somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপির জেষ্ঠ্য(বুড়া) নেতাদের কার্যকলাপ

২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিএনপির সর্বশেষ বেহাল চিত্র ফুটে উঠেছে শনিবারের স্থায়ী কমিটির রাতের বৈঠকে। সেখানে চেয়ারপারসনের উপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ নেতারা তর্কে জড়িয়েছেন। একে অন্যকে সরকারের হয়ে কাজ করছেন বলতেও ছাড়েননি।বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক চলাকালে হঠাৎ করেই র‌্যাব উপস্থিত হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থায়ী কমিটির নেতারা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আজই দলীয় চেয়ারপারসনকে ‘গ্রেপ্তার’ করা হবে।আর এই পরিস্থিতির জন্য খালেদা জিয়ার সামনেই জ্যেষ্ঠ নেতারা একে অন্যকে দোষারোপ করতে থাকেন। কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে সরকারের সঙ্গে ‘অমুক অমুক’ নেতা লিয়াঁজো করছেন বলে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দেন। শুরু হয় বাক-বিতণ্ডা।পরে স্বয়ং খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তিনি রীতিমত নেতাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিতে বাধ্য হন। যার ফল স্বরূপ কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই বৈঠক।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়ে সরকারকে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম নিয়েই মূলত বিপাকে পড়েছে বিএনপি। বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সরকার দাবি তো মানেই নি, উল্টো হুমকি দিয়ে রেখেছে। ভেস্তে গেছে সংলাপের আশাও। কিন্তু এর জবাবে বিএনপি কোনো আন্দোলন দাঁড় করাতে পারেনি। বরং আরো চুপসে গেছে।এমনিতে দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূলে র্তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। এর সঙ্গে যোগ হলো বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের দ্বন্দ্ব আর পরস্পরের প্রতি সন্দেহ-অবিশ্বাস।

শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দুজন জেষ্ঠ্য নেতা দলের চেয়ারপারসনের সামনেই ‘বাকযুদ্ধে’ লিপ্ত হন। আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা একের পর এক ফাঁস হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়।এক পর্যায়ে তিনি ব্যারিস্টার মওদুদকে ইঙ্গিত করে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘ম্যাডাম দলের শীর্ষ মহলে সরকারের ‘গুপ্তচর’ ঢুকে পড়েছে। তাই কোনো কিছুই গোপন থাকছে না। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেই, তা ফাঁস হয়ে যায়।’

কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে যে এ ধরনের দূরত্ব আছে, তা এই ঘটনাকেই প্রথম বলা যাবে না। এই ক’দিন আগেও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দলের মধ্যে অভিযোগ ওঠে, তিনি কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাশে গোয়েন্দাগিরি করান, যাতে কে কে তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তা জানা যায়।তবে সর্বশেষ রবিবার সরকার সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটি আপাতত দিনের বেলায় একমাস হলেও রাতের জন্য অনির্দিষ্ট। ফলে বিএনপি চাইলেও এখন সভা-সমাবেশ কিংবা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে খুব সহজে সফল করতে পারবে না।

আর এর প্রভাব দলের নেতাকর্মীদের ওপর পড়বে। নিস্ক্রিয় নেতাকর্মীরা আরো নিস্ক্রিয় হবে পড়বে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আপাতদৃষ্টিতে এই অবস্থার উত্তরণও নেই।কারণ জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে মাঠে সক্রিয়রা জেলে অথবা জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য বাইরে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুব সহসা আসছেন না।

তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান: উল্টো খুব শিগগিরই মির্জা ফখরুলের পথ ধরে বাইরে যাচ্ছেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান।

ড. আরএ গনি, বেগম সারোয়ারি রহমান, এম. শামসুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার :স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ড. আরএ গনি, বেগম সারোয়ারি রহমান, এম. শামসুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বয়োজ্যেষ্ঠ এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ।

তারেক রহমান:তারেক রহমান শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে।

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী: সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারাগারে।

এমকে আনোয়ার:এমকে আনোয়ার গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে রয়েছেন।

এর পরের সারির বেশিরভাগ নেতাও কারাগারে। ফলে বিএনপিকে এখন এক হাতে চালাতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকেও দেখভাল তাকেই করতে হচ্ছে। একদিকে সরকারের রোষানল, হামলা-মামলা অন্যদিকে দলীয় কোন্দল-বিরোধ। সবকিছু কাটিয়ে বিএনপি আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কতদূর যেতে পারে সেটিই দেখার বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×