somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবার দার্জিলিং, সিকিমের গল্প (পর্ব – ২)

০৫ ই জুলাই, ২০১০ রাত ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্বের লিংক এখানেঃ
Click This Link

তো দার্জিলিং ভ্রমন শেষে ঠিক করলাম সিকিম যাওয়ার একটা চান্স নিতে হবে। ছোট বেলা সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদার গল্প পড়েছি “"গ্যাংটকে গন্ডগোল"”। তখন থেকেই গ্যাংটক নামটা মনের মধ্যে বিশেষ দ্যোতনা সৃষ্টি করত। গ্যাংটক সিকিমের রাজধানী। তার আগে একটু বলে নেই, সিকিম বাংলাদেশীদের জন্য কেন নিষিদ্ধ।

আসলে একটা সময়, সিকিম বিদেশীদের জন্যই নিষিদ্ধ ছিল। কারণ, ব্রিটিশ আমলে সিকিম ছিল ব্রিটিশদের একটি আশ্রিত রাজ্য (protectorate)। দেশ বিভাগের পর ১৯৫০ সালে সিকিম এক চুক্তির মাধ্যমে ভারতের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়। কিন্তু চীন সেটা মেনে নিতে পারেনি, তাদের বক্তব্য ছিল, ভারত জোর করে সিকিমকে তার সাথে একিভূত করছে। এই নিয়ে ভারত ও চীন ১৯৬২ সালে যুদ্ধও করে আর তার পর থেকেই দু'দেশের মধ্যে যোগাযোগের পথ "নাথুলা পাস" বন্ধ করে দেয়া হয়। চীন বহুদিন পর্যন্ত সিকিমকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তাদের ম্যাপে দেখিয়েছে। তো গন্ডগোলটা এটা নিয়েই। ফলাফলে, পুরো সিকিম ভার্চুয়ালি একটা ক্যান্টনমেন্ট হয়ে গেল। এবং এখনো সেই রকমই আছে, যদিও ২০০৬ সালে বছর আগে চীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা দিয়ে সিকিমকে ভারতের অংগরাজ্য হিসেবে মেনে নিয়েছে। আমি যখনকার কথা লিখছি, তখন সিকিমে সব ধরনের বিদেশী নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে এখন পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ সহ এরকম অনেক, বিশেষ করে মুসলিম দেশের নাগরিকরা সিকিমে নিষিদ্ধ !! সাদা চামড়ার বেশ কিছু দেশের জন্য তারা এখন প্রবেশাধিকার দিয়েছে !! যেহেতু সিকিম একটা ক্রিটিক্যাল এরিয়া, তাই এখানকার বাজেট বরাদ্দ মনে হয় বেশী, তাই রাস্তা ঘাট এবং অন্যান্য অবকাঠামো পাহাড়ী এলাকা হিসেবে বেশ ভাল।

যাইহোক, দার্জিলিং থেকে সরাসরিই গ্যাংটক যাওয়া যায়। কিন্তু আমরা যেহেতু নিষিদ্ধ আর কে যেন বলল ওই রাস্তাটা একটু অনিরাপদ, আমরা শিলিগুড়ির দিকেই রওনা হলাম। যদিও বাংলাদেশীরা নিষিদ্ধ, কিন্তু অনেক বাংলাদেশীই ভারতীয় বাংগালি হিসেবে সিকিম গিয়ে থাকেন, এটাও আবার ওপেন সিক্রেট। শিলিগুড়ি এসে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে দাড়ালাম। যথারীতি গাড়ীর হেল্পার বুঝে গেল, আমরা বাংলাদেশী মফিজ। তাই আমাদের ধরে নিয়ে গেল একটা ট্রাভেল এজেন্টের অফিসে, বলল এখান থেকেই হোটেল বুকিং দিয়ে যান, নইলে ওখানে গিয়ে হোটেল ফাকা পাবেন না। বলল, আমরা বলে দিচ্ছি গ্যাংটকে, আপনারা যে বাংলাদেশী, পুলিশ রেইডে এলে এটা ওরা ম্যানেজ করবে। এরকম অনেক হাঙ্কি পাঙ্কি বোঝালো। যেহেতু মনের দিক থেকে একটু দুর্বল, তাই আমরাও রাজি হয়ে গেলাম। একটাই আশা যদি সিকিম ঘুরে আসতে পারি। এদের এখান থেকেই আমরা সিকিমে ঘোরার প্যাকেজও বুকিং দিয়ে ফেললাম। কারণ, ওরা আমাদের যখন এলবাম বের করে সিকিমের বিভিন্ন জায়গার ছবি দেখালো, তখন ভাবলাম, যা আছে কপালে, সব বুকিং দিয়েই যাই !! তবে এটা বলে রাখি, গ্যাংটকে গিয়ে একটু যাচাই করে বুকিং দেয়াই ভাল, নইলে টাকা পয়সায় ভালই ঠকে যেতে পারেন।

গাড়ী রওনা হল। সেই একই পথে, যেই পথে দার্জিলিং যায়। তবে একটা জায়গায় এসে যে যার পথ বেছে নেয়, মানে গ্যাংটকের পথ আলাদা হয়ে যায়। সিকিম রাজ্যের বর্ডারে একটা পুলিশ চেকিং হয়। তো আমরা তিন বন্ধু মিলে ঠিক করেছি পুলিশ জিজ্ঞেস করলে কি উত্তর দেব। বন্ধুদের মধ্য একজন আমার বাল্য বন্ধু। তার হিন্দী জ্ঞ্যান অতি সীমিত। হু হা টাইপের। আর আরেকজন ছিল আমাদের ভ্রমন বন্ধু, মানে ওর সাথে বাংলাদেশ বর্ডারে পরিচয়, পুরনো ঢাকা গ্রুপের। যেহেতু সে পুরনো ঢাকার বাসিন্দা, হিন্দি ভাষায় তার দক্ষতা বেশ ভাল। আর ব্যবসার কারণে তার কোলকাতায় যাতায়াত আছে। কোলকাতার ইকবালপুরের খিদিরপুরে তার বাবার এক বন্ধুর বাসা আছে। আমরা ঠিক করলাম পুলিশ জিজ্ঞেস করলে বলব আমরা কোলকাতার ইকবালপুরের খিদিরপুরে থাকি। বলে রাখি আমার হিন্দি ভাষাজ্ঞ্যান মোটমুটি চলন সই। সারা রাস্তা জপতে জপতে গেলাম, "“ম্যায় কলকাতা সে আয়া হু। উধার ম্যায় ইকবালপুর কি খিদিরপুরমে রেহতা হু”।" অপূর্ব সুন্দর প্রকৃতির মধ্য দিয়ে তিস্তা নদীর পাড় ঘেষে পাহাড়ী আকা বাকা পথ বেয়ে গাড়ী এগিয়ে চলেছে। আমার মাথায় চিন্তা কখন সিকিম বর্ডার আসবে! গ্যাংটক যেতে পারব তো? পড়ন্ত বিকেলে গাড়ী এসে সিকিম সীমান্তে থামল।

তিস্তা নদীর ওপরে একটা ব্রিজ। ব্রিজের একপাশে পশ্চিমবংগ, আরেক পাশে সিকিম। জীপ গাড়ীর মাঝের সারিতে বসা আমরা তিন বন্ধু। আমি সর্ব বামে, তারপর আমার বাল্য বন্ধু হালিম যে কিনা হিন্দিতে খুব কাচা। তারপর আমার পুরনো ঢাকার বন্ধুটি। পুলিশ সামনের সিটের যাত্রীকে জিজ্ঞেস করছে, "“কিধার সে আয়া হো?" যাত্রী উত্তর দিল। "“ওয়াহা কিধার রেহতে হো?" মানে কোন শহর এবং শহরের কোন এলাকা থেকে এসেছ? আমার হার্ট বিট আরো বেড়ে যাচ্ছে। জানি না সাথের বন্ধুদের কি অবস্থা ! প্রথম সিটের দুইজনকে জিজ্ঞেস করে পুলিশ আমার কাছে এল।

"কিধার সে আয়া হো?"
উত্তর দিলাম, “"ম্যায় ক্যালকাটা সে আয়া হু"”
“"ওয়াহা কিধার রেহতে হো?"


ব্যাস, কি যে হল আমার !! মাথা থেকে ইকবালপুর আর খিদিরপুর শব্দ দুটো পুরো হাওয়া হয়ে গেল।/:) আমি প্রমাদ গুনতে থাকি। মনে মনে বলি, "‘মনে আয়, মনে আয়, সারা রাস্তাতো এই জিনিস মুখস্ত করতে করতে আসলাম”"। পুলিশ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি কিছু বলতে পারছি না। যা বোঝার সে বুঝে নিল। সেই মুহুর্তে আমার মনে পড়ল “খিদিরপুর” শব্দটা ! ইকবালপুর ব্রেইন থেকে কমপ্লিটলি হাওয়া ! আমি বলে ফেললাম, “"ওয়াহা খিদিরপুরমে রেহতা হু”।"

পুলিশ ভাই বলল, “"আই কার্ড দিখাও”"। মানে জাতীয় পরিচয় পত্র দেখাও। ওখানে সবারই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে। আমি পকেটে একটু খোজা-খুজির ভঙ্গি করে বললাম, “ "ও তো ম্যায় ঘার ছোড় আয়া" ”, মানে বাড়ী ফেলে এসেছি। আমি বুঝলাম ধরা খেয়ে গেছি। ভাবলাম, ধরা যখন খেয়েছি, তিন জনকেই খেতে হবে। পুলিশ আমার বন্ধুকে প্রশ্ন করতে উদ্যত হতেই বলে ফেললাম, “ "হাম তিন এক সাথ হ্যায়। হাম ট্যুরিস্ট হ্যায় ”"। পুলিশ আমার পাশের বন্ধুকে বলল, "“তুমহারা আই কার্ড দিখাও”"। আমার বন্ধু হালিম সিম্পলি মুর্দার মত চুপ। মনে হল ওর বাক শক্তি চিরতরে হারিয়ে গেছে ! :P পুলিশ তারপর আমাদের তৃতীয় বন্ধু যে কিনা পুরান ঢাকার তাকে জিজ্ঞেস করল, “"তুমহারা আই কার্ড হ্যায়?"” বেচারার উত্তরও একই, “ "ও তো ম্যায় ঘার ছোড় আয়া হু " :):):)

"তিনো আদমি আই কার্ড ঘার ছোড় আয়া???”" :P

পুলিশ কিছুক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর কি মনে করে ড্রাইভারকে ইশারা করল, যাও। ওই মুহুর্তে খাচা থেকে ছাড়া পাওয়া পাখির মত আনন্দ অনুভব করলাম। :) মনে হল যেন বুকের উপর থেকে একটা পাথর নেমে গেল। গাড়ীর লোকজন আমাদের ফিরে ফিরে দেখছে। আমরা যেন কোন অদ্ভুত প্রাণী !! যাইহোক, এপারে এসেই অনেক হোটেল রেস্তোরা, সেখানে গাড়ী যাত্রা বিরতি দেয়। কিন্তু আমার মন আর ওখানে বসে না। মনে হচ্ছে এই জায়গাটা ছাড়তে পারলেই বাচি। উফ গাড়ী কখন ছাড়বে ! কারণ কয়েক হাত দূরেই বর্ডারের পুলিশগুলো ঘোরাঘুরি করছে। “"চোরের মন পুলিশ পুলিশ"” প্রবাদটার সার্থকতা সেদিন হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। :P:P

গ্যাংটক যখন পৌছালাম, তখন রাতের আধার নেমে এসেছে। হোটেলে গিয়ে উঠলাম। বেশ ভাল হোটেল। বিছানা পত্র, টয়লেট বেশ পরিস্কার। আমি ভারতের অনেক শহরে ঘুরেছি। কিন্তু গ্যাংটকের মত সহনশীল দামে এত ভাল হোটেল আর কোথাও দেখিনি। অন্যান্য জায়গায় পয়সা অনেক নিয়ে নেয়, কিন্তু হোটেল সেই মানের হয় না। হোটেলে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলাম। কোলকাতার ঠিকানা দিয়ে। কর্মচারীদের ভাব এমন যে, ওরা আমাদের খুব সেইফ করছে। একটা ফিস ফাস অবস্থা। পরে বুঝেছিলাম, এসব কোন ঘটনাই না, এখানে প্রচুর বাংলাদেশী আসে এটা সবাই জানে। আমরা মফিজ ছিলাম বলে আমাদের সাথে এত কিছু। রাতের খাবার হোটেলেই খেলাম। বাঙ্গালী খাবারই খেয়েছিলাম, কারণ হোটেলটা মালিক কলকাতার ছিল।

পরের দিনের সূচী, আমরা একটা একদিনের ভ্রমনে বের হব। সাঙ্গু লেইক হয়ে নাথুলা পাস (চীন ও ভুটান বর্ডার)। আগের দিনই আর্মির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রাখতে হয়। আমাদের সবার নাম নিয়ে গেল।একটু বলে রাখি, গ্যাংটকে তেমন কিছু দেখার নেই। সুন্দর একটা ছিমছাম পাহাড়ী শহর। কিন্তু আসল মজা হল, এখান থেকে বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে উত্তর, পূর্ব, পশ্চিম সিকিমের খুব নয়নাভিরাম কিছু লোকেশনে ঘুরতে যাওয়া যায়। সিকিমের এই অংশগুলো আসলে আপনাকে একেবারে হিমালয় পর্বতমালার ভেতরে বা একেবারে কাছাকাছি নিয়ে যাবে। তো আমাদের প্রথম দিনের ট্যুরটা হল পূর্ব সিকিমের দিকে। সকাল বেলা জীপে করে রওনা হলাম তিন বন্ধু। গাড়ীতে আমরা বেশি একটা কথা বলি না, বা নীচু স্বরে কথা বলি, পাছে কেউ বুঝে ফেলে আমরা বাংলাদেশী। পরে অবশ্য অনেক সহজ হয়ে গেলাম, কারণ গাড়ীতে কোলকাতার কোন বাঙ্গালী ছিল না। পাঞ্জাবী সহযাত্রী পাশে পেলাম। অনেক গল্প হল। এর মধ্যেই আমরা এগিয়ে চলেছি আকাবাকা পাহাড়ী পথ বেয়ে।


আকাবাকা পাহাড়ী পথ বেয়ে সাঙ্গু লেকের পথে...

একপাশে পাহাড় আর আরেক পাশে পাহাড়ের অপার সৌন্দর্য। ভাষায় বর্ণনা করা খুব কঠিন। আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারি, সিকিম হল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটা কারখানা।


সাঙ্গু লেইক

১২৪০০ ফুট উচ্চতায় সাঙ্গু লেইকে পৌছে গেলাম। পাহাড়ের উপর খুব সুন্দর একটা প্রাকৃতিক লেইক। নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত বরফে ঢাকা থাকে। আমরা গিয়েছিলাম নভেম্বরের প্রথমে, তখনো লেইকের উপর বরফ জমে নি। পাশের পাথুরে পাহাড়ের গায়ে মাত্র হালকা বরফ জমা শুরু হয়েছে।


পাহাড়ে একটু একটু করে বরফ জমছে...

সাঙ্গু লেইক পেছনে ফেলে আমরা আরো উপরে উঠতে থাকলাম। পথে কোন এক বাবার মন্দিরে কিছুক্ষণ দাড়ালো। এর পরে আরো ওঠা শুরু করলাম। নাথুলা পাসের ঠিক ৫ কি.মি. আগে আর্মি চেক পোস্ট। সেখানে আমাদের সবার কাছ থেকে ক্যামেরা রেখে দিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কৌশলগত অবস্থান, তাই ছবি তোলা নিষেধ। সেজন্য আপনাদের ওখানকার কোন ছবি দেখাতে পারব না।সমুদ্র পিষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪৫০০ ফিট উচ্চতায় নাথুলা পাস এ পৌছে বিমোহিত হয়ে গেলাম। চারপাশ বরফে ঢাকা। জীবনে প্রথম বরফ দেখলাম, ছুলাম! সেই অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। ভারতীয় সৈন্যরা টহল দিচ্ছে। সোজা চীনের পাহাড় আর ডান দিকে ভুটানের পাহাড়। তিন দেশের বর্ডার এখানে এসে মিশেছে। দূরে চীনের বর্ডার গার্ডের চেক পোস্ট দেখা যায়। খুব সুন্দর করে তৈরী করা এবং ওয়েল পলিশড।বরফে ঢেকে আছে। ছবির মত লাগে। সেই তুলনায় ভারতীয় সিমান্ত রক্ষীদের স্থাপনাগুলো অনেকটাই সাদামাটা, অযত্ন অবহেলায় মলিন হয়ে যাওয়া। এক জায়গায় কাটা তারের বেড়া দেয়া। তার ওপাশে চীনা সৈনিকরা ঘোরাফেরা করছে। এপাশের ভারতীয় পর্যটকদের সাথে করমর্দন করছে। আমরাও করলাম। কথা বললাম। যথারীতি এদের ইংরেজির অবস্থা খুব খারাপ, ইশারাতেই বেশী কথা বলে। এটাও পর্যটকদের জন্য মনে হল একটা আকর্ষণ। ফেরার পথে আরেকটা সুন্দর অভিজ্ঞতা হল। এক পর্যায়ে দেখি চার পাশ মেঘে ঢাকা। চারিদিকে কিছুই দেখা যায় না, শুধু সাদা মেঘ আর মেঘ।


মেঘের ভেতর পথ চলা...

মেঘের ভেতর চলতে চলতেই একটা পাহাড়ি ঝর্ণায় এসে দাড়ালাম। ছবি তুললাম। বলতে ভুলে গেছি, সিকিমের প্রকৃতি আরো একটা জিনিসের ফ্যাক্টরি। সেটা হল প্রাকৃতিক পাহাড়ি ঝর্ণা! কত যে ঝর্ণা দেখেছি সিকিমে!!


পথে পথে পাহাড়ী ঝর্ণা...

গ্যাংটক পৌছে গেলাম। গ্যাংটকে একট কেবল কার আছে। শহরের একটা অংশ থেকে আরেক অংশে নিয়ে যায়। ড্রাইভারকে বললাম, আমাদের কেবল কার স্টেশনে নামিয়ে দিন। কেবল কারে চড়ে শহরের একটা মেইন রোডের ঠিক ওপর দিয়ে আরেক প্রান্তে চলে আসলাম। এরপর হাটতে হাটতেই হোটেলের এলাকায় চলে এলাম। দিনটা খুব উপভোগ করেছি।


গ্যাংটকে কেবল কার...

তো আমাদের পরের দিনের প্যাকেজ ছিল, ২ দিন ১ রাতের একটি প্যাকেজ। এটাকে বলা হচ্ছে, ইয়ুমথাং ভ্যালির প্যাকেজ, উত্তর সিকিমে। ওটা ছিল আমার জীবনের অসাধারণ একটা ট্যুর। আমি আজও ভুলতে পারি না। উফ আল্লাহ এই দুনিয়াতে কত সুন্দর জায়গা তৈরী করে রেখেছেন !! তো সেই জায়গার গল্প বলেই আমার দার্জিলিং সিকিমের গল্প ইনশাল্লাহ শেষ করব আগামী পর্বেই। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন। আজ এ পর্যন্তই…...

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৭
৪৪টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×