somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি স্বপ্নদৃশ্যের পরিবর্তন

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
আমার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। আমি ছাড়া এই ক্ষমতার কথা কেউ জানে না। আমি কাউকেই বলিনি। অনন্যা, সোমা, রিতুকেও বলিনি। এমনকি রিফাতকেও বলিনি। যদিও রিফাত আমার প্রায় সব কথা জানে। কিন্তু এই কথাটি আমার কাউকে বলতে ইচ্ছে হয়নি। আমার নিজের এই ক্ষমতাটা আমি নিজে খুব উপভোগ করি। আমি সবাইকে বললে অন্যরা সেই বিষয়টা উপভোগ করতে শুরু করবে তা ভাবতেই আমার ভাল লাগে না। তাছাড়া মা বলে, কারও ক্ষমতার কথা বলে ফেললেই নাকি সেই শক্তি অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই আমি ঠিক ঠিক বিষয়টা গোপন রেখেছি। কিছু কিছু ব্যাপার বুকের নিভৃতে পুষে রাখতে কিন্তু বেশ লাগে!

তাছাড়া এই যে ক্ষমতা ক্ষমতা বলছি, এই বিষয়টা একটু অদ্ভুতও। বললে কেউ সহজে বিশ্বাস নাও করতে পারে। বন্ধুরা বলবে ক্ষমতা না ছাই! নির্ঘাত গুলপট্টি মারছিস! আর রিফাত বলবে, এত রাত জেগে জেগে গল্পের বই পড়ার দরকার কি? তাও আবার সাইকো থ্রিলার! কী সব স্বপ্ন ব্যাধি ভ্রম না ছাই! ঠিক মতো ঘুমোও না বলেই তো উল্টেপাল্টা স্বপ্ন দেখো। আর স্বপ্নই যদি দেখো, আমাকে নিয়ে মিষ্টি স্বপ্ন দেখো! রিফাতের কথা শুনে আমি হাসি। আমার বন্ধুদের লেখা বই, স্বপ্ন ব্যাধি ভ্রম ও অন্যান্য।

রিফাতকে সাথে করে এবারের একুশে বইমেলা থেকে কিনেছি। বইটির প্রচ্ছদের দিকে একবার তাকিয়ে ও দ্বিতীয়বার তাকায়নি। আমি খুব মজা পেয়েছি ওর প্রতিক্রিয়ায়। তাই ফাঁক পেলেই ওকে বইটির এক একটি গল্প বলার চেষ্টা করি। ও শুনতেই চায় না, বলে ভয় করে। তাহলে আমার ক্ষমতার কথা ওকে কী করে বলি! ও তো আরও ভয় পাবে। আসলেই আমার ক্ষমতাটা বড় অদ্ভুত। কোনো ক্ষমতাধর জটাবাবার দৈব শক্তির মতো। মায়ের কাছে একটা জটাবাবার গল্প শুনেছিলাম। আগে সেই গল্পটা বলি।

মায়ের বড় ফুপা হাজী আতিকুর রহমান গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। প্রচুর টাকা পয়সার মালিক ছিলেন ভদ্রলোক। স্বভাবতই হজ্ব সেরে আর পাকা তিনতলা বাড়ি করে গ্রামে বেশ প্রভাব তৈরি করেছিলেন। মা নাকি ছোটবেলায় তার ফুপুর বাড়ি গেলে দেখতেন, হাজী আতিকুর রহমান মস্ত বড়ো একটা কাঠের চেয়ার নিয়ে বাহির বারান্দায় বসে থাকতেন আর বাড়ির অন্দরমহলের মহিলাদের পর্দাপ্রথা আর চাকর-বাকরদের কাজে শৈথিল্য দেখলে হুংকার ছাড়তেন।

একদিন ভরদুপুরে সেই হাজী সাহেব কেমন যেন পাগলের মতো হয়ে গেলেন। এরপর যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন নাকি বলতেন, আমারে দে আমারে দে...। হাজী আতিকুর রহমান এর পাগল হওয়ার রহস্য সেইদিনই উন্মোচিত হয়েছিল। বাড়ির ঠিকে ঝি তায়েবা সবাইকে বলে দিয়েছিল সে কী দেখেছে। প্রতিদিনের মতো হাজী আতিকুর রহমান যখন দুপুরের চড়া রোদ কমলে বারান্দায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই নাকি এক জটাধারী পাগলবেশী লোক তার দিকে ডান হাত বাড়িয়ে বলে, নে খা। খা। খা...।
দুর্গন্ধযুক্ত নাড়িভুঁড়ির দলা দেখে হাজী আতিকুর রহমান গর্জে উঠেছিলেন, যা পাগলা...যা যা ভাগ...। তিনি যেই লাঠি নিয়ে জটাধারীকে মারতে যাবেন, জটাধারী হাতের নোংরা উঠানে ফেলে দৌড় দিল, খেলি না...যা তবে আমার পথে আয়! ঠিকে ঝি তায়েবা ঘটনার বর্ণনা করতে করতে নাকি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। ওর জ্ঞান ফিরলে বহু জিজ্ঞাসাবাদেও পর জানা যায়, সেই দুর্গন্ধযুক্ত নাড়িভুঁড়ির দলা নাকি মাটিতে পড়ে আস্ত একটা সাগর কলা হয়ে গিয়েছিল! হাজী সাহেব কলাটা তুলতে গেলে নাকি সেটা অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে কেউ বিশ্বাস করেনি। বিশ্বাস না করলেও সেই জটাবাবার আগমনের প্রত্যাশায় সেই বাড়ির সদর দরজা খোলা থাকতো বহুবছর। আর মায়ের ফুপাকেও নাকি বহুকষ্টে টেনে ভেতর ঘরে নিতে হতো। নইলে সারাদিনই তিনি বারান্দায় থাকতেন আর বলতেন, আমারে দে আমারে দে...।

তবে মায়ের কাছ থেকে শোনা সেই জটাবাবার গল্প আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আমি খুব সহজেই যে কোনো কাউকে বা যেকোনো কিছুই বিশ্বাস করি। আর নিজের ক্ষমতার দর্শন করে আমি এইসব দৈবশক্তির ব্যাপারে আরও নিশ্চিত হয়েছি। আসলে আমার ক্ষমতাটা আমি টের পেয়েছি, খুব বেশিদিন হয়নি। আমি যখন ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি তখন প্রথম বুঝতে পারলাম যে আমি চাইলেই ঘুমের ভেতর দেখা যেকোনো স্বপ্নদৃশ্যের পরিবর্তন করতে পারছি। আমি প্রবল ঘুমের মধ্যেও টের পেতাম কী স্বপ্ন দেখছি! আর সেই স্বপ্ন তখন আর কোনো কল্প দৃশ্য থাকতো না, আমি খুব ঠাণ্ডা মাথায় নিজে সেই দৃশ্যের পরিবর্তন ঘটাতাম। এখনো ঘটাই। উদাহরণ দিলে বিষয়টি আপনাদের কাছে স্পষ্ট হবে।

যেমন রাতে ঘুমের মাঝে শতশত ফণা তোলা কাল সাপ আমাকে দংশনের জন্য ঘিরে ধরলে আমি ধীরে ধীরে স্বপ্নদৃশ্য বদলে দিয়ে সাপের দংশনকে বৃষ্টির দংশন বানিয়ে ফেলি। তারপর সেই বৃষ্টিতে রিফাতকে নিয়ে তুমুল ভিজি! আবার কোনো রাতে ঘূর্ণিঝড়ে শূণ্য চরে আটকে পড়ে দিশেহারা হতে হতে আমি ঠিকই জনবসতি খুঁজে পাই। যেখানে স্বজনের প্রিয় দুটি হাত আমাকে জড়িয়ে ধরে। এভাবে স্বপ্নের মাঝে অনুভূত অস্থিরতা, সংকোচ, ভয় সবকিছু আশ্চর্য রকমভাবে পরিবর্তন করে দিয়ে আমি সুখ স্বপ্নে আচ্ছন্ন হয়ে দিব্যি একটি তৃপ্তির ঘুম দেই।

ডোরবেল বাজছে। এত সকালে কে এলো? আজ ভার্সিটিতে যাবো না। ক্লাস আছে মাত্র একটি আর কেমন যেন ক্লান্ত লাগছে। আজ একটু বিছানায় আয়েস করে সকালটা কাটাবো। আবার বেল বাজছে। মা বোধহয় রান্নাঘরে। ডোরবেলের অস্থির আওয়াজে আমাকেই বিছানা ছাড়তে হলো। ছোটমামা! এত সকালে? অফিসে যাওনি? মামা কেমন উদ্ভ্রান্তের মতো ঘরে ঢোকে। আমার দিকে তাকায় না। হাতের ব্যাগটা ডায়নিং টেবিলে ছুঁড়ে দিয়ে বলে, বুবুকে ডাক। আমি ছোটমামার দিকে এগিয়ে যাই, কী হয়েছে মামা? মামা আমার গালে শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে একটি চড় মারে, কার সাথে শুয়েছিলি বল? বল কার সাথে শুয়েছিলি? ছোটমামার হাতের সুদৃশ্য মডেলের সিম্ফনি মোবাইলের ভিডিও চিত্রটি দেখতে দেখতে বাবা-মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলল। শুধু আমি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে নিজেকে দেখতে থাকলাম।
২.
মৃত্যুময় অন্ধকার আমাকে অতলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পায়ের তলায় আগুনের ফুলকি আর মাথার উপরে দীর্ঘ অন্ধকার ছায়া! নিজের আকার পরিবর্তন করে আচমকা ছায়াটি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। আমি হাত বাড়াই। আমি ধরবো ঐ ছায়াটিকে! খুন করবো, ছিন্নভিন্ন করবো। কিন্তু আমি পারছি না। আমি জানি ছায়াকে মারতে হলে আগে আলোকে খুন করতে হবে। আমি ছটফট করি! কিন্তু শত চেষ্টা করেও আমি আলোকে আড়াল করতে পারি না বলে সেই ছায়াও মরে না। আমি বেশ বুঝতে পারছি, আমার ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

আমি আমার স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না! ঐ ছায়াটিকে খুন করার অবদমিত আকাঙ্ক্ষার ছটফটানিতে আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি। এইবার প্রবল ঘুম আমার দুই চোখের পাতা জুড়ে দিচ্ছে। আমি চেষ্টা করেও স্বপ্নদৃশ্যটি পরিবর্তন করতে পারছি না। দীর্ঘ ছায়াটি আমার কাছে এসে আমাকে গ্রাস করে ফেলছে! ঘুম ঘুম চোখেও আমি টের পাচ্ছি ছায়ার অদ্ভুত জমজ আঙুল আমার কণ্ঠনালী চেপে ধরছে! চারদিকে যেন মৃত্যুযজ্ঞের আয়োজন! সেই আয়োজন দেখে আমার ভয় করে! আমি খুব কষ্ট করে একটি সুখ স্বপ্ন মনে করার চেষ্টা করি। আমি পারছি না! তবু চেষ্টা করেই চলছি। যেন স্বপ্নের ভ্রমের জন্য আমার আকুল প্রতীক্ষা!

হঠাৎ আমার চেষ্টা সফলতায় রূপান্তরিত হলো। কী মিষ্টি সুখ স্বপ্ন দৃশ্য! সেই যে সেদিনের সায়ন্ত নীল সময়ে রিফাত আকাশ হচ্ছে আর রিফাতের পরিপাটি আয়োজনে আমি বিশুদ্ধ সাদা মেঘের মতো ভেসে বেড়াচ্ছি। ধীরে ধীরে কোনো রোমান সাম্রাজ্ঞীর প্রতি পরম ভক্তিভরে রিফাত উন্মুক্ত করছে আমার শরীরের সব সুষমা। অপার মুগ্ধতায় আমার শরীর থেকে এক একে খুলে নিচ্ছে সব বাহারি বসন। আর ডুবোজ্বরে উষ্ণ আমি ক্রমান্বয়ে শ্রান্ত হচ্ছি রিফাতের হাতের মিহিন পরশে! হঠাৎ সেই সুখ স্বপ্নে একটি ছায়া ঢুকে পড়লো। না... ধীরে ধীরে রিফাতের শরীরটাই একটা ছায়ার আকার ধারণ করলো! ওর স্পর্শ টের পাচ্ছি না আমি এখন। ছায়ার ব্যাপ্তি বেড়েই যাচ্ছে! আমার কান্না পাচ্ছে! আমি আমার ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারছি না, নিজের ব্যর্থতায় আমার উথাল-পাথাল কান্না পায়।

হঠাৎ কে যেন মায়াহীন হাতে আমাকে ক্রমাগত ঝাঁকাতে থাকে। আমি চোখ মেলে তাকাই। মায়ের চোখে বিরক্তি। অস্ফুট ধ্বনি ভেসে আসে কানে, এ্যাই মুক্তা কাঁদিস ক্যান? গোঙাস ক্যান? কী স্বপ্ন দেখলি? ওঠ...। মায়ের হাতের ঝাঁকুনি সহ্য করতে না পেরে আমি বিছানা ছেড়ে উঠে বসি। মাকে এখন স্বপ্ন বর্ণনা করার ফলাফল হবে ভয়াবহ। তাই আমি মাকে পাত্তা না দিয়ে বাথরুমে ঢুকে যাই। চোখে মুখে পানি দিয়ে নিজের বিছানায় বসি। মা আমার পাশে এসে ফিসফিসিয়ে বলতে থাকে, বড় আপা ফোন দিছিল, রিপনও নাকি নেটে দেখেছে। শাহিদা খালাও ফোন দিছিল তার ছেলের কাছে নাকি এমএমএস আসছে। সবার হাতে হাতে চলে গেছে ভিডিও। তুই সত্যি বল দেখি, ভিডিওর মেয়েটা কি তুই?

খানিক আগের স্বপ্নের ঘোর আমার কাটেনি। মায়ের জেরায় আমার সেই ঘোর কেটে যায়। সত্যিই তো বোকা, লোভী আমি সেদিন টের পাইনি রিফাত সেই গোপন নিভৃত সময়ের দৃশ্যপট বন্দি করে নিচ্ছিল মুঠোফোনের চতুরতায়। রুমে মা আর আমি ছাড়া কেউ নেই তবু মা বাতাসের কাছ থেকেও যেন কথার ধ্বনি আড়াল করছে। আমার মোবাইলে মেসেজ আগমনের সুন্দর শব্দ ভেসে আসে। মোবাইল হাতে নিতে ইচ্ছে করছে না। মা এইবার আমার মতো কাতরাতে শুরু করলো, এ্টা তুই কী করলি, তোর বাবা আর আমি মুখ দেখাই কেমনে? তুই ছেলেটার সঙ্গে...। হারামিটা সব মোবাইলে রেকর্ড করছে। রিফাতকে কি মা হারামি বললো? মাকে আগে কখনো গালি দিতে শুনেছি বলে মনে পড়ছে না। মা কী সব বিড়বিড় করে বলতে থাকে। আমার আর কোনো শব্দ মাথায় ঢোকে না। আমি বালিশে মুখ গুঁজে দেই।

আমাকে থৈ থৈ জলের কূলে রেখে অধৈর্য হয়ে মা চলে যায়। আমি এবার নকশী কাঁথাটা টেনে নিয়ে আরাম করে শুই। মোবাইলটা হাতের কাছেই। ইনবক্সে অনেক মেসেজ আনরিড দেখাচ্ছে। পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না। মোবাইলটা বন্ধ করে দেই। পুরো বাড়িটা কেমন নিস্তব্ধ হয়ে আছে। বাবা কি বাড়িতে? কি জানি। আমি তো দুইদিন ধরে আমার রুমে বন্দি হয়ে আছি। ছোট মামার চড় খাওয়ার পর ভাতও খাইনি এই দুইদিন। অন্য সময় হলে মা পিছু নিতো, এক গাল খা মুক্তা মা, রাতে না খেলে এক চড়ুইয়ের রক্ত পানি হয়। আর আজ তিন দিন মা, বাবা কেউ আমাকে খেতেও সাধেনি।

ঘর জুড়ে থাকা নিরবতায় আমার ভাল লাগছে। শরীরের ভার বিছানায় ছেড়ে দিতেই শরীরটা অদ্ভুত রকমের হালকা লাগছে। সেই সাথে পরস্পরের নিবিড় আলিঙ্গনে আমার দুই চোখের পাতা জুড়ে যাচ্ছে। ঘুম পাচ্ছে! কিন্তু আমার ঘুমোতে ভয় করছে। যখন জেগে থাকি ভাবনার ঘূর্ণিতে দিবাস্বপ্ন আমাকে আক্রমণ করার সুযোগ পায় না। অথচ দিনে বা রাতে ঘুমের মধ্যে ছায়ার ভয়ংকর স্বপ্নদৃশ্য আমাকে আক্রমণ করে। এখন আমার ঘুমের মধ্যে কেবল কষ্ট! ছায়ার দুর্বিসহ স্বপ্নের তাড়নায় আমি তাই এখন ঘুমকে ভয় পাই। তবু চোখ লেগে আসে। দুই চোখকে পরাজিত করে সেই সাথে নিষ্ঠুর স্বপ্নদৃশ্যটি ক্রমান্বয়ে আমাকে গ্রাস করতে থাকে।

শেষ পর্যন্ত উপায়ন্ত না দেখে সেই স্বপ্নদৃশ্য পরিবর্তনের চেষ্টায় আমি সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হই।

(আজ লগ ইন হয়ে দেখলাম আমি সেফ ব্লগার। মানে এইটুকুই বুঝলাম যে সামু আমাকে একবছর পর নিরাপদ মনে করছে, ভাবতে ভাল লাগে কেউ যখন আমাকে বিপদজনক মনে না করে। সেই আনন্দে গল্প পোস্ট। উৎসর্গ-ব্লগার অপর্ণা মম্ময়, যে আমাকে ব্লগিং শিখিয়েছে। কৃতজ্ঞতা-যেসব পাঠক আমার ব্লগ ভিজিট করেছেন আর যারা আমাকে নিরাপদ মনে করেছেন।)
২১টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×