গনতন্ত্র কি?
গনতন্ত্র বলতে
আমরা কি
বুঝি? বাংলাদেশে কি
গনতন্ত্র আছে?
গনতন্ত্রের সংজ্ঞাটা
কি? ইত্যকার নানাহ
প্রশ্ন আমাদের মনে
নিত্যদোলা দিয়ে যায়।
প্রশ্ন জাগাটা
স্বাভাবিক।
আমি যতটুকু মনে
করি,এবং যাহা
স্বিকৃত
হিসেবে
প্রচলিত,বাকস্বা
ধিনতা,সংগঠন
করার
অধিকার,সভাসমাবে
শ করার
অধিকার,সবোপরি
ভোটাধিকারকেই
সাধারন অথে আমরা
গনতন্ত্র হিসাবে ধরে
নিতে পারি।
বিস্তারীত
আলোচনায় যাওয়ার
আগে
আমি গনতন্ত্রের
কেন্দ্রিকতা সম্পকে
সামান্য আলোকপাত
করতে চাই।গন
তান্ত্রিক
কেন্দ্রিকতা হচ্ছে
মূলতঃ গনতন্ত্রের
সুফল পাওয়ার একটা
কায্যকর উপায়।
যেমন দশজন লোক যে
কোন একটি বিষয়ের
উপর সিদ্ধান্ত নিতে
হবে।দশ জন সেখানে
একমত নাও হতে পারে।
ছয় জন একপক্ষে মত
ব্যক্ত করলে,চারজন
দ্বিমত পোষন করলো।
এখানে ছয়জনের
মতকেই গ্রহন করতে
হবে।আমরা ইহাকে
বলি গনতান্ত্রিক
সিদ্ধান্ত বা অভিমত।
বাকি চার জন
নিদ্ধিদায় ছয় জনের
মতের সাথে একমত
হওয়াকেই
গনতান্ত্রিক
কেদ্রিকতা বলে।
অন্যভাবে সিদ্ধান্ত
মেনে নেয়াকে ই
গনতান্ত্রিক
কেন্দ্রিকতা বলে।
বতমান বিশ্বে
গনতন্ত্র হচ্ছে
রাষ্ট্র পরিচা লনার
একমাত্র স্বিকৃত
উপায়।যেসমস্ত
দেশকে আমরা
গনতন্ত্রের
আবাসভুমি বা
গনতন্ত্রের
সুতিকাগার বা
গনতান্ত্রিক দেশ
হিসেবে চিনি ও জানি
তম্মধ্যে ভারত ও
বৃটেনের নাম সবার
আগে আসে-সবার মুখে।
সেই সমস্ত দেশের
গনতান্ত্রিক সিষ্টেম
গুলির দিকে আমরা
যদি চোখ ফিরাই
দেখতে পাই,নিম্নে
থেকে উদ্ধস্তর
পয্যন্ত সেখানে
নিবাচনি ব্যবস্থা
সুদৃড়। সময়ে নিবাচন
হচ্ছে, ক্ষমতার
রদবদল হচ্ছে।
ব্যত্যায় ঘটে তবে তা
কদাচিত।
এবার গনতন্ত্রের
বধ্যভুমির সাথে আমা
দের বাংলাদেশের মিল
অমিল খুজে
দেখি?বাংলাদেশেও
নিম্নে স্থানীয় ইউনি
য়ন পরিষদ থেকে শুরু
করে উদ্ধে সংসদ
নিবাচন পয্যন্ত
যথারীতি নিবাচনী
ব্যবস্থা বহাল আছে।
নিয়ম অনুযায়ী
নিদিষ্ট সম য়ান্তে
নিবাচন যথারীতি
সকল নিয়ম অনুসরন
করে অনুষ্টিত হচ্ছে।
আর এক
ধাপ এগিয়ে বলা
যায়,পাড়ার ক্লাব
থেকে শুরু করে
হাটবাজার কমিটির
নিবাচন ,টেক্সি টেম্পু
থেকে সবোচ্ছ
বিচারালয় পয্যন্ত
একটি ক্ষেত্র ও
পাওয়া যাবে না যেখানে
নিবাচনী ব্যবস্থা
সচল নেই। তাহলে
গনতন্ত্র নেই এ
কথাটা যারা
বলেন তারা কি আদৌ
সত্য বলেন? গন
তন্ত্র কি আপনাকে
ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া?
গনতন্ত্র এমন একটি
সিষ্টেম,যে সিষ্টেম
প্রতিনিয়ত চচা করার
বিষয়।ভারত এবং
গ্রেটবৃটেন গনতন্ত্র
কায়েম হয়ে গেছে এই
কথাটা ঘুনাক্ষরেও
বলে না।তারাও বলে
গনতন্ত্রের চচায়
নিজেদের
নিবিষ্টরেখেছে।
গনতন্ত্র মু্লত বহাল
করার কোন বিষয় নয়।
উহা একান্তই চচার
বিষয়।
গনতন্ত্রকে সুচারু
রুপে প্রতি পালন
করতে হলে দেশের
অভ্যন্তরে যে সমস্ত
গনতান্ত্রিক
প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান
আছে, সেই সমস্ত
প্রতিষ্ঠানের অগ্রনি
ভুমিকা পালন একটি
জরুরী বিষয় বটে।
একতরফা
গনতান্ত্রিক চচা বা
গনতন্ত্রের
প্রতিপালন সম্ভব হয়
না।
যেমন আমাদের দেশের
প্রধান দু'টি দল
যদি মিলিত ভাবে
গনতন্ত্রের ধারাবা
হিকতায় সামিল না হয়
তাহলে একটি
দলের পক্ষে শতভাগ
গনতান্ত্রিক ভাবে
, গনতন্ত্রের সংজ্ঞা
যথারীতি অনুসরন
করা কোন মতেই
সম্ভব নয়।
পরিতাপের বিষয়
হচ্ছে, বৃহৎ দু'টি দলের
মধ্যে একটি দল
সামরিক চাউনিতে
জম্মের কারনে
গনতন্ত্রের চচা দলের
মধ্যে ওনেই, জাতীয়
রাজনীতিতেও
গনতান্ত্রিক
চচার শুন্যতার সৃষ্টি
করে রেখেছেন।মুলত
দলটির মধ্যে
গনতন্ত্র চচার জন্য
নিয়মা তান্ত্রিক
রাজনীতির চচা করার
যে
অবশ্যিকতা বা
পুর্বশর্ত তাও তারা
বিশ্বাস করে কিনা
সন্দেহ্।
যদি দলটি
নিয়মাতান্ত্রিক
রাজনীতির
চচাই করতো তাহলে
লাগাতার সন্ত্রাস,
নৈরাজ্য,সম্পদহা
নি,মানুষ জীবন্ত দগ্ধ
করার মত কোন
রাজনৈতিক কমসুচি
দিতনা।গনতন্ত্র
লালন কারী কোন দল
সন্ত্রাস নৈরাজ্যে
বিশ্বাস করে না
করতে পারে না।
প্রশ্ন আসতে পারে
বতমান সরকারের
অধিকাংশ সদস্য বিনা
ভোটে নিবাচিত।
কি ভাবে গনতন্ত্র
রক্ষিত হলো।এখানে
একটা বিষয় আমাদের
পরিষ্কার হওয়া
প্রয়োজন।যথারীতি
সকল নিয়ম
প্রতিপালন করে ভোট
অনুষ্ঠিত হলো কিনা?
প্রচলিত সকল নিয়ম
মেনে যদি
নিবাচনের প্রক্রিয়ায়
কোন প্রতিপক্ষ না
থাকে সংবিধান
অনুযায়ি ওই ব্যক্তি
নিবাচিত বলে গন্য
হবে।ইহার ব্যতিক্রম
যদি হয় তাহলে, ওই
ব্যাক্তির নাগরীক
অধিকার ক্ষুন্ন হবে।
সুতারাং এই খানে
আইনের কোন
ব্যত্যায় ঘটানোর
সুযোগ
সংবিধান রাষ্ট্র কে
দেয়নি।
বিশ দলীয় জোট
নিবাচনে কেন এলনা
তা নিয়ে ভিন্নভাবে
আলোচনা হতে পারে।
এলেই বা ফল কি হত
তাও আমার
আলোচ্য বিষয় নয়।
আমার আলোচ্য বিষয়
হলো গনতন্ত্র
বাংলাদেশে আছে কি
নেই সেই বিষয়।আমার
উপসংহার হচ্ছে,
বিশ্বের যে কোন
দেশের তুলনায় বাংলা
দেশের বতমান
গনতন্ত্রের চচায়
অনুসরন যোগ্য।তৃতীয়
বিশ্বের যে কোন
দেশের অনুকরনীয়
হতে পারে বাংলাদেশ।
জয়বাংলা জয়বংগবন্ধু
জয়তু দেশনেত্রী
শেখহাসিনা।
জয় হোক গনতন্ত্রের।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৬