somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখানুরণ

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


'তুই আবার ফোন দিয়েছিস কেন?!প্রবলেম কি তোর?!'
'প্লিজ,রাগটা একটু কমা,বুঝতে চেষ্টা কর...!'
'তোর বুঝার আমি গুষ্টিকিলাই,তুই ফোন রাখ,জ্বালায় মারল আমাকে!!'
'দেখ নদী,দোকান পাট সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে!আমি একলা একলা রাস্তায় কিভাবে দাঁড়ায় থাকি বল?!তোর কি আমার জন্য একটুও মায়া লাগে না?!!'
'তুই আমার মায়া নিয়ে কোন কথাই বলবি না,তুই বাইরেই থাকবি আজকে!'
'আর কতক্ষন??১২টা তো বেজেই যাচ্ছে!'
'১২টা??তুই আজকে সারা রাত বাইরে দাঁড়ায় থাকবি!'
'কি কয় এই মাইয়া?!!!একটু আগে না বললি,১২টা পর্যন্ত?এখন সারা রাত!আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ কর,প্লিজ...!তুই না কতো ভালো,কতো বুঝিস,প্লিজ,আজকের মতো মাফ করে দে,অন্তত বাসায় ঢুকতে দে,প্লিজ!'
'এখন কেমন লাগে?সারাদিনে একবারো মনে হয়নাই?!চান্দু...তুই আজকে সারা রাত থাক বাইরে,মশার কামড় খা!হুহ!'
মোবাইলটার দিকে কতক্ষন ড্যাব ড্যাব করে অসহায়ের মতো তাকিয়ে রইল তন্ময়!বেচারা পারলে কেঁদেই ফেলে যেনো!! নিজের মনেই বলতে লাগল,'হায়রে কপাল!এর নাম নাকি সংসার করা!আগে জানলে পাগলা গারদে যেতে রাজি হতাম,তাও বিয়ে করতে না...!''

নদী একটু পর পর একবার রুমের জানালা দিয়ে,আরেকবার বারান্দা দিয়ে বাইরে কোথায় তন্ময় দাঁড়িয়ে আছে তা দেখার চেষ্টা করছে,খুব সাবধানে,যেনো তন্ময় দেখে না ফেলে!কিন্তু এখন পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছে না। নাহ,কোথায় যেয়ে যে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটা কে জানে!! ঘড়ির দিকে তাকালো,রাত ১১.১০ বাজে। কিছুক্ষন ভেবে ঠিক করলো,১১.৩০টার দিকে আসতে বলবে,থাকুক আরো কিছুক্ষন বাইরে। রুম থেকে বের হয়ে ডায়নিং ক্রস করতেই খাবার গুলোর দিকে তাকিয়ে আবারো থমকালো!কতো কষ্ট করে এতো কিছু রান্না করেছে,ঐদিকে জনাব তো মনে হয় না খাওয়া আছেন,আবার মনে হলো,আরে নাহ,কিসের না খাওয়া,অফিসে কলিগরা মিলে ঠিকই খেয়ে নিয়েছে,এদের কি আর সেই চিন্তা আছে,এরকম একটা দিনে যে বাসায় বউটা না খেয়ে বসে থাকবে! সাড়ে এগারটা না,একদম বারোটাই ঢুকতে দিবো!
বেড রুমে এসে শাড়ি চেঞ্জ করে ফেলল,কিসের আর সাজ- স্পেশালিটি,সব বাদ! শাড়িটা গুছিয়ে কাবার্ডে রাখতে যেয়ে বিয়ের এলবামটার দিকে নজর পড়ল। দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন এলবামটা উল্টে-পাল্টে দেখল,হাসল আপন মনে! জীবনটা কতো অদ্ভুদ!! বিয়ের একটামাস আগেও তো ভাবেনি,তন্ময়ই হবে ওর সারাজীবনের সাথী! অথচ...

তন্ময় আর নদী আপন চাচাতো ভাই-বোন,বছর দুই কি আড়াইয়ের ছোট বড় হবে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ওরা একই স্কুলে পড়তো,একই বাসায় থাকতো। দু'জন দু'জনকে একদমই সহ্য করতে পারতো না,নদীর মনে হতো,ওর মা তন্ময়কে বেশি আদর করে,তাই কিছু হলেই বলবে,'দেখ,তন্ময় কি সুন্দর পড়ছে,ও ক্লাসে ফার্স্ট হয়েছে,এই করেছে সেই করেছে,আর তুই কি করলি?' অন্যদিকে তন্ময়ের মা ও কিছু হলেই বলবে,'আমার তিন ছেলে না হয়ে নদীর মত একটা মেয়ে হলেই চলতো,কত ভালো একটা মেয়ে,এই সেই...!' যেই বার তন্ময় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেলো,তন্ময় এমন একটা ভাব দেখালো,যেনো সে কি হয়েগেছে!তা দেখে নদীও আদা-জল খেয়ে লেগে গিয়েছিলো পড়তে,ফলাফল পরের বার সেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেল। নদীর আব্বু রাজশাহী বদলী হয়ে ওদের নিয়ে চলে যাবার পরেও প্রতি বছরই কোন না কোন কারনে ঢাকায় আসতে হতো,সবাই একসাথে হলেও নদী কখনো তন্ময়ের সাথে খুব একটা কথা বলতো না,দু'জন দু'জনকে দেখলেই বই নিয়ে বসে থাকতো,ভাবখান এমন,কে কার থেকে বেশি পড়ুয়া সেটা না বুঝাতে পারলে ইজ্জতই থাকলো না! আত্নীয়-স্বজনদের মধ্যে সব কাজিনদের থেকে বেশি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলতো তন্ময় আর নদীর মধ্যে। কিন্তু চির প্রতিদ্বন্দি দু'জনেই যে চিরদিনের জন্য একসাথে হবে সেটা কে জানতো...!

বছর চারেক আগে প্রায় অনেক দিন পর ফুফাতো ভাইয়ের বিয়েতে দেখা হয়ে যায় নদী আর তন্ময়ের। তন্ময় আগের মতোই ভাব নিয়ে ছিলো,শত হলেও সে এখন পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার,আর নদী তো এখনো গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারেনি!নদীও এমন একটা ভাব দেখাচ্ছিলো,যেনো ইঞ্জিনিয়ার কোন প্রফেশনই না!!আগের মতোই তন্ময়কে 'তান্নু' আর 'তুই' করেই বলছিলো,তন্ময় মনে মনে ভাবলো,''আদব-কায়দা কিচ্ছু শিখে নাই,দুই বছরের বেশি বড় কাউকে তুই করে বলে!ঢঙ্গি একটা!!''কিন্তু বিয়ের দিন যখন তন্ময়দের সামনে থেকেই বলতে গেলে,মেয়ে পক্ষ মাহফুজ ভাইয়ের জুতা নিয়ে যায়,আর সেটা দেখেই নদী সাথে সাথে ঝাড়ি দেয়া শুরু করে তন্ময়কে,
-তুই যে একটা আকাইম্মা,এটা দুনিয়ার মানুষকে না জানাইলে হতো না?হা করে তাকায় আছে,আর ওরা জুতাটা নিয়ে গেলো!সে একটুও আটকাতে পারল না!
তন্ময় সাথে সাথে চেঁচিয়ে উঠলো,
-ঐ,আমার একার দোষ না?নিজে কি করছিলি শুনি?
-আর যাই করছিলাম,তোর মতো,যাবর কাটছিলাম না!!মটকু কোথাকার!
এটা বলা মাত্রই তন্ময় চুপশে গেলো!এই একটা জায়গায় সে নদীকে কোনভাবেই টপকাতে পারবে না!অথচ ছোট বেলায় সে নিজেই,নদীকে 'খাই খাই বুড়ি' বলে কতো ক্ষেপাতো,আর আজ...? তন্ময় আর বেশি কিছু বললো না!শুধু মনে মনে প্রমিজ করলো,এক মাসের মধ্যে যেভাবেই হোক,ওজন কমিয়ে ছাড়বো!মরি আর বাঁচি!

চাকরীতে জয়েন করার পরদিন থেকেই বলা যায়,মা-খালা,ফুপি মিলে তন্ময়ের জন্য মেয়ে খুঁজা শুরু করেছিলো,কিন্তু এক বছর চেষ্টা করার পরেও কোন ভাবেই ,মিলছিলো না,ঠিক তখনই নদীর বাবাও ডিক্লার দিলো,নদীকে বিয়ে দিবেন,তার জন্য ছেলে খোঁজা শুরু হয়েছে,তখন আরেকবার সবার মনে হলো,তন্ময় আর নদীর মধ্যে আবারো কম্পিটিশন শুরু হয়েছে...! যেভাবেই হোক,তন্ময়কে তাই নদীর চেয়েও সুন্দরী,যোগ্য মেয়েকে ওর বউ বানাতে হবে!! অন্যদিকে নদীও আকারে ইঙ্গিতে খোঁচা দিতো,সে কোন মটকু-ইঞ্জিনিয়ার বিয়ে করবে না মরে গেলেও!
কিন্তু আল্লাহ যা চান,তা বদলাবার সাধ্য কার আছে?...!! তন্ময় কেন জানি,যতো মেয়েই দেখতো সবাইকে নদীর সাথেই কম্পেয়ার করতো,আর সব শেষে নদীকেই ওর কাছে বেস্ট মনে হতো!মাঝে মাঝে যখন মেয়ে দেখতে গেলে,উদ্ভট প্রশ্নের সম্মুখীন হতো,তখন কেন জানি মনে হতো,নদী ঝাড়ি দিক আর রাগ দেখাক,অন্তত এমন গাধী টাইপ মেয়ে না!বুদ্ধি আর গুনের দিক থেকে যথেষ্ট ভালো।
একদিন ফুপি সন্ধ্যার পর ওর রুমে এসে বললেন,
-এই তুই সত্যি করে বলতো?তোর কি কোন পছন্দের মেয়ে আছে?
তন্ময় আকাশ থেকে পড়লো যেনো!
-আমার পছন্দের মেয়ে থাকলে এতোদিন বিয়ে না করে বসে আছি কেন?!!
-শোন,আমারে বোকা বানাবি না,তোর জন্য গত ২বছর ধরে মেয়ে খুঁজছি আমরা,চাহিদা আমাদের বেশি না কিন্তু তাও মেয়ে পাচ্ছি না,আমার মনে হয় তোর পছন্দের কোন মেয়ে আছে,তুই মনে মনে আল্লাহর কাছে তাকেই চাচ্ছিস,আর এজন্যই আমরা মেয়ে খুঁজে পাচ্ছি না!সত্যি করে বল,কে ঐ মেয়ে?!
-হায় হায়,ফুপি,আপনার মনে হয় মাথা খারাপ হয়ে গেছে!আমার তেমন পছন্দের কোন মেয়ে নাই!
-তাহলে আমার মেয়েকে বিয়ে কর,ওকে কি তোর পছন্দ?
-কি???!!!ফুপি,আপনার মেয়ে পড়ে ক্লাস নাইনে,আমি ওকে কেন পছন্দ করবো,ওর থেকে নদীকে আমার বেশি পছন্দ,নদী কে বিয়ে করতে পারি,তাও...!!!
বলতে বলতে জিবে কামড় দিয়ে বসে পড়ল তন্ময়!!হায়রে,কি বলতে মুখ ফসকে কি বলে ফেলেছে!! ফুপি কিছুক্ষন ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে হাসতে লাগলেন,
-দেখছো,এই ছেলে তলে তলে নদীকে পছন্দ করে,আর বলে কেউ নাই...!ফাজিলের ফাজিল!
তন্ময় ফুপিকে যতোই কিছু বলতে চেষ্টা করলো,কিন্তু ফুপি আর কিছুই শুনলেন না। তারপর সবকিছু বেশ দ্রুতই হয়েগেছে বলা যায়,ফুপি সবাইকে ম্যানেজ করলেন,নদীকেও তিনিই রাজি করালেন। নদী আর তন্ময়ের বাবা দুই ভাই ই একসাথে বলেছিলো,''এই দুই জনকে যে বিয়ে দিবো,এরা কি সংসার করতে পারবে?নাকি দুইদিন পর পর সালিশে বসতে হবে!!''আর যেদিন বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়ে,সেদিন নদী ওর সাথে কথা বলতে চাইল একবার। তন্ময় খুব ভয়ে ভয়ে নদীর সামনে যেয়ে দাড়িয়েছিলো, নদী খুব উদাস একটা ভাব নিয়ে বলল,
-তান্নু,তোকে বিয়ে করার কয়েকটা এডভান্টেজ বলতো?
তন্ময় একটু ভেবে বলল,
-অনেক এডভান্টেজ!!
নদী ভ্রু বাঁকিয়ে বলল,
-কয়েকটা বলতো শুনি?!
-শুন,প্রথম সুবিধা হলো,নতুন কোন সম্পর্কে তেমন জড়াতে হবে না!মানে,তোকে আমাকে নতুন করে কারো সাথে পরিচিত হতে হবে না!অনেক মিল আমাদের মধ্যে,এই যেমন,তোর দাদার বাড়ি আর আমার দাদার বাড়ি একই জায়গায় হবে,যে তোর ফুপি সে আমারো ফুপি,যে আমার মেঝ চাচা সে তোরও মেঝ চাচা,তোর শ্বশুড় বাড়ি আর আমার শ্বশুড় বাড়ি একই জায়গা তারপর...
নদী অনেক কষ্টে হাসি চাপতে চাপতে বলল,
-থাম থামরে মটকু!আমার আর এডভান্টেজ শুনতে হবে না,যাহ,আমি রাজি তোর যন্ত্রনা সারা জীবন সহ্য করতে!হাহাহা!
তন্ময় সেদিন প্রথম নদীর দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলো,নদীর হাসিটা যে এতো সুন্দর আগে জানলে তো কবেই প্রেমে পড়ে যেতো!!

নদী বিরক্ত মুখে মোবাইলটা কানে ধরে বলল,
-তোর কি আধাটা ঘন্টা তর সয় না?আমি যে গত দুইটা বছর তোর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছি,কই আমি কি এমন বার বার ফোন দিয়ে জ্বালিয়েছি??বদের হাড্ডি একটা!
-বউরে,ক্ষিধায় মরে যাচ্ছি,আর জীবনেও আমি ম্যারিজ এনিভার্সেরির দিন ভুলবো না,প্রমিজ!আজকের মতোন মাফ করে দে প্লিজ...
নদী ফিক করে হাসতে নিয়েও হাসল না,
-হইছে হইছে,পারিস তো খালি খেতেই,ওকে আয়,আমি দরজা খুলছি।
''ওহহ,আলহামদুলিল্লাহ'' বলে তন্ময় ফোন কাটল। নদীর মনে হলো,তন্ময় আসলে দরজার কাছেই সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ছিলো,না হলে এতো দ্রুত সে চারতলা বেয়ে উঠলো কিভাবে! দরজা খুলতেই নদী হতভম্ব হয়ে গেলো!!!! বিশাল একটা পিংক অর্কিড ফুলের তোড়া সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তন্ময়,তার তান্নু!!!
-তুমি এতো রাতে এখানে অর্কিড পেলে কিভাবে?তাও এতো গুলো...!!
তন্ময় হাসতে হাসতে বলল,
-পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরি বউ! এখানে কি দেখো তো?
বলে একটা গিফট বক্স বাড়িয়ে দিলো নদীর দিকে,বক্সটা খুলে নদী এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল বক্সের দিকে। বক্স ভর্তি গোলাপের পাপড়ি আর তার মধ্যে ছোট ছোট রঙ বেরঙের কাগজের টুকরো,তাতে লেখা,'ভালোবাসি'...
নদীর মনে হচ্ছে,ওর এখন খুশীতে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলবে! টলমল চোখে একবার তাকালো তন্ময়ের দিকে,
-আই এম সরি তান্নু...
তন্ময় ধীরে ধীরে নদীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসল,নদীর হাত দুটো নিজের হাতে নিয়ে বলল,
-আই এম সরি টু... আমি একদমই ভুলে গিয়েছিলাম!আর এমন হবে না।
নদী হেসে বলল,
-যাও,হাত মুখ ধুয়ে এসো আমি খাবার গরম করছি,আমাদের এনিভার্সেরির দিনটা শেষ হতে এখনো ১০মিনিট বাকী আছে,বুঝলে?
তন্ময় বলল,
-কিন্তু আরেকটা গিফট যে তোমাকে দেবার আছে!
-কি গিফট?!!
তন্ময় মুচকি হেসে কিছু না বলে,আরেকটা গিফট বক্স বাড়িয়ে দিলো নদীর দিকে। নদী বক্সটা খুলে দেখলো,অসম্ভব সুন্দর লাল রঙ এর এক জোড়া ছোট্ট জুতো... নদী হাসি মুখে তাকালো তন্ময়ের দিকে,কিছু বলল না। আর মাত্র পাঁচ মাস... তারপরেই আসবে ওদের দু'জনের ভালোবাসার সারথী,ওদের প্রথম সন্তান। তন্ময় হঠাত বলল,
-আমি তো কিছু দিলাম,এবার আমি কি কিছু চাইতে পারি?
-হুম,পারো। বলো?কি চাও...?
-দিবে তো?
নদী হেসে বলল,
-দিবো বলো।
-আমাদের বাবুটার নাম আমি রাখবো।
বলে মিটমিট করে হাসতে লাগল,কথাটা শুনে সাথে সাথে নদীর চোখ বড় বড় হয়ে গেলো,
-কী?? তান্নু... তুমি এটা কি চাইলা?! এটা হবে না।
-আমি রাখলে সমস্যা কি?টিংকু-পিংকু নামটা কি খারাপ বলো?আচ্ছা,না হলে টুনটুন রাখবো কত্ত সুন্দর নাম!
-এই গুলো কোন নাম হইলো,তান্নু,এইসব ফালতু নাম আমি জীবনেও রাখতে দিবো না!একটা সুন্দর নামও চয়েস করতে পারেনা,মটকু কোথাকার!
বলতে বলতে নদী পাশ থেকে বেড কুশন ছুড়ে মারল তন্ময়ের দিকে,তন্ময় হাসতে হাসতে ক্যাচ ধরল!ওর হাসি দেখে নদীর রাগ আরো বেড়ে গেলো,ও উঠে হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে কিচেনে চলে গেলো। আর তন্ময়ও হাসতে হাসতে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।

[উৎসর্গঃ কলেজ ফ্রেন্ড তানিয়া আর মাহীকে। এই দু'জনকে বিয়ের পর এখনো কোন গিফট আমি দেইনি,ভয়ে আছি,যেই ঝগড়া-ভাংচুর করে এরা,শেষে না আমার গিফট খানাই ভেঙ্গে ফেলে!!ওদের বাচ্চা-কাচ্চা হওয়ার পর দিবো ভাবছি! হিহিহি ]

২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×