'আজকে নাকি সুপারমুন রে? দেখবি না?' বলেই হলুদ দাঁতজোড়া বের করে মায়াবি হাসি দিলো তারাবী। মেয়েটা দাঁত ব্রাশ না করলেও গন্ধ হয়না কেনো যেনো।
কখন যে রাত ১১টা বেজে গেছে? শীট! তড়িঘড়ি করে বাজতে থাকা ফোনটা রিসিভ করলাম ঘুমের চোখে। 'হ্রামী, কুত্তা তাড়াতাড়ি ছাদে আয় সারপ্রাইজ আছে' বলেই খট করে লাইন কেটে দিলো, আজকে সুপারমুনের আবছা আলোতে আবার আগের অবস্থা করবে না তো? সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে আর চোখ ডলতে ডলতে সিঁড়ি দিয়ে আগাচ্ছি হঠাৎ করেই পিঠটা কেমন যেনো মোচড় দিয়ে উঠলো, আর মাত্র কয়েকটা ধাপ বাকি সিঁড়ির, পড়ে গেলাম মাটিতেই, দুই হাতে ভর দিয়ে পায়ে সাপোর্ট রাখছি, দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা করছে, অসহ্য। ঐতো ও দাঁড়িয়ে আছে ছাদের কোনায়ই, চারহাত পায়ে ভর দিয়েই এগুচ্ছি, আর সহ্য হচ্ছেনা ব্যথা, বরং এখনই ডাক দেই ওকে। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছাটা বাদ দিয়ে ডাক দিলাম ওকে,কিন্তু আওয়াজটা...
২দিন পর...
'মিঃ সুমিত, মেয়েটাকে একটা নেকড়ে আক্রমণ করেছিলো, মেয়েটার ফোনে অটোকল রেকর্ডে জানতে পেরেছি আপনার যাওয়ার কথা ছিলো ছাদে, কিছু দেখেছিলেন কি?'
মাথাটা গুলিয়ে উঠছে আমার, কিছু একটা মনে এসেও আসছে না.
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৫