গতকাল বাণিজ্য মেলায় Classical Hometext এর প্যাভিলিয়ন থেকে ২৯০০ টাকা বিকাশ পেইমেন্ট করে ৩ টি বিছানার চাদর কিনি। বাসায় ফিরে দেখি, একটি চাদর যেটা চেয়েছিলাম সেরকম নয়। তাই আজ আবার ঐ দোকানে গিয়ে চাদর বদলে নিতে গিয়ে যে চাদরটি পছন্দ হল সেটির মূল্য ছিল আগেরটির চেয়ে ১৫০ টাকা বেশী। যেহেতু বিকাশ পেইমেন্টে ১৫% ক্যাশ ব্যাক ছিল তাই আমি দেড়শ টাকা বিকাশে দিতে চাইলে দোকানি বলল, ৩০০ টাকার কম পেইমেন্ট হলে ওনারা বিকাশে নেন না। জিজ্ঞেস করাতে জবাব মিলল, এটা ওনাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশ! ম্যানেজারকে অনুরোধ করেও কোন সহযোগিতা পেলাম না। কিন্তু, এই নির্দেশনাটি দোকানের কোথাও লেখা ছিল না।
হাটতে হাটতে মেলার শেষ মাথায় “জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর” এর কার্যালয় চোখে পড়ল।
ভেতরে প্রবেশ করে কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে ঘটনাটি সবিস্তারে বলে জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি ভোক্তা অধিকার লংঘনের আওতায় পড়ে কি না। তিনি বললেন, জ্বি পড়ে। নির্ধারিত ফর্মে অভিযোগ নিলেন এবং দোকানিকে তার ম্যানেজারসহ ডাকালেন। ছোটখাট একটা শুনানিতে তারা তাদের দোষ স্বীকার করে নিলেন। দোকানি একটি মিথ্যে বলেছিল, ওটা ঐ কোম্পানির কোন নির্দেশনা ছিল না।
ভোক্তা অধিকার আইন অনুসারে, অপরাধের ধরণ বিচারে সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা জরিমানা করলেন তিনি। (সর্বোচ্চ জরিমানা হতে পারত দুই লক্ষ টাকা!) একই আইনে ভুক্তভোগিকে জরিমানার ২৫%, ২৫০০ টাকা নগদে পরিশোধ করা হল!
পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ এবং তার জন্য আমাদেরও নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণসহ অভিযোগ দিতে হবে। আশা করা যায়, এতে ব্যবসায়ী/সেবা প্রদানকারীরা ভোক্তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে এবং মানসম্মত পণ্য/সেবা প্রদান করবে।
ভোক্তা অধিকার আইনের কিছু ধারা যেটা ওনাদের অফিসে পেলামঃ
http://dncrp.portal.gov.bd
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৫