃণা, †স ঘৃণা আর আমার নীরব ভালোবাসা এক হয়ে থাক পৃথিবীর উপর। তাতে †যন †তামারি জয় হয়। †গাপনে এসে নীরবে চলে †যতে †চয়েছিলাম কিন্তু তুমি তাতে বাদ সাধলে। তাতে কি? †তামার †প্রমে আমার †য বন্ধন তা থাকল আমার হৃদয়খনিতে। †কান দিন তাকে মুছে †যতে †দব না।
রীতার চি?ি পড়ে সুদিপের এ কথাগুলি †চাখের সামনে †ভসে উ?ল। †চাখ বুজলে যাকে †দখা যায় হাত বাড়ালেই তাকে ধরা যায় না। †স দূরের। রীতা তার অতীত। এক সময় †স প্রার্থণা করে †কবল একটা কিছুই চাইতো, হয় রীতা নয় মৃত্যু।
সুরমার †ফান এলো।
“হ্যালো।”
“বলো।”
“কি করছো?”
“কিছু না।”
“আমি জানি তুমি ওকে খুব অনুভব করছো। আমি জানতাম না তুমি ওকে এতো ভালোবাসতে। জানলে এতো কাছে আসতাম না।”
“মন খারাপ করছো?”
“না। নিজেকে খুব অপরাধী ভাবছি।”
“সবাই তার ভালোবাসার কাছে ভালোবাসা দাবী করে। তুমিও করছো।”
“তুমি কষ্ট †পলে আমি দারুণ কষ্ট পাই। ভাবি হয়তো †তামাকে সব দিতে পারিনি।”
“অনেক দিন খাঁচায় বন্ধী থাকলে ডানা ভার হয়ে যায়। পাখি তার উড়ার আপন আকাশ †পলেও উড়তে সাধ জাগে না। মুক্ত আকাশের স্বপ্ন †স ভুলে যায়। অতীত স্বপ্ন †কবলি তাকে কষ্ট †দয়। নীল আকাশের বুকে †দখে শক্ত গ্রিলের †সই পুরনো খাঁচাটি।”
“তোমাকে আমি কি দিতে পারিনি?”
“মনের আড়াল যা কিছু রয়ে †গছে।”
“সব কিছু পাওয়ার পরও †য চাহিদা তা অপুরণ †যাগ্য। আমার †দওয়ার আড়ালে †তামার যা †পতে ইচ্ছে করে তা †কনো বলো না? †তামার জন্য আমি সব করতে পারি, চিরকালই পারবো।”
“আকাশ চিরকালই রঙ বদলায়।”
“সুরমা বদলাবে না। হালকা রঙ হালকা হয় না। †তামার জন্য সুরমা †কবল †চাখের উপরই সেŠন্দর্য বর্ধন করবে না নীল আকাশের বুকে নীল গালিচা †পতে রাখবে। †তামার †যখানে সুখ সুরমা †সখানে অপত্তি করবে না।”
“হয়তো জানি না। ?িক জিনিসটা ?িক সময় বুঝে উ?তে পারি না। কখন †ক আছে আর কখন †ক ছিল?”
“তুমি আমার মাঝে কি খুঁজে পাওনা?”
“খোঁজার সময় †পলাম কৈ?”
“তুমি কি †বাঝ না একজনকে ফাঁকি দিচ্ছো? সব পাওয়ার পরও †স ভাবতে পারে না আমি সব †পয়েছি।”
“আমার প্রতি খুব রাগ হয় তাই না? তবে রাগ করো না। রাগ করলে †কবল তুমি একাই আলাদা হয়ে রবে।”
“রাগ আমি †সদিন †থকেই ভুলে †গছি, †যদিন †তামার মাঝে নিজেকে সমর্পণ করেছি।”
“প্রিয়তমা কবিতাটা পড়েছো?”
“বলো।”
সব দিল †য ছিন্ন করি তব পূজা লাগি
দেশহীন ঘরহীন সাজিল †ববাগী
ওগো প্রিয়া প্রিয়সিনী, ওগো †মার প্রিয়তমা অয়ি
আজও তুমি তার তরে
ছলনায় হতে চাও জয়ী
ওগো †মার মন †ভালা †দবী বিশালাক্ষী
কার তুমি হতে চাও কারে †দবে ফাঁকি
যুগে যুগে †য †তামারে করে †গল পূজা
দিয়ে †গল পুষ্পহার নিয়ে †গল সাজা
তার †প্রমে আজও তুমি হলে নাকো †দবী
ওগো প্রিয়া; ওগো †মার
প্রেম পূজারিণী।

যে †তামারে সব দিল নাই তার বাকী
আজও তুমি তারে †কবল দিয়ে যাও ফাঁকি।

“তোমার ভালো লাগায় আমার †কান বাঁধা †নই। তবু, আজ †কনো এ কবিতা?”
“এ †তামার প্রতি নয়, আমার অবাঞ্চিত মনের প্রতি। আমার সকল অভিযোগ †স †কবল আমার নিজের প্রতি। তুমি আমার অনাগত কালের সাধনা। আমি চাইনা †তামার কষ্ট †হাক। অনাদরে †য ফুলটি †ফাটে আদর স্পর্শ তার জীবনে সীমিত। তবু, †স †কান দিন দুঃখ পায় না।”
“শুভ্র আকাশের বুকেই সুরমার †সŠন্দর্য। আমাকে ফুটিয়ে নাইবা তুললে †তামার মনের রঙকে বিবর্ণ করো না। তবে সুরমা ধূসর †গাধূলিতে মিলে যাবে।”
লাইনটা †কটে দিল। সুদিপ রীতাকে †ভালার †চষ্টা করল। মনে পড়ল, আমি †তামাকে †কান দিন ভুলবো না। আমি যত দূরেই যাই না †কনো, তুমি ডাকলে আবার আমি ফিরে আসব। রীতার এ প্রতিশ্রুতি আজ ম্লান হয়ে †গছে। †সদিনের বন্ধু দিবস আজ †কবলই †ছাট্ট একটা শব্দ ‘স্মৃতি।’
মোবাইলটা †যন আবার †বজে উ?ল।
“খেয়েছো?”
“না।”
“উ?। খাও, খাওয়ার প্রতি একদম অবহেলা করবে না।”
সুদিপের ভাষা নীরব হয়ে †গল।
“উ?ছো?”
“হ্যাঁ উ?তেছি।”
“দশ মিনিটের মাথায় আবার কল করবো। তত সময় কিন্ত খাওয়া †শষ করবে।”

দশ মিনিট পর আবার †ফান এলো।
“খেয়েছো?”
“খাচ্ছি।”
“ধীরে ধীরে খাবে।”
“কিন্তু?”
“কিন্তু কি?”
“তোমায় †দখে আমার ভয় হয়।”
“ভয়কে জয় করো। †তামাকে না বলছি, তুমি অসুর হলেও আমি †তামার বিজয়ের বনপথ হব।”
“একজন কিন্তু বলেছিল, আমি †তামাকে কখনও ভুলবো না। যখনই ডাকবে যত দূরেই থাকি না †কনো †তামার কাছে ছুটে আসবো।”
“তুমি কি প্রতিজ্ঞা করেছিলে?”
“বলেছিলাম, আজ নয়, কলও নয় যখনই তুমি আসো না †কনো আমি †তামাকে ফিরে †দব না। †তামার সব অপরাধ ক্ষমা করবো।”
“তার সাথে আমি পার্থক্য টানছি না। তবে মনে †রখ, †স †তামার †প্রম আমি †তামার পূজারিনী। †প্রমে ছলনা আছে। পূজায়ও থাকতে পারে। তবে তা প্রাণের †দবতার জন্য। তুমি খাও। আমি পরে †ফান দিচ্ছি।”
সুদিপ খাওয়া †শষ করল। বিছানায় একটু এলিয়ে পড়ল। †স এখন কিছুটা সাবলীল। যার সব কিছু ক্ষমা করা যায় না তাকে ভালোবাসা যায় না। ভালোবাসা হলো সব কিছুর উর্ধ্বে তাকে ক্ষমা করে আপন করে †নওয়া। রীতার ভুলের ক্ষমা †নই, ক্ষমা করা যায় না। তবু, তাকে ছাড়া মন একা। এই একা মনের শূন্যতা †কবল তাকে নিয়ে ভাবলেই পূর্ণ হয়।

সুরমা তাকে ভালোবাসে। কিন্তু †স ভালোবাসা রীতাকে †ভালাতে পারছে না। রীতা †যন তার জনম জনমের চিরসাথী। সুদিপ রীতাকে †ফান দিল।
“কেমন আছো?”
“ভালো।”
“সুরমার সাথে কথা হলো?”
“হয়েছে।”
“ওকে তুমি †তামার মত করে গড়ে †তাল। যাতে †তামার মনের পূর্ণতা আসে।”
“হয় না। আ?ালো মাটি দিয়ে গড়তে গড়তে হাত কখন †যন আ?ালো হয়ে †গছে। বালি দিয়ে ?িক সাজাতে পারছি না। মনে হয় আরো কি †যন দরকার। এ দিয়ে পরিপূর্ণ গড়তে পারবো না।”
“তোমাকে আমি ভালোবাসতে পারিনি নয়তো তুমি †বাঝনি আমি †তামাকে ভালোবেসে ছিলাম। মানুষ মনের প্রত্যাশা পূরণ করতে চায়। আমি †তামার মনের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি। আমি এখন আড়ালে দাঁড়িয়ে †তামাকে ডাকতে চাই না সরে †যতে চাই। †তামার হাত ধূয়ে খস খসে করতে চাইনা। ঐ আ?ালো হাত দিয়ে বালিতে আ?ার সৃষ্টি করো। তুমি †য কারিগর তার দক্ষতা প্রকাশ করো। আমাকে †ফান দিলে †তামার আ?ালো হাত বালিতে নব নির্মাণে ব্যর্থ হবে।”

সুদিপ কিছু চিন্তা করতে পারলো না। রীতার সাথে কথা বললে তার চিন্তা থাকে না। কথা †শষ হলে চিন্তা বাড়ে। তবু বলল, “তুমি ভালো †নই?”
“না, যথেষ্ট আছি।”
“আমি আজও চাই না আমার জন্য †তামার কষ্ট †হাক।”
“কিসে কষ্ট আর কিসে সুখ মানুষ তা জানে না। জানে না বলে †স কষ্ট পায়। আমি †তামাকে কষ্ট দিতে চাইনি †কবল আমার সুখ খুঁজেছিলাম। আর †সখানেই †তামার কষ্ট। তুমি কি ভুলে †যতে পারবে †সই নীরহ †ছলেটি কত দিন †তামার সাথে †তামার †বলকোনিতে কাটিয়েছে? ভালোবাসার কথা †স বলতে না পারুক কিছু একটাতো বলেছে। †স বলা একদিন ভালোবাসাও হতে পারতো। আর ভালোবাসা হলে †দখা †যত †স অনেক কথা। কিভাবে এমন একটা সত্যকে তুমি মিথ্যা করতে পারবে?”
“তুমি আমাকে এতো ভালোবাসতে †গলে †কনো?”
“তুমি আমাকে নিয়ে স্বপ্ন †দখতে আমি অনেক বড় হবো। †য আমাকে বড় হতে স্বপ্ন †দখায় †সইতো সত্যিকারে আমার। †তামার জন্য আমি বড় হতে স্বপ্ন †দখেছি।”
“ভুল করেছো। †কউ যদি ভালোবাসা বুঝতে না পারে তাতে ভালোবাসা হয় না। তাকে সর্ব প্রথম বুঝতে দিতে হবে। একাকীর ভালোবাসায় †কবল অস্পূর্ণতা বাড়ে। অস্পূর্ণ ভালোবাসায় সুখ †নই। ভালোবাসায় আগে পূর্ণতা আনো। আকাশ নীল। কিন্তু †স রঙটা কখনও †দখা যায় না। †দখা †গলেও তা খুব কম। কারণ, আকাশ বিবর্ণ। তাকে তুমি †তামার রঙে রঙিন করো। সুরমাকে তুমি বুঝতে দিও, তুমি তাকে ভালোবাস। সে †যন বুঝতে পারে তার ভালোবাসায় †কান খাদ †নই। †কবল বলে বা মনে মনে †রখে ভালোবাসা হয় না তাকে বুঝতে দিতে হয়।”
লাইনটা †কটে †গল। সুদিপ আর †চষ্টা করল না। †ফানটা †রখে দিল।

দুই

পড়বে মনে †সই সকালে
ছিলাম আমি †তামার †কালে
তুমি- মুছতে অশ্রু মুচবে কাজল, কাঁদবে মায়ার ছলে
আমার খন্ড †প্রমের পূর্ণ মিলন †স-
তোমার †চাখের জলে-
সুদিপ †লখার ইতি টানতে চাইল। কিন্তু †স ভাবল, এ †লখায় কি সব †লখা হলো। এ †লখায় কি ভালোবাসা প্রকাশ †পল? রীতা কি †কানো দিন তার জন্য কাঁদবে? তার জন্য এতোটুকু †চাখের জল বিসর্জন †দবে?

সুরমা †ফান দিল।
“তুমি একবার আমার সাথে †দখা করো। আসছে †সামবার আমি তিলছড়া আসছি।”
“সময় যদি না হয়?”
“সময় হবে না †কনো? এতো †তামার স্বপ্নপুরী।”
“স্বপ্ন ভাঙ্গলে স্বপ্নপুরী সম্পূর্ণ থাকে না †স ও †ভেেঙ্গ যায়। আমি †সখানে গিয়ে †দখতে চাই না কতটুকু †ভঙ্গেছে।”
“জীবনটাকে হতাশার দিকে চালিও না। মনে †রখো, †তামাকে নিয়ে আরো †কউ ভাবে। †স ভাবনায় †তামার মন না ভরলেও।”
“তুমি কি আসার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিছো?”
“নিয়েছি। এবং আসবোও।”
“আচ্ছা।”
সুদিপ এখন আর †স গ্রামে আসতে চায় না। †সখানে আসলে তার মনের ভাবনা বদলায়। তার †চাখ নীরবে †হঁটে যায় অন্য †বলকোনির দিকে। †স †দখে অন্য মানুষের স্বপ্ন। প্রত্যাশা করে অন্য রকম। এখানে এলে †স অন্যকে ভাঙ্গতে পরে না নিজেই ভাঙ্গে। অন্যকে গড়তে পারে না তার আপন হাতে। †স †কবল একটা কিছুই চায় †সই না বলা দুটি †চাখ। †য †চাখ একদিন তার †চাখে মলিন হয়ে আছে। সব কিছুর মধ্যই †স †কবল তাকেই আবিষ্কার করে।

মানুষের জীবন †থকে আকাশ হারিয়ে যায় তবু আলো রয়ে যায় তার মনে তার প্রাণে। দিগন্তের †গাধূলির লাল আলো †স আকাশের ছায়া পথ অবিষ্কার করে সকল ভাবনার মূলে। মানুষ দিশেহারা হয় †সই লাল আলোর আভায়। †স আলো জীবনকে †সভাবে রাঙাতে পারে না আবার আগের রঙও ফিরে দিতে পারে না। †স আলো আগুন হয়ে †কবলি জ্বালা ধরায়। হাসি †ফাঁটে মুখে, মৃত্যুকে গ্রহণ করতে চায় জীবনের অসীম আনন্দে।
সুদিপ †কবলি †স আকাশের দিকে তাকায়। আকাশ †দখা যায় না কিন্তু †স আকাশের আলো তার দুচোখ ভিজিয়ে †দয় ভালোবাসার অতুল ঐশ্বর্যে।
সুদিপ ঢাকা †থকে রওনা হলো। কদমতলী †থকে সকাল সাতটার গাড়িতে উ?ল। তিলছড়া †স্টশনে নামল দুইটার সময়। †গŠর †রাডের †মাড়ে এসে একটু দাঁড়াল। এই পথ দিয়ে †স বহুবার চলেছে। পায়ের কত অগণিত দাগ †লগে আছে এ পথের প্রতিটি ধুলিকণায়। পথ চলা ধীর হয়ে এলো। এসে †দখল সুরমা এসে পড়ছে। কাধেঁর ব্যাগটা নামাল। সুরমা জল এনে দিল। সুদিপ সুরমার দিকে তাকাল।
“দেরী হলো †য?”
“ফেরীতে †দরী করছে।”
“খাওয়াতো হয় নাই। এখনই লাগবে, নাকি পরে হলেও চলবে?”
“পরে।”
সুরমা আর কি বলবে বুঝে উ?তে পারছে না। ও †চাখে তাকিয়ে †যন মনের সব কথা হারিয়ে †ফলছে। মন এক অন্য আনন্দে দুলছে। কিছু একটার ভয়ও করছে।
বিকেলে সুরমার সাথে রীতাদের বাড়িতে †গল। নবমী পূজা আজ। পাশের বাড়িতে পূজা চলছে। পূজার ঊলূর ধ্বনি †ভসে আসছে।
রীতা বসতে দিল। মুখে একটু হাসিও আছে।
“কবে এলে?:
“আজ।”
“তুমি তিলছড়া এলে আর আমি জানতে পারলাম না।”
“সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই বদলায়।”
“তুমি কি †খয়েছো? না, †খয়েতো আসতেই পারো না। কারণ, সব কিছুইতো বদলায়।”
সুরমার দিকে খানিক তাকাল। তারপর, “দাঁড়িয়ে †কনো? বসো।”
বসতে বসতে সুরমা প্রশ্ন করল, “কেমন আছেন আপনি?”
“নিশ্চয়ই এক রকম। তবে †তামাদের †চয়ে ভালো না।”
“কেনো? আমরা কি আপনার ভালো থাকার পথে কাঁটা দিয়েছি নাকি?”
“তা কি বলেছি? ভালো থাকা নিজের ব্যাপার। মন কখনও কখনও খারাপ থাকতেও চায়। †সই খারাপ থাকার নাম হলো সান্ত¦না।”
“আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো। অনুমোতি হলে করতে পারি।”
“প্রশ্নের জন্য আমি প্রস্ততি নই। তবু †চষ্টা করতে পারি।”
দিপুকে বলল, “তুমি একটু আসতে পারো।”
দিপু চলে †গল।
“আপনারা এমন হলেন †কনো?”
“সময়ের ব্যাবধানে। সময় জীবনের অনেক কিছুই বদলে †দয়। সময়ের ব্যাবধানে আমরা আমাদের মত হয়ে †গছি।”
“সে আপনাকে আজও অনেক ভালোবাসে।”
“এটা তার ভুল। আমাকে আর ভালোবাসার মত সময় †নই। ভালোবাসা বদলায়। তুমি একটু চেষ্টা করো। নারী পারে না এমন †কনো কাজ †নই। তার চাওয়ায় অনেক জায়গায় অপূর্ণ আছে তুমি †সখানে পূর্ণতা আনো। †দখবে এই দিন বদলে †গছে।”
“আমার মনে হচ্ছে আমি আপনাদের ?কাচ্ছি। একজনকে ?কিয়ে সুখ †খাঁজা যায় না।”
“মানুষ আর যাই †হাক ইচ্ছে করে ?কে না। তুমিও ?কে †যওনা। †তামার উপর আমার বিশ্বাস আছে।”
“তার উপর †থকে বিশ্বাস উ?ে †গল †কনো?”
“তাকে আজও আমি বিশ্বাস করি। সারা জীবন ধরে করবো।”
“তবে ভালোবাসতে বাঁধা †কাথায়? †কনো আপনারা আবার একসাথে মিলতে পারেন না?”
“জীবনের অনেক হিসেব গড়মিল হয়ে †গছে। গড়মিলের ব্যাবধান এতোই †য তা †কান কিছুতেই সমন্বয় করা সম্ভব নয়।”
“ভালোবাসা সব কিছুকে সমান করে দিতে পারে। আপনি †কনো তার অপূর্ণতে পূর্ণতা দিতে পারেন না? †কনো সব কিছু ভুলে যান না?”
“অনেক †ভবেছি কিন্তু পারি না। পিছনের কথায় আর ফিরে †যতে চাই না। তোমাদের জীবন সুন্দর †হাক।”
“অতীতকে মুছে †ফললে ভবিষ্যৎ সুন্দর হয় না।”
“কেবল অতীত নিয়েও চলা যায় না। আমাদের দলিল নষ্ট হয়ে †গছে। †তামরা নতুন করে শুরু করছো তাই ভালো।”
“আমি ওকে ভালোবাসি। তাই ওকে ওর ভালোবাসার কাছে ফিরে দিতে চাই। ও সব কিছু নিয়ে †যমন আপনার সাথে মিশতে পারবে আমার সাথে ?িক †তমনটি পারবে না। †কাথাও একটা ফাঁকা রয়ে যাবে।”
“আমি আজও ওকে অনেক ভালোবাসি। অনেক। তাই মুক্তি দিতে চাই। ভালোবাসা †কবল বন্ধন চায় না, †বঁচে থাকার অধিকার চায়। আমাদের বাঁচার জন্য †কবল মুক্তিই প্রয়োজন।”
“ভালোবাসার আরেক নাম বন্ধন মুক্তি নয়। ভালোবাসার মুক্তি †স †কবল †চাখের জল। যার জন্য †চাখের জল তাকে †কনো মুক্তি দিতে হবে?”
“আমি পারি না। তুমি ওর সব করো। †তামাদের মিলন আকাশে আমি কখনও কালো ছায়া হয়ে থাকবো না। কথা দিলাম।”
সুদিপ কাছে এলো। দুজনই ওর দিকে নীরবে তাকিয়ে আছে। সুরমা বলল, “তোমার †কান কথা আছে?”
“আমি †কান দিনই †গাপনে কিছু বলতে চাই না। আজও †তমন কথা †নই।”
“তবে চলো, আমরা পূজা †দখতে যাই।” রীতাকে বলল, “আপনিও চলেন।”
তিনজনে পূজা †দখতে এলো। বসার মত ভালো জায়গা †নই। দাঁড়িয়েই থাকলো।
পূজার পর †লাকজন কমতে লাগল। ক্রমে ক্রমে জায়গা ফাঁকা হয়ে এলো। তিনজন মুখোমুখী বসল। কারো দিকে কারো †চাখ †নই। মন্দিরের দিকেও।
রীতা বলল, “দুজন কি আবার আজই চলে যাবে?”
সুরমা বলল, “আমি চলে যাবো। তার কথা বলতে পারবো না। হয়তো আজকে থাকবে। কালকে এখান †থকেই ঢাকা চলে যাবে।”
“তুমিও †থকে যাও।”
“পারবো না। বাবা অবশ্যই বাড়ি †যতে বলছে।”
“তাকেও নিয়ে যাও?”
“না থাক। এখন যাওয়া উচিত হবে না।”
“তুমি কি কথা বলবে না? নাকি সে ইচ্ছেও †নই।”
“কথা বলবো না †স ইচ্ছে †নই কিন্তু কি বলবো তাই খুঁজে পাচ্ছি না।”
“সব বলাই কি †শষ?”
“মানুষ কথা বলে প্রয়োজনে।”
“মানুষের প্রয়োজন কখনও †শষ হয় না।”
“তাহলে হয়তো কখনও কখনও মানুষ এমনিই †থমে যায়।”
সুরমা বলল, “তুমি †থমে †গল †কনো?”
“প্রয়োজনে।”
“তুমিইতো বললে প্রয়োজনে মানুষ কথা বলে।”
“কিছু কিছু প্রয়োজনে মানুষ নীরব থাকে। কারণ, †স প্রয়োজনটা তার †মŠন। যখন মানুষ তার প্রাপ্য ধন †পয়েও মনে করে পাইনি তখন কিছু বলার থাকে না। না পাওয়াটা †ভবেই †স নীরব থাকে।”
“আমি কিন্তু অপ্রয়োজনেও বলি।”
“সেটাও একটা প্রয়োজন। আবার †কউ †কউ প্রয়োজনেও বলে না †সটাও একটা প্রয়োজন।”
অনেকক্ষণ আর †কান কথা হলো না। মনে হলো তিনজনই অস্বস্থির মধ্যে বিরাজ করছে। কারো †চাখ কারো দিকে †নই। পূজা ম-প একেবারেই ফাঁকা। সুরমা বলল, “তবে এবার আমরাও উ?ি।”
তিনজন উ?ল। পথের বাঁকে এসে রীতা †থমে †গল। সুরমা তার দিকে ফিরে তাকাল। বলল, “আমি জানি আপনি আমাকে ক্ষমা করতে পারে না কিন্তু আমার †কান অন্যায় †নই। আপনার ধন আমি আপনাকে দিয়েই সুখী হতে †চয়েছিলাম।”
“কিসে সুখ তা আমরা †কউ হয়তো জানিনা। তাই †কবল সুখের চিন্তা করি। তুমি সুখী হও। †তামার সুখের জন্য আমার ভালোবাসা রইল। যদি †কান দিন মনে হয় আমি †তামার সুখের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছি আমাকে বলে †স কাঁটা আমি আমার সুখ †ঢলে তুলে †দব। ভালো †থকো।”
সুদিপ অনেক দূরে চলে †গছে। সুরমা তার দিকে †গল। কাছে গিয়ে বলল, “আমি কিন্তু আর †বশি সময় থাকতে পারবো না।”
“এখনোতো বিকেল হয়ে ও?েনি।”
“চলো হাসপাতালের সামনে একটু বসি তার পর চলে যাবো।”
হাসপাতালের সামনে দুজন বসল।
“তুমি চুপটি †মরে থাকলে †কনো?”
“যেপথ বন্ধ হয়ে †গছে তা পরিষ্কার করে লাভ কি?”
“এ পথে যত ঘাস জন্মাক না †কনো তার নিচে †তামার পায়ের ধুলো আছে। তাই †তামার মনে †স পথে †কান দিনই ঘাস জন্মাবে না। তুমি রাত্রি দিন †কবল †স পথেই বিচরণ করবে। আমিতো †তামাকে †কড়ে †নইনি †য বিপদের সম্ভাবনা †দখা †দবো। মনে †য সত্যিকারে †ঢাকে †স †কানদিন মুছে যায় না। আমি †তামাকে মুছে দিতে বলিনি। বলেছি আমার স্থানে আমাকে রাখলেই চলবে।”
“তোমার পথতো চিরদিনের আঁকা। এ পথ কখনো †ঢকে যাবে না। ভূত †দখলে ভয় হয় কিন্তু ভূত কখনো কাউকে ভয় †দখায় না। তারপরও মানুষ ভূতের ভয় পায়। †তামার স্থান চিরদিনই †তামার থাকবে। যদি না তুমি †ছড়ে দাও।”
“সে সাহস আমার †কানদিনই হবে না। আমি চাইনা †কান কিছুর বিনিময়ে †কান কিছু বদলাতে। বদলে যাওয়ায় †কউ না †কউ কষ্ট পায়।”
“যাক সব কথা তুমিও আজ †থকে যাও।”
“পারবো না। †জার করে আমাকে বিপদে †ফলো না।”
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×