somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মধ্যরাতেও থাকছে না বিদ্যুত, দুর্ভোগে নগরবাসী

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে মনে হয় আত্মহত্যা করি। এত কষ্ট আর ভালো লাগে না। সারাদিন পরিশ্রম করে বাসায় ফিরে শান্তিতে ঘুমাতে পারি না। কোথায় গেলে শান্তি পাব তাও জানি না।

মাঝ রাতে শিশু সন্তান নোমানকে কোলে নিয়ে বাস্তায় দাড়িয়ে থাকা শেখ রিয়াতকে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে এভাবেই খেদোক্তি করেন তিনি।

৭৭ সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা রিয়াত জানান, সন্ধ্যা কিংবা গভীর রাত কোন সময়েই মানছে লোডশেডিং। সব সময় চলছে আসা যাওয়ার খেলা। একবার গেলে কমপক্ষে ১ঘণ্টা। লোডশেডিং নিয়ম মানলেও বিদ্যুৎ স্থায়ী হওয়ার নির্দিষ্ট কোন টাইম ফ্রেম নেই।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কয়েক দফায় বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করেছে এখন রাত ১ টায় আবার বিদ্যুৎ চলে গেছে। গরমে গা জ্বলে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর নেমে এসেছি ছেলেকে নিয়ে।

এ ভাবে কি মানুষ বাঁচতে পারে ? টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কিনব তাও যদি না পাই তাহলে কি করা উচিত। রাতে ঘুমাতে পারি না। পরদিন অফিসে গিয়ে শরীর খারাপ লাগে।

তিনি যে ভবনে থাকেন তার চারদিকে বড় বড় ভবন উঠেছে। জানালা খুললেও বাতাস পাওয়া যায় না। একদিকে একটু খোলা থাকলেও ময়লার স্তুপ। গন্ধের কারণে জানালা খোলা যায় না। অনেক বার সিটি কর্পোরেশনে জানিয়েছি কিন্তু কোন ফল পাইনি।

বাসা পরিবর্তন করলেই তো পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাইরে চাইলে কি সব করা যায়? মেয়ে পড়ে সিদ্ধেশ্বরী গলর্সে। যে বাসায় থাকি সেখানে ভাড়া ১৫ হাজার টাকা।

দীর্ঘদিন ধরেই বাসা খুঁজছি। আশপাশে ২৫ হাজার টাকার নিচে কোন বাসা ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি নিজেই বলে ওঠেন ব্যাংকে চাকরি করি বেতন পাই ২৫ হাজার টাকা। বাসা ভাড়াই যদি ২৫ হাজার দিতে হয়ে তাহলে তো না খেয়ে মরতে হবে।

আগে দিনে যা হোক রাতে খুব একটা বিদ্যুতের লোডশেডিং দেখা যেতো না। এখন সেই নিয়ম আর নেই। খোদ রাজধানীতেই রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছে লোডশেডিং।
load shading
এদিকে আগারগাও পাইকপাড়া এলাকার অবস্থা আরো ভয়াবহ। সেখানে দিনে রাতে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে বলে দাবি করেছে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুলাহ আল মাসুদ।

মাসুদ বাংলানিউজকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে তিনি লোডশেডিং হিসেব করেছেন, প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ মিনিট পর পর ১ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয়েছে।

তার সেই কথার সত্যতা পাওয়া যায় ওই এলাকার বিতরণ সংস্থা ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লি.(ডেসকো) এর ওয়েব সাইটে। সেখানে দেখা গেছে দিনের ১২ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১২ পয়ন্ত ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হয়েছে।

ডেসকোর জুনিয়র অ্যাসিসটেন ম্যানেজার (মঙ্গলবার রাতের দায়িত্বে থাকা) কবীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান এখন (রাত সাড়ে ৩ টা) আমাদের এলাকায় অনেক লোডশেডিং চলছে। তবে কত চাহিদা আর কত সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে এ কথা বলা নিষেধ রয়েছে।

সেচ মৌসুম শেষ এরপরেও এ ধরনের লোডশেডিং থাকার কথা নয় এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, গরম বেশির জন্য কুলিং (ঠান্ডার) লোড এখন বেড়েছে।

একইভাবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লি (ডিপিডিসি) কন্ট্রোল রুমও লোডশেডিং সংক্রান্ত কোন তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে এসব তথ্য দিতে পারবে একমাত্র বিদ্যুতায়ন বোর্ড।

মঙ্গলবার পিডিবির ওয়েব সাইটে দেখা যায় তারা দিনে ৪ হাজার ৩৯৪ মেগাওয়াট রাতে ৫ হাজার ৪০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এদিন সর্বোচ্চ চাহিদা দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।

তবে পিডিবির উৎপাদনের এই হিসেব অনেকটা জনগণকে ধোকার দেওয়ার কৌশল হিসেবে করা হয়। তারা রাতে কোন এক সময়ে সর্বোচ্চ উৎপাদন করে একটু পরেই কম উৎপাদন করছে। যে কারণে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং।

পিডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে অর্থ সংকটের কারণে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সরকার। সরকার চাইলে লোডশেডিং মুক্ত রাখা সম্ভব। ওই কর্মকর্তা দাবি করেন বর্তমানে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×