somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রুমমা
আমি রুমমা ।ভালোবাসি ছবি আকতে,সৃষ্টিশীল কাজ করতে।অন্যের দোয ধরার চেয়ে নিজের দোষ খুজতে বেশী পছন্দ করি।কাজের মধ্যে থাকতে ভালোবাসি,চাই সবাই সবসময় কাজ করুক।ইচ্ছে আছে গরীব মানুষদের জন্য কিছু করার।

মালয়শিয়ায় কয়েকদিন-৪(লানকাউই)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লানকাউই তে নেমে দেখি পুরা আমাদের কক্সবাজারের মতই শুনশান,শান্ত দুপুর এখানেও।নিরব রাস্তার দুপাশে ২/১ টা দোকানপাট খোলা।সেখানেও কক্সবাজারের মতই টুপি,প্যন্ট,লুজ শার্ট এসব পাওয়া যাচ্ছে।আমাদের হোটেলের নাম ছিলো বেস্ট ওয়ে রিসো্র্ট।ঠিক বিচের উপরেই।

এত সুন্দর জায়গা।আমরা গেলাম ১০টা না ১১টায় ওখানে বলে কিনা ৩টায় রুম পাব !!!কি অবস্থা!! এতক্ষন কি করব?সারারাতের জার্নির পর ভেবেছিলাম রুমে ঢুকে ফ্রেশ ট্রেশ হয়ে একটু ঘুরব!!!হোটেল লবিতে বসে থাকলাম কিছুক্সন তারপর পাশেই একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট সেখানে খেলাম।খায়ে টেয়ে একটু আশেপাশে ঘুরাফিরা করে যখন ফিরলাম তখন আরো কিছুক্ষন বসে থাকলে তারপর ওরা বললো রুম খালি হয়েছে আমরা যেতে পারি রুমে।উফ শান্তি!!!রুমটা সুন্দর।এখানে সব রুমের উপরেই কিবলাহ লেখা চিন্হ দেয়া থাকে মানে পস্চিম দিক কোনটা বুঝতে সুবিধা হয়।গত বছরই আমি সিলেটের শ্রিমংগলে গিয়েছিলাম।সেখানকার টি রিসোর্টে ছিলাম ।ওখানে পশ্চিম যে কোনদিকে !!একেকবার একেকদিকে নামায পরেছি।আর সেই ব্রিটিশ আমলের ঐ বাংলোগুলোতে বাথরুমও পশ্চিমে ছিলো।বাংালিরা ঠিক ও করেনি এত বছরেও।
সে যাই হোক রুমের জানালা খুললেই সাগর দেখা যায়,বিস্তীর্ন জলরাশি আর বাতাস.......... মন ভালো হয়ে যায়।
একটু ফ্রেশ হয়ে গোসল করে দিলাম ঘুম।ঘুম থেকে উঠে খেয়ে দেয়ে বের হয়েছি।উদ্দেশ্য হলো কেবল কার। কিন্তু হটাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে কেবলকার বন্ধ থাকে।আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম।কারন কেবলকারে উঠার কোনো ইচ্ছাই আমার নাই ,আমি পারলে উল্টা দিকে হাটা দিই।
কিন্তু বৃষ্টি কিছুখন করই থেমে গেলো:((:((:((
আর কেবলকারের ঐখানে ফোন করে জানা গেলো কেবলকার চলবে X(((না..................এ হতে পারে না!!!!:-/) কি আর করা একটা টেক্সিক্যব ভাড়া করে যাওয়া ধরলাম।
পৌছে গেলাম কেবল কারের জায়গায়।অনেক উচুতে স্টশন কেবলকারের।উফ!!!:((অন্যকেবলকার গুলো তো হরাইজন্টাল থাকে এটা ভার্টিকালি একদম উপরে উঠে যায়।


কেবলকারের নীচের জায়গাটা থেকে উপরে মেঘ দেখা যায়।ঐ যে মেঘ........

কেবলকারের যতকাছে যাচ্ছি ততই হার্টবিড বাড়ছে।কিন্তু কি আর করা যাবে! মনে আছে আমি নন্দনের কেবলকারেই যা ভয় পাইছিলাম!!!! মনে অনেক সাহস সন্চয় করে উঠে বসলাম কেবলকারে।এস ইউসাল ছবি তললো আমাদের।হাস্যোেজ্ঝল ছবি তুলে রওনা দিলাম।

আরে আরে দরজা লাগেনা কেন!! হায়হায় পড়ে যাব তো!!!! উফ একটু পরে দরজা লাগলো:-*

তারপর উঠতেই আছে উঠতেই আছে। কে তাকায় নীচের দিকে।তবে আমার একটু উন্ণতি হয়েছে এইবার চোখ খোলা রেখেছি।নীচে শুঢু পাহার আর সবুজ গাছ। সগরও দএখা যাচ্ছে দুরে।
কতক্সন কাটলো মনে হয় পাচ মিনিট কিন্ত আমার কাছে যেন অনন্ত কাল........।ঘটাস করে শব্দ করে কেবলকার থামলো মাঝামাঝি স্টেশনে। ভেবেছিলাম শেষ বুঝি। কিয়েরকি।আরেকটা স্টেশন বাকি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!:((:((:((:((:((:((:((:((:((:((:((
টুরিস্টরা সব ঘোরাঘুরি করছে ছবি তুলছএ।


আমিও ভিডিও করা ধরলাম ছবি তুললাম। দুরবীন দিয়ে দএখলাম নীচে।কত উপরে আছি আমরা!!!!সেখানেই স্কাই ব্রীজ।একটা ঝুল্নত ব্রিজ।বাতসে দোলে ব্রিজটা।ভাগ্যিস সেটা বৃেস্টির জন্য বনধ ছিলো।বেচে গেছি।কিনতু আবার আরেকটা স্টেশন তাও কত দুড়ে!!!!!!ইচ্ছা করছিলো ফিরে যাই।চড়লাম তো আর কত। কিনতউ যেতে তো হবেই।দএখি কত পিচ্চি কাচচা গিয়েছে ওদেরকে দেখে সাহস সন্চয়ের চেস্ঠা নিলাম।ফি আমানিল্লাহ বলে দিলাম রওনা। একতু পরেই সবচেয়ে উচু পাহাড়ে পৌছে গেলাম।এখান থেকে পুরো লানকাউই দেখা যায়।

দারুন ভিউ।আরো কিছুক্সন ঘুরাফিরা করে ফিরে আসলাম।আমাদের সাথে আরেকটা মালয় ফ্যমিলি উঠেছিলো।কত সিম্পল ওরা কিনতু ওদের ডেশ টাকে কত সুনদর করে রেখেছে।ভেবে হিংসা হচ্ছিলো।আমাডের কক্সবাজারের মতই একটা জায়গা ,ছোট্ট একটা বীচ ওদের কিন্তু কি নেই ওখানে?? আর আমাদের যাও একটা বিশ্বের সর্বববৃহৎ বীচ ছিলো সব রিয়েল েস্টেট কোম্পানিরা সেটা ছিড়ে টুকরা টুকরা করে ফেলছে!!!কে্য দেখছেনা। ওদের সাথে কথা বলতে বলতে কখন নীচে চলে আসলাম টেরই পেলামনা।মজাই লাগলো ।ভয় আর মজা....................(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৬
১৭টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×