somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চীনের মহাপ্রাচীর, পিছনের ইতিহাস ; স্বপ্নদ্রষ্টার পরিণতি ; রক্তাক্ত সভ্যতা

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চীনের মহাপ্রাচীর। অন্যতম আশ্চর্য যা আমাদের ছেলেমেয়েরা ও আমরা ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি । লম্বায় প্রায় ৩০০০ মাইলেরর উপরে । মহাপ্রাচীর ও এর ইতিহাস নিয়ে আজকের কীবোর্ড সংগ্রাম ।

চীনের এই মহাপ্রাচীরের ধারণা বহুকালের পুরানা ।যখন থেকে সভ্যতার আবর্তন শুরু হয়েছে তলোয়ার ও রক্তের পরিমাপের উপর তখন থেকেই সারা প্রথিবীতে সবাই অনিরাপদ হয়ে গেছি । নিরাপত্তা বা আত্মরক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে এই প্রাচীর নির্মাণের ধারণা হাজার বছরের পুরোনো । যেমন ,নিজের সাম্রাজ্য ও প্রজাদের বহি:বিশ্ব তথা যাযাবর জাতি থেকে বাঁচানোর জন্য খ্রিষ্টপূর্ব ২২০-২০০৬ এ চীনের প্রাচীরের গোড়াপত্তন হয় । কয়েকটি প্রজন্মে ভাগ হয়ে সবশেষে আজকের মহাপ্রাচীর এর মূলভিত্তি রচিত হয় ১৫৬৯-১৫৭৫ এর সময়ে । যখন চীন পৃথিবীর সবথেকে বড় সেনাবাহিনী নিয়ে নিজেদের নিরাপত্তায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় ।
প্রথম খ্রীষ্টপূর্ব ২২০-২০৬ এর সময়ে ছিন সাম্রাজ্যর সম্রাট ছিন শ্রি হুয়াং অল্প কিছু জায়গা জুড়ে চীনের উত্তর দিকে নির্মাণ করেন মহাপ্রাচীর । যা সাধারণত পাথর ও কাদায় তৈরী ছিল । এরপর বাকি ছয়টি চীনা উপসাম্রাজ্য তাদের নিজেদের সীমানা সম্প্রসারণ করে । এরপর অনেক বছর কেটে গেলেও তেমন উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতি সাধিত হয় না এ প্রাচীরের ইতিহাসের ।

চীনের ভৌগলিক সীমানার উত্তর দিকে ও ততকালীন মঙ্গোলিয়ান এর দক্ষিন দিকের সীমান্তে যাযাবর মঙ্গোলিয়ানরা প্রায় ২ হাজার বছর ধরে চীনাদের বসতবাড়িতে হানা দিত , আগুন ধরিয়ে দিত , লুট করত ফসল , খাবার , আর অর্থকড়ি । মূলত মঙ্গোলিয়ানদের বিরান ভুখন্ডতে খাদ্যের অভাব এই সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করে ।

সেপটেম্বর ১৫৫০ , ততকালীন মিং সাম্রাজ্যের রাজধানী বেইজিং । মঙ্গোলিয়ান যাযাবর জাতির নেতা চেঙ্গিস খান এর উত্তরসূরী দারাই সুং গুদেনখান। শান্ত চীনা ভূখন্ডে একদিন হুট করে আক্রমন করে বসে অস্ত্রসজ্জিত ক্ষুধার্ত মঙ্গলিয়ানরা । রাজধানীর ৭০ মাইল দূরের জনপদে চলে গণহত্যা , লুণ্ঠন , আর যুদ্ধবন্দী করার নির্মমতা । এটি ছিল মঙ্গোলিয়ানদের সবথেকে ভয়াবহ আক্রমণ । তখন চীনের সম্রাটকে তারা একজন অন্ধ বন্দীর মাধ্যমে তাদের দাবি পেশ করে যে, মঙ্গোলিয়ানদের সাথে কুটণৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে ও ব্যবসাবাণিজ্য করতে হবে । তাহলে তারাও উন্নয়ন করতে পারবে নিজেদের ভূখন্ড । সম্রাট তার সভাসদ দের বুদ্ধিতে তাদের কাছে কিছুটা সময় চান । কিন্তু তলে তলে চলে নতুন কোন বুদ্ধির খোঁজ ।

প্রায় এক মাস ধংস্বযজ্ঞ চালিয়ে অক্টোবর ১৫, ১৫৫০, মঙ্গোলীয়ানরা ফিরে যায় নিজেদের জায়গায় । বেইজিং এর যুদ্ধমন্ত্রীকে তার ব্যর্থতা ও যুদ্ধ না করে পালানোর অপরাধে শিরশ্ছেদ করা হয় রাজপ্রাসাদে সবার সামনে ।
সেই সময় নতুন মুখ হিসাবে দেখা যায় চৌকস সেনা অফিসারকে । ২৩ বছর বয়সী , ছি চি গুয়াং। সে এই ধংস্বজজ্ঞ দেখে মঙ্গোলীয়ানদের রুখে দাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করে । ২ হাজার বছর ধরে বারে বারে এই মঙ্গোলিয়ান জাতি আত্রমন করে আসছিল চায়নার মূল ভূখন্ডর উত্তর দিকের কয়েক হাজার মাইল এলাকায় , সেই এলাকাতে সে স্থায়ী সমাধানের ধারণা আনে যা সম্রাটের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না ।

তাকে পাঠানো হয় জাপানীজদের আক্রমণ প্রতিহত করতে । নিজের চেষ্টায় তিনি গ্রামের কৃষকদের স্বদেশ বাঁচানোর লড়াই তে সৈনিক হিসাবে দাড় করান । তার নিজস্ব সৈন্যবাহিনী আত্মপ্রকাশ করে । জাপানীজদের সাথে কয়েকটা যুদ্ধে জয়লাভ করে …

এর ১৭ বছর পর, জাপানীজদের সাথে বীরত্বের জন্য ছি চি গুয়াং কে সেনাপ্রধান করা হয় । তার পদ জেনারেল । ঠিক সেই সময় আবার মঙ্গোলিয়ানদের আক্রমণের আশংকা তৈরী হয় । তখনকার সম্রাটকে দ্বিতীয়বার মঙ্গোলিয়ানদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মহাপ্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলা হয় । তার শত্রুদের প্রচুর বিরোধীতা সত্ত্বেও সম্রাট তাকে মহাপ্রাচীর তৈরীর অনুমতি দেন ।

সেনানায়ক তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে যাত্রা শুরু করেন সত্যিকারের মহাপ্রাচীর নির্মানের ।
১৫৬৯ এর দিকে কাজ শুরু করা হয় প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিয়ে এবং প্রাথমিকভাবে মূল অংশের প্রাচীর নির্মানের জন্য ৫ বছর সময় বেধে দেয়া হয় সেনাপ্রধান কে ।ইট পাথর আর পোড়ামাটি দিয়ে শুরু হয় কাজ । একেকটি ইটের ওজন প্রায় ২০ কেজি । মানুষ দিয়ে পাহাড়ের গায়ে উঠিয়ে নিয়ে একটার পর একটা গেথে তৈরী করা হত প্রতিটি দুর্গ এবং দেয়াল । কয়েকশ গজ পর পর একটি করে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এর পরিকল্পনা এবং সব সুদ্ধ কয়েক হাজার টাওয়ার এর নির্মাণ মোটেই সহজ ছিল না । কিন্তু পরিকল্পনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজটাকে গুণগত দিক থেকে নিশ্ছিদ্র করা হয় । ৩০ ফুট উচু । এবং ১০ ফুট প্রশস্ত দেয়াল ।
কিন্তু প্রতিটি দেয়ালের নকশা নিশ্চিত করা হয় যেন তা পাহাড়ের চূড়ার উপর দিয়ে তৈরী হয় । এটা একটা বিশাল সামরিক পরিকল্পনা । ২৫০ জন করে ভাগ করা প্রতিটি দল মিলে প্রথম বছরে তৈরী করে ৭০ টি টাওয়ার যা কিনা পর্যাপ্ত ছিল না । প্রতি ৫ দিনে একটি করে টাওয়ার তৈরীর নির্দশ ছিল প্রতি ২৫০ জনের দলের প্রতি । তারা রাতদিন কাজ করত । রাজ্যের মোট আয়ের ৭৫ ভাগ নি:শেষ হচ্ছিল এই মহাপ্রাচীর প্রকল্পতে। কিন্তু বাধ সাধল কঠোর পরিশ্রমের কারণে ছড়িয়ে পড়া অপুষ্টি , চর্মরোগ, মানসিক অবসাদ সহ আরও কিছু রোগ । সৈনিকরা বছর ধরে পরিবার এর সাথে দেখা না করে যে কঠিন প্রকল্প শেষ করতে কাজ করছিল সেখানে বিনোদন বলতে ছিল না কিছুই । কঠিন পরিশ্রম শুধু । মরে যাওয়া সৈনিককে সহোদরের মতই ভেবে নিয়ে শেষকৃত্য শেষ করত বাকি সেন্যরা । পাতায় বোনা চাটাইয়ে তাদের মৃতদেহ সমাধিস্থ হত আজকের মহাপ্রাচীরের আশেপাশেই । গুয়াংচিয়াও , মহাপ্রাচীর নির্মাণের মহান সৈনিক তার আর সব সহযোদ্ধাদের মতই আজ ভুলে যাওয়া নায়ক । অথচ সে ই যোদ্ধাদের মধ্যে একনিষ্ঠতা, সহদরবৃত্তিকতা , এবং শৃংখলা বজায় রেখে মহাপ্রাচীরসফল করতে সচেষ্ট ছিল ।
জেনারেল ছি চিগুয়াং যখন দেখলেন তার সৈন্যরা বিদ্রোহ করে উঠতে পারে < তখন তিনি ঘোষণা দিলেন তাদেরপরিবার চাইলে তাদের সাথে যোগ দিতেপারে যা ছিল একই সাথে কাজ এগিয়ে নেয়া ও সেনাদের মনোবল চাঙ্গা রাখার উপায় ।

অনেক কঠিন পরিশ্রমের পর ১৫৭৫ সালের প্রথম দিকে প্রাচীরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয় । কিছুটা দেরিতে ।
১৫৭৫ সালের মার্চ মাসের কোন একদিন এই প্রাচীর এর কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ হল । যাযাবর মঙ্গলিয়ানরা আবার আক্রমণ করে বসল প্রাচীর দ্বারা ঘেরা উত্তর প্রান্তে । কিন্তু এবার তারা সফল হল না । প্রাচীরের পিছনের সামরিক পরিকল্পনা কাজে দিল এবং যাযাবর রা পালিয়ে গেল ।

মহাপ্রাচীরের কার্যপ্রণালী :

এটি একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা কাজ করবে তিন স্তরে । প্রথম স্তরে থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার । তার পিছনে সিগনাল টাওয়ারস । শত্রু আসার খবর সিগনাল টাওয়ারে পৌছানো হবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে । সতর্ক হবে কামান ও গোলা সহ সিগনাল টাওয়ারের পিছনের প্রাচীরের দুর্গগুলো । প্রতিরোধ গড়ে তুলে ছত্রভঙ্গ করা হবে শত্রুদের । পিছনের ব্যাকআপ সৈন্যরা এসে তাদের শেষ সর্বনাশ করবে ।

স্বপ্নদ্রষ্টা জেনারেলের করুণ পরিণতি :

জেনারেল ছিচি গুয়াং এবং দেশের অর্থমন্ত্রীর পুরানো শত্রুরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেন যখন মহাপ্রাচীরের বাকি সামান্য কাজ শেষ করতে পুনরায় অর্থ চাওয়া হয় । শত্রুরা নতুন সম্রাটকে বোঝাতে সমর্থ হয় যে আপাতত এই প্রাচীরের সম্প্রসারণের দরকার নেই । সম্রাটও তাই মনে করলেন । বন্ধ হয়ে গেলে প্রাচীরের সম্প্রসারণ ও শেষ আচড় দেয়া । অর্থমন্ত্রী মারা গেলে জেনারেল ছি চি গুয়াং হারালেন রাজ্যসভায় তার ঢোকার পথ ও আস্থার জায়গা। ক্রমশ জেনারেল কে সরাতে ষড়যন্ত্র শুরু হল বেইজিং এ । তাদের কুমন্ত্রে অকর্মণ্য চীনা সম্রাট জেনারেল এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি , অর্থ আত্মসাত ও সম্রাটকে খুন করে সিংসাসন দখলের মিথা অভিযোগ আনল । তাকে বরখাস্ত করা হল । তার বিচার করা হল । বছরখানেকের মধ্যে খুন হলেন তিনি । মহাপ্রাচীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়কালের সৈনিক নেতা হারিয়ে গেলেন । সেই অবস্থার পর কিছুটা সংস্কারের চেষ্টা হয়েছিল অবশ্য । তবে এখনকার যে মহাপ্রাচীরকে মানুষ পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য বলে তার মহান স্রষ্টার জীবনাবসন হয় এভাবেই ।

আমরা এখন যে মহাপ্রাচীর দেখি তা এতটাই বিশালাকার যে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে এর অস্তিত্ব দেখা যায় ।আরও কিছু তথ্য চান? যা আপনাকে অবাক করবে ?

• ৩ হাজার মাইলের ও বেশি লম্বা
• পশ্চিম দিকের প্রান্তে সূর্য উঠে পূর্বদিকের প্রান্তের ১৯ মিনিট পর ।
• ইট ও পাথরের ব্যবহার ।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২০
১১টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×