somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রুমমা
আমি রুমমা ।ভালোবাসি ছবি আকতে,সৃষ্টিশীল কাজ করতে।অন্যের দোয ধরার চেয়ে নিজের দোষ খুজতে বেশী পছন্দ করি।কাজের মধ্যে থাকতে ভালোবাসি,চাই সবাই সবসময় কাজ করুক।ইচ্ছে আছে গরীব মানুষদের জন্য কিছু করার।

মালয়শিয়ায় কয়েকদিন ৩

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৩য় দিন আমরা গেলাম মিনারা টাওয়ার দেখতে।যেটাকে বলা হয় কেএল টাওয়ার।আমাদের হোটেলের একদম কাছেই ছিলো।আমার হেটেই রওনা দিলাম।ওখানে হাটতেও মজা লাগে।গাড়িগুলো কত ধিরে চলে।আর ওদের রাস্তা গুলোও বেশ আপন আপন লাগছিলো।আমি মনে মনে ভাবছিলাম কেন ?পরে বুজলাম আমাদএর দেশের ফুটপাতগুলো একটু উচু রাস্ত থেকে।ওদের রাস্তা আর ফুটপাত সমান। হাটতে হাটতে টাওয়ারের কাছাকাছি আসলে একটা মাইক্রো আসলো ।বললো আমরা কোথায় যাব?বললাম;আমাদের গাড়িতে উঠে পরতে বললো।ওটা ছিলো ফ্রি সার্ভিস।কেএল টাওয়ারে যেতে ইচ্ছুক পর্যটককে ওরা এই গাড়ীতে করে টাওয়ারের কাছে নিয়ে যায়।টাওয়ার টা একটা উচু জায়গায়।আবার বাংলাদেশের কথা ভাবছিলাম ,বাংলাদেশ কি কখোনো এরকম কোনো সার্ভিস দিবেনা?বাংলাদেশে কোনো সেবামুলক কোনো সুবিধাতো দেয়া হয়ই না বরং আরো কি কি সমস্যা করা যায় মনে হয় সেটা ভাবা হয়।একবার আমি আমার এক আত্বিয়র সাথে গনস্বাস্হ্য হাসপাতালে খোজ নিতে গিয়েছিলাম । গিয়ে কাউন্টারে জিগ্গেস করলাম আপানাদের হাসপাতালে কি কি সুবিধা দেয়া হয়?উত্তরে লোকটা খুবই বিরক্তির সাথে আমাকে বলল সেখানে নাকি সবই অসুবিধা কোনো সুবিধা দেয়া হয়না।এরকম উত্তর শুনলেই মেজাজ গরম হয়ে যায়।যাই হোক মুল কথায় আসি।
সেখানে পৌছে গাড়ি থেকে নেমে টিকেট কাটতে হলো।৪৫ রিংগিত ছিলো মনে হয় টিকিটে দাম।ঠিক মনেও পরছেনা।মানে বংলাদেশি টাকায় ১১২৫ টাকা। লিফটে উঠার সময় এক ফটোগ্রাফার বললো দাড়ান ছবি তুলব।আমাদের ছবি তুললো।এখানে সব জায়গাতেই এরকম।কোনো জায়গায় গেলেই ছবি তুলে পরে আসার সময় সেই ছবি সুন্দর কোনো শোপিসে ঢুকিয়ে কিনতে বলে। দাম থাকে ১০/৩০/৪০ রিংিত।যার ইচ্ছে হয় স্মৃতি হিসেবে কিনে নেয়।ছবিতএ আমার চেহারা সবসময় এত জঘন্য লাগে!! মানে হটাৎে বিটাৎে আমার চেহারা ছবিতে ভালো আসে।১০০ টা ছবি তুললে ২টা ভালো আসতে পারে।।০০০১% সম্ভাবনা ছবি ভালো আসার। যাই হোক উঠে পড়লাম লিফটে।এমন দ্রুত লিফট উঠলো কানে প্রচন্ড প্রেশার ফিল করলাম।এক মিনিটেরও কম সময়ে ২৭৬ মিটার উঠে যায়।
টায়ারের উপর থেকে দারুন ভিউ দেখা যায়।
কে এল টাওয়ার থেকে নেমে আমাদের কে ফ্রি একটা চিরিয়াখানা দেখতে দিলো।সেখানে প্রবেশ পথেই ২টা কাকাতুয়া বসে আছে স্বাগতম জানানোর জন্য।ভেতরে ছোটো ছোটো খাচায় সাপ,মাকড়সা,বিভিন্ন প্রানী।অজগর সাপ নিয়ে আবার ছবি তোলারও ব্যবস্থা আছে। ষেখানে এক বাংলাদেশী কর্মী ছিলো।ওর কাজ হলো ৩টা পাখি নিয়ে বসে আছে যারা চায় তাদের সাথে ছবি তুলিয়ে দেয় ,সেটার জন্যও টাকা খরচ করতে হয়।আমরা ছবি তুললাম আরেকটু ঘুরাঘুরি করে আবার ঐ মাইক্রোতে করে চলে আসলাম।

পরেরদিন গেলাম লানকাউই তে।শুনেছিলাম অনেকদুরে নাকি লানকাউই কুয়ালালামপুর থেকে।বাসে তারপার ফেরীতে করে যেতে হয়।আবার আবার লং জার্নি ভালোই লাগেনা।তাই ভয় পাচ্ছিলাম মনে মনে। ।বাসে করে রওনা দিলাম।বাস কাউন্টার টাও কি সু্ণদর।বাসটাও খুব বড়।সিটগুলো প্লেনের চেয়েও বড় অনেক।গা্যে চাদর পেচিয়ে লম্বা করে শুয়ে পড়লাম।আমার আবার এই বদভ্যাস আছে।গারীতে আমি সোজা হয়ে বসে থাকতেই পারিনা।আমার এই হেলান দেয়ার অভ্যাসের কারনে আগে আপা আমাকে লাউ গাছ ডাকত।লাউগাছ যেমন একটা লাঠি ছাড়া উঠতে পারেনা আমিও নাকি তেমন!!!
তারপর কখন যে ৬ না ৭ ঘন্টা পার হলো টেরও পেলাম না।ভোরে ঘুম ভাংলো।৫টায় সম্ভবত।উঠে বাস থেকে নামলাম।নেমে একটা শুনশান বাস কাউন্টার ।অনেকটা আমদের মফস্বল শহরের মতো।২ /১ জন যাত্রি ছাড়া আর কেউ নেই। আমার ওয়েট করতে লাগলাম। সকাল হলো ৭টার ফেরির টিকেট কাটলাম।ওখানে ফেরি আসার আগ পর্য্নত গেইট খোলা হয়না।কেউ পানির কাছ পর্যণ্ত যেতে পারেনা।পানিও ময়লা হয়না আর আমাদের বুড়িগন্গা!!!!!ইসসসসসশ!!!কালো কুচকুচে পানি!!!!একটা আস্ত নদী কালো করে ফেলেছি আমরা!!!!কি লজ্জা!!!
ফেরি আসলো ।তার আগে ডিম ভাজি আর ডাল দি্যে পরোটা।দারুন নাস্তা করে নিলাম।চমৎকার একটা ফেরী আসলো।ভেতরে এসি ফুল স্পিডে ছাড়া।জানালার পাশে বসলাম।সমুদ্রের পানি দেখে দেখে যাচ্ছি উফ এতখন যে জার্নি করেছি শরীর কিছুই বলছেনা। কারন জার্ণি বলতে বাংলাদেশের যে জার্নি র সাথে আমি পরিচিত,জ্যম,ধুলাবালি,মানুযের কোলাহল কিছুই যে নেই!আর সব কি ঝকঝকে।ফেররিতে মুভি ছাড়া টিভিতে কিনতু কে দেখে বাইরের সিনারি এত সুনদর!! পাহাড় আর পাহাড় আর নীল নীল পানি!!! আমি ফেরীর বন্ধ জানালা থেকেই ভিডিও করলাম ছবি তুললাম।



তারপর ১না ২ ঘন্টাপরেই পৌছে গেলাম।নেমেই বললাম ওয়াও সে কি অসাধারন ভিউ!!আর সেই ঈগলটা।সেটা ওয়েবসাইটে দেখেছিলাম ।সেখানে দাড়িয়েও অনেক ছবি তুললাম..........।

বাকি লানকাউইর কাহীনি আবার পরে বলব..........আরেকদিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×